পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : থাইল্যান্ডের একটি বৌদ্ধ মন্দির থেকে ১৩৭টি বাঘ সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে দেশটির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী পাচার এবং নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডের কাঞ্চনবুড়ি প্রদেশের এই মন্দিরের বাঘ সরানোর কাজ গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। মোট ১৩৭টি বাঘের মধ্যে ৩টিকে ইতিমধ্যে সরানো হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযানে এক হাজার কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।
মন্দিরের সন্ন্যাসীরা প্রথমে প্রাণী নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বাঘ সরানোর কাজে বাধা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে দমে যান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঘগুলোকে বন্যপ্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের ‘ওয়াত ফা লুং তা’ নামের এই বাঘ মন্দির পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। অনেক আগে থেকেই কর্তৃপক্ষ মন্দিরের বাঘগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসলেও মন্দির তাতে বাধা দিয়েছে।
দর্শনার্থীরা মন্দিরে গিয়ে বাঘগুলোকে খাওয়াতে পারতো এবং অর্থের বিনিময়ে ছবি তুলতে পারতো। যদিও দর্শনার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
থাই ন্যাশনাল পার্ক বিভাগের উপ-পরিচালক বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, আগে আমরা মন্দিরের সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু তারা পাত্তা দেয়নি। কিন্তু এবার আমাদের কাছে আদালতের নির্দেশ রয়েছে।
বিতর্কিত এই বাঘ মন্দিরের সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে বাঘের প্রজনন এবং বাঘ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে ঐ মন্দিরে অভিযান চালিয়ে কর্তৃপক্ষ অনুমতিবিহীন শিয়াল, হর্নবিল এবং এশীয় ভালুক জব্দ করেছিল। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।