Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিদ্যুৎ পাচ্ছে আরো ২৫ লাখ গ্রাহক

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

একনেকে ২৭৪৫ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সারা দেশের আরো ২৫ লাখ নতুন সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এটিসহ একনেকে মোট ২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকার ৬টি করে। পর অনুমোদন দিয়েছে একনেক। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। একনেকের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আজকের সভায় অনুমোদদিত ৬টি প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭৪৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৫৯০ কোটি ৯ লাখ টাকা।
পল্লী বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে ২৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে অতিরিক্ত ২৫ লাখ গ্রাহক সৃষ্টি হবে। এদের জন্য সংযোগ লাইন স্থাপন প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম ধরা হয়েছে।
জানা গেছে, পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ এবং ২৫ লাখ নতুন গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করা হবে। এ প্রকল্পটিতে এআইআইবি ব্যাংক ঋণ দেবে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৪৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৭৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) আওতাধীন ৭৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড ল্যান্ডিং চার্জ খাতে ৩৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ২৫ লাখ মিটার বাবদ সাড়ে ২৪ লাখ টাকা, সরবরাহ ও সেবা খাতে ৬৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যানবাহন কেনা বাবদ ৮০ লাখ টাকা ওসিডি ভ্যাট বাবদ ৩৭৬ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে ৭৫০ কোটি ব্যয়ে ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রকল্প (ইসিআরআরপি), (বাপাউবো) প্রকল্প, ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রকল্প (ইসিআরআরপি : ডি১ ডিডিএম), তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প (২য় পর্যায়)। এতে ব্যয় হবে ৪১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও রংপুর সদর উপজেলায় তিস্তা নদীর ডান ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্প এবং ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিসিএস ইকনমিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা প্রকল্প।
এদিকে, একনেকে ১২৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে রংপুর জেলার গংগাচড়া ও সদর উপজেলার তিস্তা নদী ডান তীর রক্ষা প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা রংপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কমিটির সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এতে করে রংপুর জেলার কৃষি, মৎস্য চাষ, পরিবেশ সুরক্ষা, বৃক্ষ রোপণ, সেচ ব্যবস্থা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জল নিষ্কাশন ব্যবস্থার পথ সুগম হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎ পাচ্ছে আরো ২৫ লাখ গ্রাহক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ