Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দৌলতগঞ্জে পুরাকীর্তি খননে গড়িমসি

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফাহিম ফিরোজ : চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবনগর উপজেলার দৌলতগঞ্জের পুরাকীর্তি খনন নিয়ে এখনো গড়িমসি চলছে। চলতি বছরের শেষের দিকে ওই অঞ্চলের জরিপ ও খনন দলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: গোলাম ফেরদৌস জীবননগরের প্রতœ ঢিবিটি খননের ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং তার প্রেরিত এই প্রেস রিলিজ সংবাদকর্মীদের হাতে এসেও পৌঁছায়, যা ছাপা হয় দৈনিক ইনকিলাবসহ অন্যান্য দৈনিকে। তারপর এই কর্মকর্তাকে খননের বিষয়ে ফোন দিলে তিনি বলেন, ওই বিষয়ে রিপোর্ট তিনি ওপরে এখনো জমা দেননি। এ খবরও ছাপা হয় পত্রিকায়। সে মাসে খুলনা বিভাগীয় প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আফরোজা খানম মিতা একটি শক্তিশালী টিম নিয়ে দৌলতগঞ্জ প্রতœস্থল পরিদর্শন করেন। কয়েকটি স্পট থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করেন এবং পুরাকীর্তি বিনাশকারী জনৈক হাবিবুরের উপস্থিতিতে সাংবাদিক ও লোকজনের সামনে বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে এখানে মেশিন বসবে এবং তারপর খনন শুরু হবে। এ বিষয়ে হাবিবুরকে পুরাকীর্তি ধ্বংস না করতে সেই সঙ্গে দেয়াল না তুলতে নিষেধ করে যান।’ এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পুরাকীর্তি রক্ষায় আন্দোলনরত শত শত তরুণের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। থেমে যায় হাবিবুরের কর্মকা-। সম্প্রতি ওই কর্মকর্তা আলাপচারিতায় জানান, ‘পুরাকীর্তির জন্য জীবননগর এলাকা দারুণ সম্ভাবনাময়। স্থানীয় মানুষের মতামত নিয়ে এবং প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের নীতিমালা মেনে দৌলতগঞ্জের প্রতœ ঢিবি খনন করা হবে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানানÑ ‘এ বিষয়ে বাজেট কম। তাই তিনি অধিদফতরে চিঠি লেখার পরামর্শ দেন।’ প্রশ্ন হলোÑ বাজেট কি বাড়ানো যায় না? বাজেট না বাড়িয়ে কেন আগেভাগে পুরাকীর্তি খননের আগাম সংবাদ পত্রপত্রিকায় পাঠানো হলো। কেন গোলাম ফেরদৌস এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত রিপোর্ট ওপর মহলে জমা দেননি। এ বিষয়ে তাকে এখন ফোন করেও পাওয়া যায় না। প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালককে যখন বলা হয়, একদল দেশপ্রেমিক তরুণ দীর্ঘ তিন মাস ধরে খালি হাতে দেশের সরকারি সম্পদ রক্ষায়, দুষ্টচক্রের নানা প্রলোভন উপেক্ষা করে হৈ হৈ শব্দ তুলে প্রতœস্থল পাহারা দিচ্ছেÑ এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া কী? তিনি সোজাসাপটা জানিয়ে দেন ‘তারা হৈ হৈ করুক; তার কিছু করার নেই’। বেশ ভালো কথা! তাহলে তার দায়িত্বটা কী? জানা যায়, আলতাফ হোসেন ইতঃপূর্বে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। যে যা নয় আমাদের দেশে তাকেই সে স্থানে বসানো হয়। ফল হয় মারাত্মক উল্টো। একজন পুরাকীর্তিবিদকে অধিদফতরের ওই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসালে আজকের এই পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। যত দ্রুত সম্ভব অধিদফতরের উচিত দৌলতগঞ্জে খনন কাজ শুরু করা। তরুণরা চুপ থাকলেই দুষ্টচক্র নিজেরা খননের জন্য নানা ফন্দি আঁটতে থাকে। এ বিষয়ে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে। বর্তমানে তরুণদের পাশাপাশি রাতে প্রতœস্থলে পুলিশ টহল চলছে এবং সেই সঙ্গে গ্রাম্য পুলিশের পাহারা।
এ বিষয়ে দেশ ও সরকারের সম্পদ রক্ষায় আন্দোলনরত শত শত তরুণ এবং এলাকাবাসী দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দৌলতগঞ্জে পুরাকীর্তি খননে গড়িমসি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ