Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের সবচেয়ে বড় সেনা অস্ত্র ভান্ডারে আগুন মৃত ২০, আহত ১৯

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কোলকাতা থেকে কালীপদ দাস : ভারতের মহারাষ্ট্রের বর্ধা জেলার পুলগাঁও-এ নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্রের ডিপোতে সোমবার দিবাগত রাত রাত ২টা নাগাদ হঠাৎ লাগা ভয়াবহ অগ্নিকা-ে মৃত্যু হলো ২০ সেনা সদস্যর। আহত হয়েছেন ২ জন সেনা আধিকারিকসহ ১৭ জন জওয়ান। আহতদের বর্ধা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনায় সরকার সর্বোতভাবে আহত ও মৃত সেনাদের পরিবারের পাশে থাকবে। শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি বলেছেন, অত্যন্ত দুখজনক ঘটনা। আমরা সব রকমভাবে শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আছি।
শোক ব্যক্ত করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফণনবিস। তিনি বলেছেন, জেলা প্রশাসনকে সব রকমভাবে সাহায্য করার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার সব রকমভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়াও শোক ব্যক্ত করেছেন বর্ধার সাংসদ রামদাস তাউস, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহন পর্রিকার, কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার এই সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও সেনা ডিপো থেকে মাঝে-মধ্যেই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। অগ্নিকা-ের জেরে আশপাশের ৪টি গ্রাম থেকে প্রায় ১০০০ লোককে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বর্ধার সমস্ত হাসপাতালকে অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে। এক সেনাধিকারিক সূত্রে খবর, আগুন লেগেছিল অ্যামুনেশন ডিপোর এক শেডে। সেখান থেকে আগুন অন্যান্য শেডে ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছিল তা জানার জন্য ইতিমধ্যে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রিকার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। আর্মির চিফ জেনারেল দলবীর সিংহ সুহাগও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
উল্লেখ্য, বর্ধা জেলার পুলগাঁও স্থিত কেন্দ্রীয় অস্ত্র ভা-ারটি (সিএডি) ভারতের বৃহত্তম অস্ত্র ভা-ারগুলোর অন্যতম। পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি অস্ত্র তৈরি করার কারখানা থেকে অস্ত্র তৈরির পর এখানে এনে সেগুলো মজুত রাখা হয়। তারপর প্রয়োজনানুসারে দেশের অন্যান্য সেনা ছাউনিতে সেগুলো পাঠানো হয়। ব্রহ্মস মিসাইল থেকে শুরু করে এ.কে ৪৭ জাতীয় নানা অস্ত্র ও গোলা-বারুদ এই ডিপোতে রাখা হয়। অস্ত্রের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর অস্ত্র নষ্ট করে দেয়ার কাজও এই ডিপোতেই হয়। অর্থাৎ অকেজো অস্ত্রের মজুতও এখানেই করা হয়ে থাকে।
প্রায় ১০,০০০ একর জমির ওপর তৈরি এই অস্ত্র ডিপোতে সোমবার রাত দেড়টা-দুটো নাগাদ হঠাৎই আগুন লাগে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণও শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নেভাবার উদ্যোগ নেয়া হলেও বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাবার কাজ রীতিমত বিঘিœত হয়।
বর্ধার জেলা শাসক শৈলেশ নওল জানিয়েছেন, আগুন লাগার পরপরেই আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে গ্রাম খালি করে দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতের সবচেয়ে বড় সেনা অস্ত্র ভান্ডারে আগুন মৃত ২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ