পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিতর্কিত ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৬ এবং ইসলাম বিরোধী পাঠ্যসূচি বাতিলের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দেশব্যাপী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্মারকলিপিতে পাঠ্যসূচিতে ইসলামবিরোধী গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও চিন্তা-চেতনা বাতিল এবং সরকারের প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৬ পাস না করার আহ্বান জানানো হয়। স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের নিকট বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি হাফেজ শহীদুর রহমানের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূছা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ সাদী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব আকরাম উল্লাহ প্রমুখ। স্মারকলিপিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বর্তমান পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনকে মুসলমানদের ঈমান-আক্বিদাবিরোধী ও নৈতিক আদর্শবিরোধী উল্লেখ করে, তা বাতিল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে ২০১০ সালে শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছিল। সে শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য দিক হলো এখানে ধর্ম, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, অথচ বর্তমান শিক্ষানীতিতে ইসলাম ধর্ম শিক্ষার প্রাধান্য তো নেইই বরং তা উপেক্ষিত হয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান শিক্ষানীতির আলোকে পাঠ্যক্রম সংশোধন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে হিন্দুত্ববাদ এবং নাস্তিকতার প্রচার-প্রসার ঘটানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিলেবাস থেকে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, নীতি নৈতিকতা ও ঈমান আক্বীদার সাথে সম্পর্কিত গল্প-কবিতা প্রবন্ধগুলো বাদ দিয়ে তদস্থলে নাস্তিকতা ও পৌত্তলিকতা শিক্ষা দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক তৈরি সিলেবাসে এমন ধরনের বই পুস্তক রাখা হয়েছে যা ধর্মনিরপেক্ষ তো নয়ই, বরং ইসলাম বিবর্জিত ও ইসলাম বিদ্বেষী এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে পৌত্তলিক বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ধারকও বটে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম দেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা এধরনের পাঠ্যপুস্তক থেকে শিক্ষা লাভ করে কোনো দিন ইসলাম ও মুসলমানী ভাবধারার সাথে পরিচিত হতে পারবে না। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এ সিলেবাসে শিক্ষিত হয়ে হয় নাস্তিক্যবাদী নয়ত হিন্দুত্ববাদী চেতনা, বিশ্বাস ও সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠতে বাধ্য। কারণ, বিতর্কিত ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি-২০১০ অনুসারে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ক্রমান্বয়ে ইসলাম ভাবাপন্ন পাঠসমূহ বাতিল করে তদস্থলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদমূলক বিষয় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়- শিক্ষা আইন ২০১৬-এর খসড়ায় কওমী মাদরাসা সম্পর্কে শুধু এতটুকু বলা হয়েছে যে, সরকার কওমী মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কওমী মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে এ দেশের কওমী মাদরাসার আলাদা বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা রয়েছে। সুতরাং কওমী মাদরাসাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নামে কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য বিলুপ্ত হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত এ দেশের আলেম উলামা এবং সচেতন মুসলমানরা কখনই মেনে নিবে না।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের নায়েবে আমীর ও সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা রেজাউল করীম জালালীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেন দলের মহানগর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদের নেতৃত্বে জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। নোয়াখালীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম মামুনের নেতৃত্বে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও কুমিল্লা পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ গোলামুর রহমানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
পাঠ্য পুস্তক থেকে বাদ দেয়া বিষয়সমূহ-
১.দ্বিতীয় শ্রেণি : ‘সবাই মিলে করি কাজ’- শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ২.তৃতীয় শ্রেণি : ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত। ৩. চতুর্থ শ্রেণি : খলিফা হযরত ওমরের সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত। ৪. পঞ্চম শ্রেণি : বিদায় হজ্জ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত, ৫. পঞ্চম শ্রেণি : কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত শিক্ষা গুরুর মর্যাদা নামক একটি কবিতা। যাতে বাদশাহ আলমগীর-এর মহত্ত্বের চিত্র উঠে এসেছে এবং শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের ভক্তি ও আদব কেমন হওয়া উচিত তা বর্ণনা করা হয়েছিল। ৬. পঞ্চম শ্রেণি : শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত। এ প্রবন্ধটিতে শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশ বিরোধী যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ ছিলো। ৭. ষষ্ঠ শ্রেণি : ড. মুহম্মদ শহীদ্ল্লুাহ লিখিত ‘সততার পুরস্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষণীয় ঘটনা। ৮. ষষ্ঠ শ্রেণি : মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’। ৯. ষষ্ঠ শ্রেণি: মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি। ১০) সপ্তম শ্রেণি: মরু ভাস্কর নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ১১. অষ্টম শ্রেণি: ‘বাবরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি। ১২. নবম-দশম শ্রেণি: মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ধর্মভিত্তিক কবিতাটি। ১৩) নবম-দশম শ্রেণি : মুসলিম কবি ‘আলাওল’ এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি। ১৪. নবম-দশম শ্রেণি : মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবাণী কবিতাটি। ১৫. নবম-দশম শ্রেণি : গোলাম মোস্তফার লেখা জীবন বিনিময় কবিতাটি। কবিতাটিতে মোঘল বাদশাহ বাবর ও তার পুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা। ১৬. নবম-দশম শ্রেণি : কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর ফারুক’ কবিতা।
নতুন সংযোজিত কুফরী ও শিরকী বিষয়সমূহ-
১. পঞ্চম শ্রেণি : স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা। ২. ষষ্ঠ শ্রেণি : ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবী দূর্গার প্রশংসা। ৩. ষষ্ঠ শ্রেণি : ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে গরু হলো মায়ের মত অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ। ৪. ষষ্ঠ শ্রেণি: অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচি’র ভ্রমণ কাহিনী। ৫. সপ্তম শ্রেণি: ‘লালু’ নামক গল্পে বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে পাঁঠাবলির নিয়ম কানুন। ৬. অষ্টম শ্রেণি : পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ণ’ এর সংক্ষিপ্তরূপ। ৭. নবম-দশম শ্রেণি: ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কিত‘মঙ্গলকাব্যের অন্তর্ভুক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা। ৮. নবম-দশম শ্রেণি : অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালামৌ’ এর ভ্রমণ কাহিনী। ৯. নবম-দশম শ্রেণি : ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচার। ১০. নবম-দশম শ্রেণি : ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ৪৭-এর দেশভাগকে হেয় করা হচ্ছে, যা দিয়ে কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ১১. প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে দেওয়া হয়েছে (নিজেকে জানুন) নামক যৌন শিক্ষার বই। ১২. নবম-দশম শ্রেণি : ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের রাধা-কৃষ্ণের লীলাকীর্তন।
বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি
ফেনী জেলা সংবাদদাতা : বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০ বাতিল ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ তে ধর্মীয় শিক্ষাকে সংকোচন করে শিক্ষানীতি কার্যকরের যে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, তার বিরুদ্ধে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ফেনী জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফেনী জেলা শাখা। এসময় উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস ফেনী জেলার সভাপতি মাও.জসিম উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক মাও.আমির হোসেন,সহ-সাধারণ সম্পাদক মাও.নুর নবী,অর্থ সম্পাদক মাও.আবুল হাসনাত,প্রচার সম্পাদক মাও.জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও.শফিকুল ইসলাম, ও ইসলামী ছাত্র মজলিসের সভাপতি মো.রিদোয়ান প্রমুখ। স্মারকলিপিতে জেলার নেতৃবৃন্দ বলেন, বিতর্কিত ইসলাম বিমুখ শিক্ষানীতি ২০১০ অনুসারে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বইগুলোতে ইসলামী ভাবাপন্ন পাঠসমূহ বাতিল করে তদস্থলে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ মূলক বিষয় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে চলমান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নে ইসলামী আকিদা বিশ্বাস, দাঁড়ি, টুপি ও পীর মাশায়েখ বিরোধী কল্পকাহিনী ছাপানো হয়েছে। এতে লাখ লাখ মুসলিম জনতার অন্তরে আঘাত লেগেছে। শিক্ষা আইন বাতিল করে পার্থিব এবং ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান খেলাফত নেতারা।
খেলাফত আন্দোলনের বৈঠক
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে আজ ১ জুন বুধবার সকাল ১১টা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপ লাউঞ্জে ইসলামী শিক্ষার সর্বনাসা নীতি ও আইন বাতিলের দাবিতে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।