পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি ও আন্তর্জাতিক যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে পা দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে আসার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধীদের নতুন প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে মোকাবেলা করার জন্য এসএসএফ সদস্যদের আরো পারদর্শী হওয়া দরকার। সব দিক থেকে আমাদের যুগোপযোগী থাকতে হবে। সত্য কথা বলতে কখনো দ্বিধা করেন না জানিয়ে তিনি বলেন, এক আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। প্রতিটি জিনিসের ভালো ও খারাপ দু’টি দিকই থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসের ধরন বদলাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি যেমন আমাদের উন্নয়নের যাত্রাপথকে সুগম ও গতিশীল করছে; তেমনি একইভাবে যারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, অসামাজিক কাজসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত তাদের ক্ষেত্রেও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হওয়ায় আমাদের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটছে। জীবনযাত্রাকে অগ্রগামী করছে, উন্নয়নের ধারাকে অগ্রগামী করছে, পাশাপাশি নানা ধরনের ঝুঁকিরও সৃষ্টি করছে। এ সময় তিনি এসএসএফ সদস্যদের আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠে এই প্রযুক্তিকে যারা মন্দকাজে ব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসএসএফকে আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। এই বাহিনীতে নতুন নতুন প্রযুক্তির যেমন সন্নিবেশন ঘটাতে হবে; তেমনি অপরাধের পরিবর্তিত অবস্থা সম্পর্কেও তাদের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। আর সেই সঙ্গে যেকোনো অবস্থা মোকাবেলার সরঞ্জামাদিও দরকার। যখন যেটা প্রয়োজন, সেটার আমরা ব্যবস্থা করছি। যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এ জন্য সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা, আন্তর্জাতিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্যও অনুষ্ঠানে উপস্থিত এসএসএফ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যারা আমাদের সমর্থন দেয়নি তাদের চক্রান্ত, কুটিলতা ও জটিলতা থাকবে। কিন্তু সেগুলো মোকাবেলায় আমাদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিতে হবে। সবাই সচেতন থাকবেন, সেটাই আমরা চাই।
এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, তিন বাহিনী প্রধান, মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা, পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং এসএসএফের সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।