Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ১০ বিষয়ে গবেষণা করবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। আবার গবেষণার ফলাফল কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতি উপকৃত হয়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশি গবেষণার কথা বলেন। এ খাতে বাজেটে বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে।

গতকাল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান পরিষদের নতুন ১০ গবেষণার ধারণাপত্র উপস্থাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের নাজিয়া-সালমা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরীন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে গবেষকরা তাদের গবেষণা প্রস্তাবনার ধারণাপত্র তুলে ধরেছেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : বাঙ্গালির আত্মপ্রবঞ্চনাসহ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। গবেষণার বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা স্বনির্ভরতার ভাবনা, তৎকালীন ও সমকালীন প্রাসঙ্গিকতা, চর এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থায় গ্রামীণ এলাকায় বয়স্ক মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এবং পরিবার ও গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে প্রবাসী আয়ের ভূমিকা, বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পলিসির বাস্তবায়ন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে স্থানান্তর : বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার ভ‚মিকা, খরাপ্রবণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তা মোকাবেলায় সক্ষমতা, বাংলাদেশের নিরাপদ ফল ও শাকসবজি এবং ভোক্তাদের আচরণ।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছে দেশ। এই উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণার মাধ্যমে নতুন চিন্তার জন্ম হয়। নতুন নতুন বিষয় জানা যায়। ফলে এক দিকে যেমন জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে এসব গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল প্রায়োগিক কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতি উপকৃত হয়।

পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন বলেন, আমরা আশা করছি এসব গবেষণায় গবেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে, তেমনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিভিন্ন ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। প্রতি বছরই এসব গবেষণা পরিচালনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এর ফলে গবেষণা কাজে মানুষের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি পায়।

‘ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : বাঙ্গালি আত্মপ্রবঞ্চনা’ শীর্ষক গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নূর মো. রহমতউল­াহ কর্মশালায় বলেন, গবেষণাটির মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটসহ প্রকৃত ইতিহাসের দ্বার উন্মোচন হবে। এ ছাড়া ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ‚মিকাসমূহ চিহ্নিতকরণ, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভ‚মিকা অস্বীকারকারীদের বিপক্ষে যথোপযুক্ত দালিলিক তথ্যপ্রমাণসহ যুক্তি উপস্থাপন, জাতির জনকের জীবনাদর্শ হ্রদয়ে ধারণ ও লালন করে নতুন প্রজš§কে মাতৃভাষা আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ, ইতিহাস বিকৃতকারীদের চিহ্নিতকরণ এবং ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা সংক্রান্ত আত্মপ্রবঞ্চনা রোধকল্পে কর্মপরিকল্পনাসহ সুপারিশ দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ