পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একই সম্মেলনে গিয়েও একাধিকবার পরস্পরকে এড়িয়ে গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদি। অবশেষে দেখা হয়েছে তাঁদের। কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও সামিটের দ্বিতীয় দিনে প্রথম মুখোমুখি হন ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে মোদি ও ইমরানের। সূত্রের খবর, সৌজন্য বিনিময়ের মধ্যেই দুই প্রধানমন্ত্রী নিজেদের দেশ নিয়ে আলোচনা সারেন লিডার লাউঞ্জে বসে। দুজনই বিশকেক এসসিও সামিটে অংশগ্রহণ করেন।
পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরাইশির পক্ষ থেকে তাদের ভারতীয় প্রতিপক্ষের প্রতি পত্র লেখার দুই সপ্তাহ পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হল কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে। সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না বলে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
পাকিস্তান বরাবরই কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী। কিন্তু মোদি সরকার এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। সেই অবস্থানেই অনড় থাকলেন মোদি। কাশ্মীর নিয়ে বিশকেকে হল না কোনো আলোচনা। নয়াদিল্লির তরফে আগেই নাকচ করে দেয়া হয়েছিল বৈঠকের প্রস্তাব। তারপরও আশাবাদী ছিল ইসলামাবাদ। কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হয়ে দেয়া হয় আলোচনার প্রস্তাব।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমরান খানও চিঠিতে আলোচনার মধ্যে দিয়ে কাশ্মীর সমস্যা মেটেনোর কথা বলেন। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারত-পাকিস্তান একযোগে কাজ করা উচিত বলেও মনে করেন ইমরান। তাই আলোচনার এই প্রস্তাব। কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি ভারত।
২০১৬ সালের জানুয়ারীতে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে হামলার পর থেকে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা থেকে বিরত রয়েছে। গত ২৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে টেলিফোন কলে ইমরান খান দুই দেশের জনগণের স্বার্থে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে বরাবরই পাকিস্তান থেকে ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগ এনে সে প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ভারত।
এদিকে সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে দেখা হয় মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট জিংপিংয়ের। একই সঙ্গে মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এবং কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরনবে জিনবেকভের সাথে বৈঠক করেন। সূত্র : দি টাইমস অব ইন্ডিয়া, কলকাতা২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।