পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজেটে স্বর্ণ আমদানি শুল্কহার প্রতি ভরিতে এক হাজার টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যা স্বর্ণ আমদানিতে যেমন খরচ কমাবে। তেমনি স্বর্ণের দামও কমবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর পরই স্বর্ণের দর বেড়েছে। সাড়ে চার মাস পর বাংলাদেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বেড়েছে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্লাটিনামের দাম ঠিক করে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের বাজারে। ২৩ ক্যারেট প্রতি ভরি প্লাটিনাম এখন ৬৪ হাজার ১৫২ টাকায় বিক্রি হবে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, স্বর্ণের দাম বিশ্ব বাজারের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম গত ১ মাসে প্রতি আউন্সে ৭৩ ডলার বেড়েছে। সে অনুপাতে দেশে ভরি প্রতি ২২শ’ থেকে ২৫শ’ টাকা বাড়ার কথা। কিন্তু বাজেট এবং বাংলাদেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে বাজুস স্বর্ণের দাম কম বাড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের দিন বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। গতকাল শুক্রবার থেকে বাংলাদেশের বাজারে যা কার্যকর হয়েছে। প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ ৫১ হাজার ৩২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই স্বর্ণ ৫০ হাজার ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি সর্বশেষ স্বর্ণের দর বাড়ানো হয়েছিল। গত বছরের ১০ জানুয়ারি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দর বেড়ে ৫০ হাজার টাকার উপরে উঠেছিল। পরে তা কমে ৫০ হাজার টাকার নিচেই বিক্রি হচ্ছিল। ২৯ জানুয়ারি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়নোয় তা আবারও ৫০ হাজার টাকা ছাড়ায়। গতকাল শুক্রবার থেকে তা ৫১ হাজার ৩২২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ২০১২ সালে অবশ্য এই স্বর্ণের দাম বাড়তে বাড়তে প্রায় ৬০ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল।
নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ ৫১ হাজার ৩২২ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হবে ৪৮ হাজার ৯৮৯ টাকা।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৫০ হাজার ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। ২১ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হয় ৪৭ হাজার ৮২২ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হয় ৪২ হাজার ৮০৭ টাকায়। এ হিসাবে ২২, ২১ এবং ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা করে বেড়েছে।
তবে গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলের ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি আগের ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকাই থাকবে বলে জানায় বাজুস।
জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ছয় শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে। সনাতন পদ্ধতির সোনা পুরনো অলঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রে কত শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ মিলবে তার কোনো মানদন্ড নেই। অলংকার তৈরিতে স্বর্ণের দরের সঙ্গে মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) যোগ করে দাম ঠিক করা হয়।
প্লাটিনামের ভরি ৬৪১৫২ টাকা: বাজুস ২৩ ক্যারেট প্রতি ভরি প্লাটিনামের দাম ৬৪ হাজার ১৫২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্রথমবারের মতো প্লাটিনামের দর নির্ধারণ করে দিলো বাজুস। আগে কখনও বাংলাদেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম ঠিক করে দেয়া হত না। তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের এক হাজার ৫০ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে রুপা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।