পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়া সদর সংসদীয় আসনের উপ নির্বাচনে বগুড়ার অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতের ভ‚মিকা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক মামলা ও বৈরি রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দলটির অধিকাংশ সিনিয়র নেতাই হয় কারাগারে নয়তো আত্মগোপনে থাকলেও তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা গোপনে ঠিকই চলছে।
শুরু থেকেই বগুড়া সদর উপনির্বাচনে বিএনপির অনেক প্রেসব্রিফিং ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জিএম সিরাজকে বিএনপি ও ২০ দলের প্রার্থী বলে প্রচার করলেও বাস্তবে জামায়াত বগুড়া উপনির্বাচনে পরিষ্কারভাবে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়ায় এখন জামায়াতের সাংগঠনিক জেলা ৩টি। জামায়াতের নিজস্ব সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী বগুড়া মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল ও সেক্রেটারি আ. মালেক। বগুড়া পূর্ব এর আমীর মাওলানা আজাদুর রহমান ও পশ্চিমের আমীর আব্দুর রাজ্জাক। জামায়াতের সাংগঠনিক তৎপরতার বিবরণ এখন মিডিয়ায় না যাওয়ায় পূর্ব ও পশ্চিমের সেক্রেটারি দুজনের নাম জানা যায়নি। ৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মহানগর এর আমীর মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল রয়েছেন কারাগারে। বাকি দুজনের নামে মামলা মোকর্দ্দমা না থাকায় তারা বাইরেই আছেন।
বগুড়া সদরের উপনির্বাচনে জামায়াতের ভ‚মিকা কি জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জামায়াত এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই যাওয়ার পক্ষপাতি নয়, তাই বগুড়া সদরেও জামায়াত নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে।
সূত্রটি জানায়, সাংগঠনিকভাবে লোকবল বৃদ্ধির কারণেই বগুড়ায় জামায়াতের সাংগঠনিক জেলা একটি থেকে তিনটিতে উন্নীত হয়েছে। মহিলাদের মধ্যে জামায়াতের সমর্থন বেড়েছে অবিশ^াস্য হারে। সূত্রটি নিশ্চিত করেছে বগুড়ার অনেক বিএনপি ও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা কর্মীদের স্ত্রী /কন্যা বা নিকটাত্মীয়া যে ভেতরে ভেতরে জামায়াতের সমর্থক, কর্মী, সদস্য ও রোকনের স্তরে উন্নীত হয়েছে তারা জানেনই না। বগুড়া পৌরসভার ১৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামায়াতের। পৌরসভার ৮, ১৩ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জামায়াতের ভোটার সংখ্যা অনেক।
বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জিএম সিরাজকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে জানতে চান, এই নির্বাচনে জামায়াত কি আপনাদের সাথে আছে ? জবাবে তিন বলেন, জামায়াত ২০ দলের অংশ । তারা ভোটে থাকলে ওয়েলকাম না থাকলে নো প্রবলেম। ভোট সুষ্ঠু হলে ধানের শীষ অনেক ব্যবধানেই জিতবে ।
গতকাল জিএম সিরাজের ওই বক্তব্য কোনো কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ হলে জামায়াত ও শিবিরের একাধিক নেতা উষ্মা প্রকাশ করেন । দু’একজন এমনও ইঙ্গিত দেন যে, জামায়াতকে অবমূল্যায়নের খেসারত ও দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
তাহলে বিশেষ পরিস্থিতিতে জামায়াত কি বগুড়ায় আওয়ামীলীগ বা অন্যকোন প্রার্থীকে গোপনে সমর্থন দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতের সং¯িøষ্ট সুত্র জানায় ব্যাপারটা টপ সিক্রেট। উল্লেখ্য সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাফল্য পেয়েছেন এমন গুঞ্জন রয়েছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।