পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২০ সালের জনসংখ্যা গণনার সাথে কীভাবে নাগরিকত্ব প্রশ্ন যুক্ত হয়েছে সে বিষয়ক কাগজপত্রে কংগ্রেসের প্রবেশাধিকার রোধ করতে নির্বাহী বিশেষাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ ব্যাপারে ২ জন মন্ত্রী কংগ্রেসকে অবমাননার দায়ে দায়ী হবেন কিনা তা সুপারিশ করতে হাউজ কমিটির ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই ট্রাম্প এ পদক্ষেপ নিলেন।
হাউজ ওভারসাইট অ্যান্ড রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান, মেরিল্যান্ডের প্রতিনিধি এলাইজা ই.কামিংস-এর কাছে লেখা এক চিঠিতে বিচার বিভাগ বলেছে যে, জনসংখ্যা গণনা বিষয়ের ক্ষেত্রে প্যানেলের সপিনা অগ্রাহ্য করার একটি আইনগত ভিত্তি দিতে ট্রাম্প তার গোপনীয়তা ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। এর জবাবে কামিংস এটর্নি জেনারেল উইলিয়াম পি বার ও বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার আই রসকে কংগ্রেস অবমাননার জন্য দায়ী করা হবে কিনা সে ব্যাপারে ভোট গ্রহণ বুধবার দিনের শেষ পর্যন্ত বন্ধ রাখেন। কামিংস এ পদক্ষেপকে কংগ্রেসের সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্বাবলী অগ্রাহ্য করার প্রশাসনের সার্বিক প্রয়াসের আরেকটি উদাহরণ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এটা প্রশ্ন তুলেছে যে ‘কী লুকানো হচ্ছে?’
বিচার বিভাগ তাদের চিঠিতে আরো বলেছে যে, সপিনার জবাবে তারা অনেক বিষয় হস্তাস্তর করেছে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ ও অ্যাটর্নি-মক্কেল আলোচনার অকপটতা রক্ষায় তারা নির্দিষ্ট কিছু তথ্য গোপনীয় রাখবে। বিচার বিভাগ উইলিয়াম পি বারের একটি মেমো সংযুক্ত করে যুক্তি দেখিয়েছে যে, নির্বাহী শাখার কর্মকাÐ নির্বাহের সক্ষমতা রক্ষার লক্ষ্যে এসব বিষয় গোপন রাখার জোর আগ্রহ রয়েছে। পক্ষান্তরে কংগ্রেস এটা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি যে, তাদের বৈধ আইনসম্মত কর্মকাÐের জন্য এসব তথ্য লাভ গুরুত্বপূর্ণ।
বার ট্রাম্পকে লিখেছেন, আমার সিদ্ধান্ত যে, আপনি যথাযথভাবে নির্বাহী সুবিধা প্রয়োগ করতে পারেন।
এ মুখোমুখি অবস্থা হচ্ছে হাউজের ডেমোক্র্যাট ও ট্রাম্পের মধ্যে বিস্তৃত বিরোধের সর্বশেষ পদক্ষেপ। ট্রাম্প তাদের সকল ওভারসাইট তদন্ত সপিনার বিরুদ্ধে লড়ার শপথ ব্যক্ত করেছেন। এটা সম্ভাবনা বৃদ্ধি করেছে যে, কংগ্রেসের ওভারসাইট-এর সাংবিধানিক ক্ষমতা এবং তথ্য গোপন রাখার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার মধ্যকার দুর্বল সীমারেখা নিরূপণের লড়াই দীর্ঘমেয়াদি আইনি যুদ্ধে রূপ নেবে। আইনের এই ক্ষেত্রটিতে কোথায় সীমারেখা টানতে হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদানের ক্ষেত্রে আগের অল্প কিছু নজির আছে। কারণ অতীতের বিরোধগুলো বেশির ভাগই আলোচনা ও উপযোজনার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে। তাই তা কখনোই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেনি।
কিন্তু ট্রাম্পের পদক্ষেপ ও তার প্রশাসনের নানা কর্মকাÐ যেমন তার গোপন ট্যাক্স প্রদান, কীভাবে ট্রাম্পের কয়েকজন সহযোগী নিরাপত্তা ছাড়পত্র লাভ করলেন এবং রবার্ট এস মুলারের তদন্তের অন্তর্নিহিত সাক্ষ্য প্রভৃতি বিষয়ে লড়ার ট্রাম্পের নির্লজ্জ শপথ মামলার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে যা সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত যাবার কথা বলছে, যদিও ততদিনে ট্রাম্পের মেয়াদ ফুরিয়ে আসবে।
হাউজ মঙ্গলবার মুলার তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি সপিনা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী শাখাকে নির্দেশ দিতে একটি মামলা দায়ের করতে জুডিশিয়ারি কমিটিকে ক্ষমতা দিয়েছে। সে সাথে পূর্ণাঙ্গ হাউজের ভোট ছাড়া অন্যান্য সপিনার উপর মামলা দায়ের করতে সুস্পষ্টভাবে কমিটিকে ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত হাউজ কংগ্রেসকে অবমাননার জন্য কোনো ট্রাম্প কর্মকর্তাকে দায়ী করে ভোট দেয়নি।
জনসংখ্যা গণনা লড়াই উদারপন্থীদের সন্দেহকে ঘিরে কেন্দ্রীভ‚ত যা উত্তরদাতাদের কাছে জানতে চাইছে যে, তারা আমেরিকান নাাগরিক কিনা এবং প্রতি দশ বছর অন্তর তারা হাউজের আসনে ভোটদানের যন্ত্র হিসেবে টানা-হেঁচড়ার উপকরণ হবে কিনা, বিশেষ করে সেসব স্থানে যেখানে বিপুল সংখ্যায় অভিবাসীরা বাস করে। এ ধারণার একটি ভাষ্য হল যা যুক্তরাষ্ট্রে আইনসঙ্গতভাবে বসবাসের কাগজপত্র যাদের নেই তারা তাদের প্রশ্নকারীদের সামনে ভীত হয়ে পড়বে যার ফল হবে জনসংখ্যা গণনা থেকে তারা বাদ পড়বে।
জনসংখ্যা গণনা ব্যুরো হিসাব করেছে, সকল মার্কিন নাগরিককে জিজ্ঞেস করা যে, তারা নাগরিক কিনা, তা যারা নাগরিক নয় এমন মানুষের জবাব দান ৫.৮ শতাংশ হ্রাস করবে। ডেমোক্র্যাটরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এটা হাউজ আসনে অধিবাসী হিসেবে টানা-হেঁচড়ার মধ্যে থাকা লোকদের রিপাবলিকানদের দিকে টেনে নেবে। হাউজ আসনগুলোর ভেটাদাতাদের এই টানাটানি হয় যোগ্য ভোটারদের নিয়ে নয়, যারা অভিবাসী তাদের নিয়ে।
কংগ্রেসে সাক্ষ্য দানকালে রস বলেন, ১৯৬৫ সালের ভোটাধিকার আইন বলবতে সাহায্য করার জন্য ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বিচার বিভাগের এক অনুরোধের জবাবে তিনি এই প্রশ্নটি এককভাবে যোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনজন ফেডারেল ট্রায়াল জজ রায় দেন, রেকর্ডের সাক্ষ্যপ্রমাণ বলে যে, রস সত্য বলছেন না। একজন মৃত রিপাবলিকান কৌশলবিদের কম্পিউটার ফাইলের নতুন তথ্য বলে যে, প্রশাসনের তথ্য সংগ্রহের প্রকৃত কারণ হচ্ছে ভোটদানকারী জেলাগুলোর শুধুমাত্র যোগ্য ভোটারদেরই ভোটদানে নেয়া, সকল অধিবাসীকে নয়। এটাই বর্তমান রীতি। কৌশলবিদ লিখেছেন, রিপাবলিকান ও অ-হিস্পানিক শ্বেতাঙ্গদের প্রতি অনুক‚ল হোন।
ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট জনসংখ্যা গণনার সাথে নাগরিকত্ব প্রশ্নটি যোগ করা আইনসঙ্গত কিনা তা বিচার করছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোয় এ ব্যাপারে রায় দিতে পারে। তবে এ মামলার ফলাফল যাই হোক না কেন, এ পদক্ষেপের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের উৎসাহিত করার বিষয়ে এক অপরের সাথে একান্তে কী বলাবলি করছেন, তা হাউজ ডেমোক্র্যাটরা জানতে চান।
ওভারসাইট কমিটির বুধবারের পদক্ষেপ এ বছরের দ্বিতীয় ঘটনা হতে পারে যে, একটি কমিটি ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়ী করার বিষয়টি অনুমোদন করেছে। বার প্যানেলকে মুলার রিপোর্টের অ-সম্পাদিত ভাষ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে জুডিশিয়ারি কমিটি তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে অবমাননার প্রস্তাব এনেছে।
বিচার বিভাগ সোমবার কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষ কৌঁসুলির সাক্ষ্যের কিছু অংশ শেয়ার করতে শুরু করার পর হাউজ নেতারা এখনকার মতো বারের বিরুদ্ধে ভোট না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই কারণে এটা পরিষ্কার নয় যে, হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে তাদের কর্তৃত্ব ব্যবহার করবে কিনা। ওভারসাইট কমিটির সপিনা লড়াইয়ে সদস্যরা একজন অধীনস্থের প্রতি বারের নির্দেশের প্রতিবাদ করেছেন। জনসংখ্যা গণনার সাথে সংশ্লিষ্ট ঐ ব্যক্তিকে তিনি একটি সপিনা পরিহার করার নির্দেশ দেন যাতে তাকে একটি সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন মঙ্গলবার তাদের একটি মেমো প্রকাশ করেছে। এতে দাবি করা হয়েছে যে, নির্বাহী সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এমন তথ্য প্রকাশ না করতে অধীনস্থদের নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বিষয়ে হাউজের রুল এক অসাংবিধানিক অনুপ্রবেশ।
ডেমোক্র্যাটরাও অভিযোগ করেছেন যে, রস কমিটিকে তাদের সপিনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল তথ্যে প্রবেশাধিকার না দেয়ার জন্য তার বিভাগ থেকে সকল তথ্য সংগ্রহে বাধা দেন।
রিপাবলিকানরা কমিটির পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানায় এবং কমিটিকে এগিয়ে যেতে বাধা দিতে ব্যর্থ হয়। তারা যুক্তি দেয় যে, ডেমোক্র্যাটরা রায় দেয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টকে প্রভাবিত করার জন্য তাড়াহুড়ো করে এ চেষ্টা চালায়। ট্রাম্প প্রশাসন ওভারসাইট তদন্তকে আইনি লড়াইয়ে নাক গলানোর চেষ্টা বলে আখ্যায়িত করে। সার্বিকভাবে এ সপ্তাহে কমিটিগুলো এবং পূর্ণ হাউজের পদক্ষেপ হাউজ স্পীকার ন্যান্সি পোলোসির কৌশলের অংশ। তিনি ট্রাম্পকে দ্রæত ইমপিচ করার আহবান স্থগিত করে এটাই বোঝাতে চাইছেন যে, অসদাচরণের জন্য তাকে ও তার প্রশাসনকে প্রকাশ্যে জবাবদিহি করার আরো পথ আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।