পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের সংস্কারমূলক দিকনির্দেশনা ও একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের পর ডিএসই থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিমত দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার জন্য সরকার বিশেষ গুরুত্বারোপ করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নতুন অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আশা করে, সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যে সব প্রস্তাবাদি রাখা হয়েছে এতে বাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে, যা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে। বিজ্ঞপ্তিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করায় ডিএসই আন্তরিক অভিনন্দন জানায়। টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার, পুঁজিবাজারের সুশাসন ও প্রণোদনা প্রদান বিষয়ে যে সুপরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অভিনন্দন জানায়। এতে আরও বলা হয়, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারমূলক দিকনির্দেশনা ও একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। ডিএসইর বিজ্ঞপ্তিতে পুঁজিবাজারের জন্য দেয়া উল্লেখযোগ্য প্রণোদনা হিসেবে, স্টক ডিভিডেন্ডর পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান, কোনো কোম্পানির কোনো আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান, পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।