পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক নিয়োগে গত সোমবার যে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে সেটি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে পুলিশ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করায় শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
গতকাল নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি বলেন, চিকিৎসক নিয়োগে যে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল সেটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া বালিত করা হবে নাকি চালিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়ে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতয়ান থাকায় তারা মূল ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ১১টার দিকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ ভিসি’র কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক আহসান হাবীবকে পুলিশ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। এমনকি ভিসি’র কার্যালয়ের একই ভবনের চতুর্থ তলায় পাবলিক হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পালের নিজ অফিসকক্ষে যেতে চাইলে তাকে পুলিশ আটকে মারধর করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক এবং স্বচিপ নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়ে ভিসি’র কার্যালয়ে প্রবেশ করে এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। তারা ভিসিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানায়। এ সময় বিক্ষাভরত শিক্ষার্থীরা ভিসি’র কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং ভিসি’র পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এরই মধ্যে একটি গ্রুপ ভিসি’র কার্যালয় ভাংচুর চালায় এবং সেখানে ব্যপক হইচই করে।
পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পাল বলেন, বেলা ১১টার দিকে আমি নিজ কার্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বি বøকের ৪ তলায় ৩০৯ নম্বর কক্ষে যেতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। তারা আমাকে আটকে পায়ে বুটের লাথি মারতে থাকে, হাতেসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুষি দেয় এবং এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরে। এর আগে সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক আহাসন হাবীবকে লাঞ্ছিত করে পুলিশ। এছাড়া এসময় বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. নিরুপম চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার আতিকুজ্জামান ও জাকির হোসেন পুলিশী নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে ভিসি’র কার্যলয়ে প্রবেশ করে এবং এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ জানান, তারা মূলতো বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকদিনে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়।
এদিকে বিক্ষোভরত চাকরি প্রার্থীরা গতকাল বেলা ২টার দিকে ভিসি’র কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বটতলায় অবস্থান নেয়। তারা জানায়, নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।