পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কল্যানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার তার ফেসবুক পেজে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কটূক্তি, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সহ ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন অশালীন লেখা প্রকাশ করে। এই কথা প্রকাশ হলে গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয় জনতা স্কুল মাঠে জড়ো হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে। এ সময় স্কুল পরিচালনা কমিটির জরুরী মিটিংয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার, ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ও থানায় অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয় জনতা শান্ত হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি ও মাধ্যমিক শিক্ষ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের কল্যানী উচ্চবিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার তার ফেসবুক আইডির পেজে ইসলাম ধর্ম ও রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে নানা বাজে মন্তব্য প্রকাশ করে। বিষয়টি ২৯ মে ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র নাজমুল ইসলামসহ কয়েকজন ছাত্র বিএসসি শিক্ষককে জানিয়ে বলে আপনার ফেসবুক আইডিতে আমাদের ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য লেখা আছে। আপনি এগুলো মুছে ফেলেন কিন্তু ওই শিক্ষক সে বিষয়ে কোনই কর্ণপাত করেনি। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এলাকায় মুখে মুখে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার মানুষ বিষয়টি নিশ্চিত হতে কৃষ্ণ কুমার আইডির ফেসবুক পেজ ওপেন করে ঘটনার সত্যতা জানতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার সন্ধ্যা হতেই কল্যানীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। তারা ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বহিষ্কার, গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গতকাল সোমবার সকাল হতেই স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্কুল মাঠে লোক সমাগম বাড়তে বাড়তে এক সময় জনসমাবেশে পরিণত হয়। তাদের মুখে তখন একটাই কথা ধর্মের অবমাননাকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচার করতে হবে। কল্যানী গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব, হিটলারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, রাসুল (সাঃ) নিয়ে অবমাননাকারী কোন ব্যক্তিকে এখানে আসতে দেয়া হবে না। তাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ওই স্কুলের ইসলাম ধর্ম শিক্ষক মাওঃ নজির উদ্দিন জানান, যা শুনেছি ওই ধরনের লেখা কোন মুসলমানের পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তিনি কি উদ্দেশে এই জঘন্য কাজ করেছেন তা আমরা বলতে পারবো না। এ ব্যাপারে শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বীর যুবসংঘের ফেসবুক আইডি থেকে আমার ফেসবুক আইডিতে এসেছে। ভুল করেই শেয়ার হয়েছে। তা আমি জানি না।
ওসি খান মো এরফান জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তারা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে অবশ্যই দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সরোয়ার জাহান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দেবে সে অনুযায়ী আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।