Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মারাত্মক কুফরী ভয়ঙ্কর শিরকী পাঠ্যসূচি শরীরে রক্ত থাকতে কোনো মুসলমান মানবে না

ছাত্র ঐক্যের আলোচনায় ইসলামী নেতৃবৃন্দ

প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ও হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচি বাতিলের দাবিতে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে রাজধানী বিএম মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় রাজনীতিবিদ ও বরেণ্য শিক্ষাবিদদের মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় ইসলামী নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যমান সিলেবাসের মাধ্যমে সুকৌশলে এদেশের মুসলিম শিশু কিশোর যুবকদের মন-মানস থেকে ইসলামীবোধ এবং চেতনা তুলে দেয়ার পাঁয়তারা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্মৃতি থেকে ৪৭ এর নির্মম বাস্তবতাকে মুছে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছে। এভাবে মুসলিম বাঙালির সকিয়তা নিজস্বতা উঠিয়ে দিয়ে ভারতের পশ্চিম বাংলার সাথে আমাদেরকে বিলীন করে দেয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে। বর্তমান সিলেবাস সবচেয়ে কুফরী ও ভয়ানক শিরক-এর সিলেবাস। শিরক হচ্ছে ক্ষমাহীন ভয়ানক অপরাধ। শরীরের রক্ত থাকা পর্যন্ত কোনো মুসলমান এ শিরকী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও পাঠ্যসূচি মেনে নিবে না। এ সিলেবাস প্রতিহত করতে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আদলে ইসলামী দল ও সংগঠনসমূহকে ঐক্যবদ্ধ জোরদার আন্দোলন করতে হবে।
গতকাল ছাত্র ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল ইসলাম আল-আমীনের সভাপতিত্বে ইসলামী নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, মোসাদ রাজনীতি নীতি-নির্ধারকদের ঘাড়ের উপর চেপে বসেছে। একইভাবে মোসাদ ‘র’কে নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর চেপে বসেছে। আর তাই শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাসচিব পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষার সকল স্তরের নীতি-নির্ধারক পদে হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদদের পদায়ন করা হয়েছে। আর এরই ফলশ্রুতি হচ্ছে বর্তমান শিক্ষানীতি, পাঠ্যসূচি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন। একইভাবে মোসাদ মিডিয়ার উপরও চড়ে বসেছে। এ কারণেই পাঠ্যসূচি নিয়ে চলমান আন্দোলন মিডিয়ায় তেমন প্রচারিত হচ্ছে না।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা ঈশা শাহেদী, ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী, আন্জুমানে আল ইসলাহের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবু নসর জিহাদী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, খেলাফতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মোস্তফা তারিকুল হাসান, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীন, জমিয়তে ইসলাম ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ আন্জুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা চৌধুরী গিলমানের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন খান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ আন্জুমানে তালামীযে ইসলামিয়া এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল কাদীর এবং বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আল আমীন। আরো উপস্থিত ছিলেন সকল ছাত্র সংগঠনের সেক্রেটারিগণ।
জাতীয় ইমাম সমাজ
ধর্মহীন শিক্ষানীতির আলোকে প্রণীত শিক্ষা আইন বাতিল এবং শিক্ষা পাঠ্যসূচি সংস্কারের দাবিতে চকবাজারে অনুষ্ঠিত জাতীয় ইমাম সমাজের প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এই শিক্ষা আইন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্ধারের দিকে ঠেলে দিবে। মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঈমান আক্বিদার মূলে আঘাত করবে। এই চক্রান্ত সম্পর্কে দেশের মানুষকে সতর্ক ও সজাগ করার জন্য ইমাম খতিবদের মিম্বর ও মঞ্চ রয়েছে। এখান থেকে ইমামদের জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে।
গতকাল চকবাজার জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ধর্মহীন শিক্ষানীতি ২০১০ এবং শিক্ষা আইন বাতিল এবং হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস সংস্কারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ক্বারী আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ইসলামবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মঞ্জুুরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা বেলায়েত হোসাইন ফিরোজী। এছাড়াও বিভিন্ন থানা কমিটির দায়িত্বশীলগণ বক্তব্য রাখেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নুরুদ্দিন লাহোরী, মুফতি তাসলিম আহম্মদ, মাওলানা হামিদুল হক, মাওলানা আনোয়ারুল হক, মাওলানা আব্দুল হক, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা যুবায়ের আহম্মদ কাসেমী, মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সাঈফি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।



 

Show all comments
  • Din Islam ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০৫ পিএম says : 0
    আন্দোলন সফল হোক
    Total Reply(0) Reply
  • MD Mustafizur Rahman ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০৫ পিএম says : 0
    100%
    Total Reply(0) Reply
  • Reza Karim ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০৭ পিএম says : 0
    Yes
    Total Reply(0) Reply
  • Md mizan ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:২৪ পিএম says : 0
    এ আন্দোলনের সাথে থাকা আমাদের সকলের একটা গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব। সফল হোক সার্থক হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মারাত্মক কুফরী ভয়ঙ্কর শিরকী পাঠ্যসূচি শরীরে রক্ত থাকতে কোনো মুসলমান মানবে না
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ