পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের হিসেব দিতে শিবপুরে সাবেক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা নিয়ে নরসিংদী রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সর্বত্রই চলছে পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্নমুখী আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সিরাজ মোল্লার দলীয় প্রতিপক্ষরা বিষয়টিকে মুখে মুখে নিন্দাবাদসহ ছড়িয়ে দিয়েছেন শিবপুর তথা নরসিংদীর আনাচে কানাচে।
পক্ষান্তরে ,সিরাজ মোল্লার দলীয় সমর্থকরা ঘটনাটিকে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তারা বলছে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার কারণে দলীয় প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে দুদকে ফাঁসিয়ে নিজেদের কায়েমী স্বার্থকে নিষ্কণ্টক করার ষড়যন্ত্র করছে।
তারা বলছে, সিরাজ মোল্লা একজন ভদ্র রাজনীতিক হিসেবে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। ১০ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে এমপি হয়েছিলেন। এরপরও কায়েমি স্বার্থবাদীরা ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজ মোল্লাকে শিবপুর থেকে মনোনয়ন দেয়নি।যার ফলে, তিনি তার সমর্থকদের চাপে বাধ্য হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। সুষ্ঠু ভোটাভুটি হলে সিরাজ মোল্লা বিপুল ভোটে জয়ী হতেন। তার নিশ্চিত বিজয় দেখেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিপক্ষরা কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে তার জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কায়েমী স্বার্থবাদী মহলটি তাদের অবৈধ্ রুটি-রুজির পথকে পরিষ্কার করার জন্য সিরাজ মোল্লাকে দুদকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। শিবপুর তথা নরসিংদীর সাধারণ রাজনীতিকরা বলছেন, সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে, একথাও সত্য যে তিনি আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ডের নিচে থেকে টাকা উপার্জন করেননি। সম্পদের বৈধতা বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তিনি বহু আগে থেকেই টাকা উপার্জন করেছেন। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি একাধারে শিল্পপতি, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিক। তার রয়েছে জাহাজের ব্যবসা, ব্যাংকের ব্যবসা, পাটকলের ব্যবসা, সিরামিক ব্যবসা, শিক্ষা ব্যবসা সহ বহুমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।এছাড়া দেশ-বিদেশে তার বহু সংখ্যক জমিজমা ও বাড়িঘর রয়েছে বলে জানা গেছে। তার এসব শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দেশের হাজারো, লাখো মানুষের জীবন- জীবিকার পথ করে দিয়েছেন। শিবপুরের তার দলীয় প্রতিপক্ষের অনেক নেতাই তার নিকট থেকে অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। রাজনীতিতে আসার পূর্বে তার এসব সম্পদ নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। রাজনীতিতে এসেই সম্পদ নিয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন সিরাজ মোল্লা। তাও তার দলীয় প্রতিপক্ষের লোকদের ষড়যন্ত্রের কারণে।
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আওয়ামী লীগের রাজনীতিক হলেও তার পিছনে দলমত নির্বিশেষে একশ্রেণীর মানুষের সমর্থন রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে তিনি দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েদেরকে তার ব্যবসা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিয়েছেন। যা থেকে শিবপুরের রাজনীতিতে তার একটি গণভিত্তি সৃষ্টি হয়েছে।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হবার পর সিরাজ মোল্লা একশ্রেণীর সুবিধাবাদী চাটুকার বেষ্টিত হয়ে পড়েন। স্বতন্ত্র এমপি হয়ে তার আত্মদম্ভ বেড়ে যায়। তিনি এমপিগিরি নিয়েই আত্মমশগুল হয়ে যান।সংগঠনকে তার নিজের কব্জায় নেয়ার কোন কৌশল অবলম্বন করতে পারেননি। রাজনৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে কোন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেননি।
শিবপুর একটি রাজনৈতিক সচেতন এলাকা। এতদসত্ত্বেও তিনি দলের ভিতরে তার নিজের অবস্থানকে পাকাপোক্ত করতে কোন কৌশল অবলম্বন করতে পারেননি। স্থানীয় বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সিরাজ মোল্লা শিবপুর রাজনীতি করেছেন তার টাকা ও সম্পদের জোরে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপর তিনি কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গঠনে কাজে লাগাতে পারেননি। উপরন্তু শিবপুরের চতুর আওয়ামী লীগ নেতারাই তাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। আর এর প্রকৃষ্ট কারণ হচ্ছে, তিনি সুশীল ও বুদ্ধিমান রাজনীতিকদেরকে নির্বাসনে দিয়ে টাউট রাজনীতিকদেরকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন।যুব লীগের যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ শিবপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে সিরাজ মোল্লাকে গ্রামে গ্রামে নিয়ে পরিচিত করিয়েছেন তাদের অনেকেকই ল্যাং মেরেছেন সিরাজ মোল্লা।অতিরিক্ত টাকার মালিক বলে তিনি সকল সমস্যার সমাধান করতেন টাকা দিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন যুবলীগ নেতা জানিয়েছেন, অর্থ ও সম্পদে অন্ধ সিরাজ মোল্লা এমপি হবার পর মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে ছেলে ছিলেন। নেতাকর্মী এবং জ্ঞানী লোকদের প্রতি তার সম্মান বোধ লোপ পেয়ে গিয়েছিল।সিরাজ মোল্লা খুব ধনী পরিবারের লোক ছিলেন না। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরে তার জন্ম। তবে তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন। এক সময় তিনি ডলারের ব্যবসা করতেন। আর তখন থেকেই তিনি টাকার মালিক হতে থাকেন।এক পর্যায়ে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। সম্পদ অর্জন করে হাজার হাজার কোটি টাকার। ডলারের ব্যবসা করতেন বলে তার নাম হয় ডলার সিরাজ। শিবপুর এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার নামের সাথে কথাটি চাপা পড়ে যায়। তিনি হয়ে যান এমপি সিরাজ । শুধু ডলার সিরাজ পরিচিতিকালে তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়নি। এমপি হবার পর এবার দুদকে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিরাজ মোল্লার সমর্থকরা বলছে, তারপর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণিত হবে না। কারণ তিনি বৈধভাবেই ব্যবসা করেন। সরকারকে বিপুল অঙ্কের ট্যাক্স প্রদান করেন। পক্ষান্তরে বিরোধীরা বলছে, একজন সাবেক এমপি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি বা রাজনীতিক হিসেবে দুদকে তলব করাই মানহানিকর।#সরকার আদম আলী ,নরসিংদী।১০/৬/১৯
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।