পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিতর্কিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজান, ওরফে মিজানুর রহমান। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটি তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। এ বিষয়ে দু’জনের মধ্যেকার কথপোকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।
এই অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ডিআইজি মিজানের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক।
রোববার (৯ জুন) দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন— দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) সাঈদ মাহবুব খান ও মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মফিজুল ইসলাম ভূইয়া। আজ সোমবার (১০ জুন) তাদের কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া কথা রয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন অভিযুক্ত দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। তিনি ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক ও ভালো অফিসার হিসেবে পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।
ডিআইজি মিজানের ফাঁস করা রেকর্ডে শোনা যায়, এনামুল বাছির অনুসন্ধানের সময় ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে গত ১৫ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। প্রথমবার ২৫ লাখ ও পরে ১৫ লাখ টাকা নেন তিনি।
দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে ডিআইজি মিজান শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কমিশনের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় কমিশন। পরে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে বাদ দিয়ে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
এরপর খন্দকার এনামুল বাছির ২৩ মে কমিশনে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশসহ অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বলা হয়, ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদ ডিআইজি মিজানের দখলে রয়েছে। এর মধ্যে তার নিজের নামে ১ কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের নামে মিজানের সম্পদ রয়েছে ৯৫ লাখ ৯১ হাজার টাকার। আর ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানের নামে রয়েছে তার এক কোটি টাকার সম্পদ। সব মিলিয়ে দলিল মূল্যে ডিআইজি মিজানের সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে তার আয় পাওয়া গেছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং ব্যয় পাওয়া গেছে ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার। আয়-ব্যয় বাদ দিয়ে ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার টাকার।
ডিআইজি মিজান বলছেন, তিনি দুদক পরিচালককে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছি। আমি কোনো অন্যায় করেনি। একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে এ দেশে কখনো দুর্নীতি দমন হবে না।
ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির সারাবাংলাকে বলেন, অভিযোগটি একদম বানোয়াট। তিনি (ডিআইজি মিজানুর রহমান) এসবে (প্রযুক্তি) বেশ পটু। ভয়েস রেকর্ড তিনি বানিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হওয়ায় তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে ঘুষ বা লেনদেনের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। এছাড়া রেকর্ডে আমার কথা ঠিকভাবে বোঝাও যাচ্ছে না। সে অপরাধ করেছে, তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।