পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার কারাগারে অথবা সাবজেলে ঈদ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত বছরও ঈদ করেছিলেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে। তবে জীবনে এবারই প্রথম হাসপাতালে ঈদ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ঈদ করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালের ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গী গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়াকে দেয়া হয়েছে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি। এসবই ঢাকা কেন্দ্রীয় ( (কেরানীগঞ্জ) কারাগারের কারারক্ষীদের তৈরি। তবে অন্যান্য কয়েদির মতো নয়, তার খাবার তৈরি হবে চিকিৎসকের পরামর্শ ও ডায়েট চার্ট অনুযায়ী।
খালেদা জিয়ার দুপুরের মেন্যুতে ভাত অথবা পোলাও থাকতে পারে। এগুলোর সঙ্গে পাবেন ডিম, রুই মাছ, মাংস আর আলুর দম। রাতে থাকছে পোলাও। সঙ্গে গরু অথবা খাসির মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন, পান-সুপারি এবং কোমল পানীয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম বলেন, একজন বন্দির মতো খালেদা জিয়া কারা জেল কোড অনুযায়ী খাবার পাবেন। ঈদের দিন অনুমতি সাপেক্ষে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তারা ঈদের দিন বেগম জিয়ার জন্য খাবারও নিয়ে আসতে পারবেন। কারা কর্তৃপক্ষ সেসব খাবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে খেতে দেবে।
ঈদের দিনে পরিবার ও দলের শীর্ষ নেতারা তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাবেন বলে জানা গেছে। শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শীর্ষ নেতারা। পরে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য দলীয় প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।
দুপুরের পর পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন সাক্ষাৎ করতে যাবেন বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার কারাবাস এবারই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর তিনি মোট চারবার গ্রেফতার হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি গ্রেফতার হন। তবে তখন তাকে বেশি দিন বন্দি থাকতে হয়নি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয়ে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার স্থাপিত বিশেষ সাব জেলে ৩৭২ দিন ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।