পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হত্যাকা-ের জন্য বিএনপি ও তার জোটসঙ্গীদের দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি ও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ‘বেছে বেছে হত্যার’ এই পথ নিয়েছে তারা। উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুপ্তহত্যা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, লক্ষ্য একটাইÑ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা সৃষ্টি করা। আগে প্রকাশ্যে শুরু করেছে। এখন গুপ্তহত্যা শুরু করেছে।
টোকিওর ইমপেরিয়াল হোটেলের হলরুমে গতকাল রোববার দুপুরে জাপান প্রবাসীদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। অন লাইন বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ২৪ এ খবর জানায়।
গত বছর বিএনপি-জামায়াত জোটের তিন মাসের হরতাল-অবরোধে নাশকতায় প্রাণহানির প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তখন বিএনপির কাজ পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারা। মনে হলো যেন, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার মহোৎসব শুরু হয়েছে। এটিই নাকি তাদের আন্দোলন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করাটা তাদের কাজ।
তবে জনগণ বিএনপির ওই আন্দোলনে সমর্থন দেয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, বরং জনগণ তাদের প্রতিহত করেছে। তাই বিএনপি নেত্রী রণে ভঙ্গ দিয়ে কোর্টে হাজিরা দিলেন এবং বাসায়ও ফিরে গেলেন। এটা কেন করল? ওই যে যুদ্ধাপরধীরা তাদের সাথে আছে।
ওই আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ‘বেছে বেছে মানুষ হত্যা’ শুরু করেছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরীহ মানুষ, মন্দির ও গির্জার পুরহিত, ফাদার, বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করল; যেন বিদেশে সেনসেশন তৈরি হয়। প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বাংলাদেশকে।
গত মাসে কলাবাগানে সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকা- নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণির আপন খালাতো ভাই (জুলহাজ) ও তার বন্ধুকে ঘরে ঢুকে হত্যা করল। সে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে কাজ করত, পরে ইউএসআইডিতে ছিল। তারা তো আমাদের মতাদর্শেরই। তাদের হত্যা করা হল। কারণ এটা নিয়ে আমেরিকা যেন প্রশ্ন করে।
যতো বাধাই আসুক না কেন যুদ্ধাপরাধের বিচার চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আজকে জাতির আকাক্সক্ষা। আজকে বাংলাদেশের মানুষ অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে। অনেক বাধা-বিপত্তি আমাদের ওপর এসেছে, কিন্তু আমরা বিচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের দুই মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি। যুদ্ধাপরাধী দুইজনকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। তাদের দু’জনেরই যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বিচার হয়েছে। ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।
যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাস করে না- তারা কীভাবে বাংলাদেশের কল্যাণকামী হতে পারে সে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ আসলেই দেশের উন্নয়ন হয়। বিদেশে ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হয়।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিদেশিদের নজর কেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই বিদেশে যাই তখনই আমাকে একটা প্রশ্ন মোকাবেলা করতে হয়- এই অসম্ভব সম্ভব হয় কী করে, এটা একটা মিরাকল। কীভাবে বাংলাদেশ এতো উন্নয়ন করতে পারল?
অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বাজেট তিন গুণ বৃদ্ধি করেছি। সামনের বাজেট আরও বড় বাজেট আসছে। সেটা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ করেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় ১৬৪৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে ২ হাজার ডলারের কোটা ছাড়িয়ে যাবে।
রপ্তানি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যেহেতু বেড়েছে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাড়ছে। ৫ শতাংশ মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি মানুষ নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে উঠে আসতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, যদিও আমরা ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি, কিন্তু আমি সব সময় বলি, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা নিম্নে থাকতে পারি না। আমরা ঊর্ধ্বে উঠবোই এবং সেটাই হবে আমাদের লক্ষ্য। কথায় আছে, নিয়ত গুণে বরকত। নিয়ত থাকায় আমরা যেখানে হাত দিয়েছি, সেখানে সাফল্য অর্জন করেছি।
প্রবাসীদের প্রতি দেশ নিয়ে হতাশা নয়, আশাবাদের কথা বলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলাদেশ শুনলে অনেকে নাক সিঁটকাত, অসম্মানের চোখে দেখত। বাংলাদেশের কিন্তু সেই অবস্থান এখন আর নেই। এই সম্মানটা ধরে রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের প্রবাসীদের ওপর বর্তায়।
জাপানের মতো অবকাঠামো গড়ে তোলার স্বপ্নের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাপানের সঙ্গে মিলিয়ে আমি আমাদের অবকাঠামো দেখছিলাম। উন্নত দেশ জাপান, তাদের সঙ্গে আমাদের তুলনা সাজে না। আমাদের দেশকে কবে এমন উন্নত করব সেই স্বপ্ন দেখতে তো কোনো অসুবিধা নাই। এরইমধ্যে যে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে তাতে ঢাকা শহরের চেহারা ‘পাল্টে গেছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। পায়রা বন্দর, কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ বিভিন্ন স্থানে গভীর সমুদ্রবন্দর করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
ব্যাপক আকারে যাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসে সেজন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আমরা করব, যাতে দেশি-বিদেশি সবাই বিনিয়োগ করতে পারেন। কারণ বিনিয়োগ ছাড়া উন্নয়ন হবে না, সেটা আমি বিশ্বাস করি।বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি এবং বিভিন্ন রকম অবকাঠামো নির্মাণ আমরা করে যাচ্ছি। সেখানে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা আমরা দিচ্ছি। জাপানকে বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রামে ৫০০ একর জায়গা দেয়া হবে বলে জানান তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আখতারুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানের ব্যবসায়ীদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস ঃ
বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য জাপানের ব্যবসায়ীদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপানের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের দ্বার অবারিত রাখার পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এই বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস এ খবর জানায়। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক প্রাতরাশকালীন বৈঠকে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাপানের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের আমাদের তারুণ্যদীপ্ত যুব জনশক্তি এবং সরকার প্রদেয় সুবিধাবলী কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগেরও আহবান জানান।তিনি বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমার দরজা আপনাদের জন্য খোলা রয়েছে। আমি চাই জাপানি বন্ধুরা আমাদের তারুণ্যদীপ্ত যুব জনশক্তি এবং প্রদেয় ব্যাপক সুবিধাদি কাজে লাগাক।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাপানি ব্যবসায়ীদের কল-কারখানা স্থাপন এবং প্রত্যেক জাপানি নাগরিকের জন্য সম্ভব সর্বোচ্চ নিরাপদ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে তিনি নির্দেশ প্রদান করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাজনিত শংকায় থাকতে পারেন। কিন্তু আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করছি যে, আমাদের সরকার যে কোন প্রকার সন্ত্রাস এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কেও আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প, কৃষি ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক শিল্প স্থাপন, অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, পানি সম্পদ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সম্ভাব্য প্রধান বিনিয়োগের ক্ষেত্র হতে পারে।
জাপানের সমাজিক প্রেক্ষাপট রোবট ইভোল্যুশনের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ও এরসঙ্গে সমন্বয় হতে পারে বিশেষ করে ইমাজেনেটিভ সফটওয়্যার, শেয়ারড/ক্লাউড-বেসড প্রসেসিং এবং জেনেরিক কম্পিউটিং আর্কিটেকচার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্প আপনাদের আগ্রহী করে তুলতে পারে, আমাদের ব্লু ইকোনমিও ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র সঙ্গে বৈঠকে তাদের মধ্যে জাপানের রিভাইটালাইজেশন স্ট্রাটেজি এবং মান সম্পন্ন যৌথ ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়ে কথোপকথনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ আধুনিক যুব জনশক্তি এবং দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান, উন্নয়নের আকাঙ্খা এবং সেই সাথে শিল্পায়নের পরিকল্পনা জাপানের রিভাইটালাইজেশন পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে।
তিনি সারাদেশে বিনিয়োগের জন্য একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বেশ কয়েকটি আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ইতোমধ্যেই এসবের ৩৩টির নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী চার বছরের মধ্যে সরকার আরো প্রায় এক কোটি বাংলাদেশীকে শিল্প কারখানায় কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বলেও তিনি জানান।
জাপানকে বাংলাদেশের অন্যতম পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণও এক্ষেত্রে জাপানি বিনিয়োগকে উচ্চ মর্যাদা এবং কর্তব্যনিষ্ঠা সহযোগে গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশের হাল্কা ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রিকে জাপানের ভারী শিল্প কারখানাতে এবং অতিরিক্ত পণ্য হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে করে এটি ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাজারে জায়গা করে নিতে পারবে।
বর্তমান সরকার দেশের আরও কিছু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে পাট, মৎস এবং বস্ত্র খাত রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সম্ভবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্ভাবনাময় এই ক্ষেত্রটিতে যৌথ বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া সরকারও তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরী হিসেবে গড়ে তোলায় উৎসাহিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো ছাড়াও জাপান বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন, এডভান্সড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল লাইন এবং ব্যাপক সম্ভাবনাময় পাট খাতে যৌথ বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
কিছু কিছু শিল্প কারখানা এবং অবকাঠামোর রেট্রো-ফিটিং প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান এক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের জ্বালানি, জলবায়ু, পানি, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য জ্বালানির প্রয়োজন মেটাতেও জাপান এগিয়ে আসতে পারে।
বাংলাদেশ বর্তমানে স্বতন্ত্র বন্ড ছাড়ার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে নতুন ব্যাংক স্থাপনেও জাপানের বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসতে পারেন বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে সরকার ’ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ সুবিধা প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি জাপানি বিনিয়োগকারীদের সম্ভব সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করে বলেন, আমি আপনাদের যে কোন প্রকার প্রণোদনা প্যাকেজ, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সংযোগ, সরবরাহ ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান, বিভিন্ন প্রদেয় ট্যাক্স শিথিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুবিধাবলী প্রদানে সানন্দে রাজী আছি।
বৈঠকে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ও জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেটরো) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এই সমঝোতা স্মারককে বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরের জন্য প্রথম জাপানি স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করছে এফবিসিসিআই। সংগঠনটি বলছে, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের প্রাইভেট সেক্টরে নতুন নতুন বিনিয়োগের পথ খোঁজা যাবে। বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ ও নেতা মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ ডনসহ সংগঠনের শীর্ষ নেতা এবং ‘জেটরো’র শীর্ষ নেতা ও জাপানের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাপানে ব্যস্ত সফর কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতরাত ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটে বিজি-১০৭৯।
এর আগে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় টোকিওর হানেদা বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান জাপানের রাষ্ট্রাচার প্রধান কাওরু শিমাজাকি, টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
cÖ‡kœi gy‡L †dj‡Z †e‡Q †e‡Q nZ¨v
Rvcvb bvMwiK msea©bvq cÖavbgš¿x
we‡kl msev``vZv
evsjv‡`‡k mv¤cÖwZK nZ¨vKv‡Ði Rb¨ weGbwc I Zvi †RvUm½x‡`i `vqx K‡i cÖavbgš¿x †kL nvwmbv e‡j‡Qb, †`‡k Aw¯’wZkxjZv ˆZwi I hy×vcivax‡`i euvPv‡Z Ô†e‡Q †e‡Q nZ¨viÕ GB c_ wb‡q‡Q Zviv| D‡Ïk¨g~jKfv‡e ¸ßnZ¨v n‡”Q gšÍe¨ K‡i wZwb e‡jb, jÿ¨ GKUvBÑ †`‡k Aw¯’wZkxj cwi‡ek ˆZwi Kiv, Avi hy×vcivax‡`i wePv‡i evav m„wó Kiv| Av‡M cÖKv‡k¨ ïiæ K‡i‡Q| GLb ¸ßnZ¨v ïiæ K‡i‡Q|
†UvwKIi Bg‡cwiqvj †nv‡U‡ji njiæ‡g MZKvj †iveevi `ycy‡i Rvcvb cÖevmx‡`i Av‡qvwRZ bvMwiK msea©bv Abyôv‡b e³‡e¨ GK_v e‡jb wZwb| Ab jvBb evZ©v ms¯’v wewWwbDR24 G Lei Rvbvq|
MZ eQi weGbwc-RvgvqvZ †Rv‡Ui wZb gv‡mi niZvj-Ae‡iv‡a bvkKZvq cÖvYnvwbi cÖm½ †U‡b †kL nvwmbv e‡jb, Avgiv hLb †`k‡K GwM‡q wb‡q hvw”Q, ZLb weGbwci KvR cywo‡q cywo‡q gvbyl gviv| g‡b n‡jv †hb, Av¸b w`‡q gvbyl cywo‡q gvivi g‡nvrme ïiæ n‡q‡Q| GwUB bvwK Zv‡`i Av‡›`vjb| ivó«xq m¤ú` aŸsm KivUv Zv‡`i KvR|
Z‡e RbMY weGbwci IB Av‡›`vj‡b mg_©b †`qwb gšÍe¨ K‡i wZwb e‡jb, eis RbMY Zv‡`i cÖwZnZ K‡i‡Q| ZvB weGbwc †bÎx i‡Y f½ w`‡q †Kv‡U© nvwRiv w`‡jb Ges evmvqI wd‡i †M‡jb| GUv †Kb Kij? IB †h hy×vciaxiv Zv‡`i mv‡_ Av‡Q|
IB Av‡›`vj‡b e¨_© n‡q weGbwc Ô†e‡Q †e‡Q gvbyl nZ¨vÕ ïiæ K‡i‡Q Awf‡hvM K‡i cÖavbgš¿x e‡jb, wbixn gvbyl, gw›`i I wMR©vi cyiwnZ, dv`vi, we‡`wk bvMwiK‡`i nZ¨v Kij; †hb we‡`‡k †mb‡mkb ˆZwi nq| cÖ‡kœi m¤§yLxb n‡Z nq evsjv‡`k‡K|
MZ gv‡m KjvevMv‡b mgKvgx AwaKviKg©x RyjnvR gvbœvb I Zvi eÜy bvU¨Kg©x gvneye iveŸx Zbq nZ¨vKvÐ wb‡q †kL nvwmbv e‡jb, Avgv‡`i mv‡eK ciivó«gš¿x `xcy gwYi Avcb Lvjv‡Zv fvB (RyjnvR) I Zvi eÜy‡K N‡i Xy‡K nZ¨v Kij| †m Av‡gwiKvb A¨v¤^vwm‡Z KvR KiZ, c‡i BDGmAvBwW‡Z wQj| Zviv †Zv Avgv‡`i gZv`‡k©iB| Zv‡`i nZ¨v Kiv nj| KviY GUv wb‡q Av‡gwiKv †hb cÖkœ K‡i|
h‡Zv evavB AvmyK bv †Kb hy×vciv‡ai wePvi Pvwj‡q hvIqvi cÖZ¨q Rvwb‡q †kL nvwmbv e‡jb, hy×vcivax‡`i wePvi AvR‡K RvwZi AvKv•ÿv| AvR‡K evsjv‡`‡ki gvbyl Awfkvc gy³ n‡”Q| A‡bK evav-wecwË Avgv‡`i Ici G‡m‡Q, wKš‘ Avgiv wePvi KvR Pvwj‡q hvw”Q| weGbwc †bZ…Z¡vaxb Pvi`jxq †RvU miKv‡ii `yB gš¿x gwZDi ingvb wbRvgx I Avjx Avnmvb †gvnv¤§` gyRvwn‡`i hy×vciv‡a g…Zy¨`Ð Kvh©Ki nIqvi K_vI Zy‡j a‡ib wZwb| hy×vcivax `yBRb‡K gš¿x evwb‡q Zv‡`i nv‡Z cZvKv Zy‡j w`‡qwQj| Zv‡`i `yÕR‡biB hy×vcivax wnmv‡e wePvi n‡q‡Q| duvwmi ivq Kvh©Ki n‡q‡Q|
hviv gyw³hy‡×i Av`‡k© wek¦vm K‡i bv- Zviv Kxfv‡e evsjv‡`‡ki Kj¨vYKvgx n‡Z cv‡i †m cÖkœ Zy‡j †kL nvwmbv e‡jb, AvIqvgx jxM Avm‡jB †`‡ki Dbœqb nq| we‡`‡k fvegh©v`v D¾¡j nq|
MZ K‡qK eQ‡i evsjv‡`‡ki Dbœqb we‡`wk‡`i bRi †K‡o‡Q Rvwb‡q cÖavbgš¿x e‡jb, hLbB we‡`‡k hvB ZLbB Avgv‡K GKUv cÖkœ †gvKv‡ejv Ki‡Z nq- GB Am¤¢e m¤¢e nq Kx K‡i, GUv GKUv wgivKj| Kxfv‡e evsjv‡`k G‡Zv Dbœqb Ki‡Z cvij?
A_©‰bwZK AM«MwZ wb‡q wZwb e‡jb, Avgiv ev‡RU wZb ¸Y e„w× K‡iwQ| mvg‡bi ev‡RU AviI eo ev‡RU Avm‡Q| †mUv Ki‡Z Avgiv mÿg n‡qwQ| Avgv‡`i cÖe…w× 7 `kwgK 05 K‡iwQ| Avgv‡`i gv_vwcQy Avq 1644 Wjv‡i DbœxZ n‡q‡Q| Avkv Kwi wKQyw`‡bi g‡a¨ 2 nvRvi Wjv‡ii †KvUv Qvwo‡q hv‡e|
ißvwb I †iwg‡UÝ e„w×i K_v Zy‡j a‡i wZwb e‡jb, Avgv‡`i †`‡ki gvby‡li µqÿgZv †h‡nZy †e‡o‡Q, Av_©-mvgvwRK Dbœqb evo‡Q| 5 kZvsk gvbyl wbgœweË †_‡K ga¨we‡Ë G‡m‡Q| Avgv‡`i jÿ¨ cÖwZwU gvbyl wbgœga¨weË †_‡K D‡V Avm‡Z cv‡i|
†kL nvwmbv e‡jb, hw`I Avgiv B‡Zvg‡a¨ wbgœ ga¨weË Av‡qi †`‡k cwiYZ n‡qwQ, wKš‘ Avwg me mgq ewj, Avgiv gyw³hy‡×i gva¨‡g weRq AR©b K‡iwQ| Avgiv weRqx RvwZ| Avgiv wb‡gœ _vK‡Z cvwi bv| Avgiv E‡aŸ© DV‡evB Ges †mUvB n‡e Avgv‡`i jÿ¨| K_vq Av‡Q, wbqZ ¸‡Y eiKZ| wbqZ _vKvq Avgiv †hLv‡b nvZ w`‡qwQ, †mLv‡b mvdj¨ AR©b K‡iwQ|
cÖevmx‡`i cÖwZ †`k wb‡q nZvkv bq, Avkvev‡`i K_v ejvi AvnŸvb Rvwb‡q cÖavbgš¿x e‡jb, GK mgq evsjv‡`k ïb‡j A‡b‡K bvK wmuUKvZ, Am¤§v‡bi †Pv‡L †`LZ| evsjv‡`‡ki wKš‘ †mB Ae¯’vb GLb Avi †bB| GB m¤§vbUv a‡i ivLvi `vwqZ¡ wKš‘ Avcbv‡`i cÖevmx‡`i Ici eZ©vq|
Rvcv‡bi g‡Zv AeKvVv‡gv M‡o †Zvjvi ¯^‡cœi K_v Rvwb‡q †kL nvwmbv e‡jb, Avwg Rvcv‡bi m‡½ wgwj‡q Avwg Avgv‡`i AeKvVv‡gv †`LwQjvg| DbœZ †`k Rvcvb, Zv‡`i m‡½ Avgv‡`i Zyjbv mv‡R bv| Avgv‡`i †`k‡K K‡e Ggb DbœZ Kie †mB ¯^cœ †`L‡Z †Zv †Kv‡bv Amyweav bvB| GiBg‡a¨ †h AeKvVv‡gv Dbœqb n‡q‡Q Zv‡Z XvKv kn‡ii †Pnviv Ôcv‡ë †M‡QÕ e‡j gšÍe¨ K‡ib wZwb| cvqiv e›`i, KyZyew`qv, g‡nkLvjxmn wewfbœ ¯’v‡b Mfxi mgy`«e›`i Kivi cwiKíbv miKv‡ii i‡q‡Q e‡j Rvbvb cÖavbgš¿x|
e¨vcK AvKv‡i hv‡Z we‡`wk wewb‡qvM Av‡m †mRb¨ we‡kl A_©‰bwZK AÂj M‡o †Zvjvi D‡`¨vM †bIqv n‡q‡Q Rvwb‡q wZwb e‡jb, cÖvq 100wU we‡kl A_©‰bwZK AÂj Avgiv Kie, hv‡Z †`wk-we‡`wk mevB wewb‡qvM Ki‡Z cv‡ib| KviY wewb‡qvM Qvov Dbœqb n‡e bv, †mUv Avwg wek¦vm Kwi|we‡`wk wewb‡qvM AvK…ó Kivi Rb¨ wewfbœ c`‡ÿc wb‡qwQ Ges wewfbœ iKg AeKvVv‡gv wbg©vY Avgiv K‡i hvw”Q| †mLv‡b h‡_ó mvov cvw”Q| Zv‡`i Rb¨ we‡kl my‡hvM-myweav Avgiv w`w”Q| Rvcvb‡K wewb‡qv‡Mi Rb¨ PÆM«v‡g 500 GKi RvqMv †`qv n‡e e‡j Rvbvb wZwb| msea©bv Abyôv‡b Ab¨‡`i g‡a¨ ciivó«gš¿x GGBP gvngy` Avjx Ges AvIqvgx jx‡Mi Kvh©wbe©vnx msm‡`i m`m¨ AvLZviæ¾vgvb e³e¨ iv‡Lb|
evsjv‡`‡k wewb‡qv‡M Rvcv‡bi e¨emvqx‡`i c~Y© wbivcËvi Avk¦vm t
evsjv‡`‡k wewb‡qv‡Mi Rb¨ Rvcv‡bi e¨emvqx‡`i c~Y© wbivcËvi Avk¦vm w`‡q‡Qb cÖavbgš¿x †kL nvwmbv| Rvcv‡bi e¨emvqx‡`i Rb¨ evsjv‡`‡k wewb‡qv‡Mi Øvi AevwiZ ivLvi cybiæ‡jøL K‡i cÖavbgš¿x †kL nvwmbv e‡j‡Qb, mv¤cÖwZK wKQy NUbv GB wewb‡qvMevÜe cwi‡ek‡K ÿwZM«¯Í Ki‡e bv| evsjv‡`k msev` ms¯’v evmm G Lei Rvbvq| cÖavbgš¿x MZKvj mKv‡j Rvcv‡bi e¨emvqx †bZ…e…‡›`i m‡½ AbywôZ GK cÖvZivkKvjxb ˆeV‡K G K_v e‡jb|
cÖavbgš¿x Rvcv‡bi e¨emvqx D‡`¨v³v‡`i Avgv‡`i ZviæY¨`xß hye Rbkw³ Ges miKvi cÖ‡`q myweavejx Kv‡R jvwM‡q wewfbœ †m±‡i wewb‡qv‡MiI Avnevb Rvbvb|wZwb e‡jb, Avwg Avcbv‡`i Avk¦¯Í Ki‡Z PvB †h, Avgvi `iRv Avcbv‡`i Rb¨ †Lvjv i‡q‡Q| Avwg PvB Rvcvwb eÜyiv Avgv‡`i ZviæY¨`xß hye Rbkw³ Ges cÖ‡`q e¨vcK myweavw` Kv‡R jvMvK|
G cÖm‡½ †kL nvwmbv AviI e‡jb, Rvcvwb e¨emvqx‡`i Kj-KviLvbv ¯’vcb Ges cÖ‡Z¨K Rvcvwb bvMwi‡Ki Rb¨ m¤¢e m‡e©v”P wbivc` I wbivcËv wbwðZ Kivi j‡ÿ¨ B‡Zvg‡a¨B mswkøó KZ…c©ÿ‡K wZwb wb‡`©k cÖ`vb K‡i‡Qb|
cÖavbgš¿x e‡jb, Avcbviv mv¤cÖwZKv‡j evsjv‡`‡k N‡U hvIqv wKQy NUbvi †cÖwÿ‡Z myiÿv Ges wbivcËvRwbZ ksKvq _vK‡Z cv‡ib| wKš‘ Avwg Avcbv‡`i GB e‡j Avk¦¯Í KiwQ †h, Avgv‡`i miKvi †h †Kvb cÖKvi mš¿vm Ges Pigcš’vi weiæ‡× wR‡iv Ujv‡iÝ bxwZ‡Z wek¦vmx| cÖavbgš¿x ˆeV‡K evsjv‡`k Ges Rvcv‡bi g‡a¨ †hŠ_ wewb‡qv‡Mi wewfbœ †ÿÎ m¤ú‡K©I Av‡jvPbv K‡ib|
wZwb e‡jb, ˆZwi †cvkvK wkí, K…wl †ÿÎmn wewfbœ Dbœqbg~jK wkí ¯’vcb, AeKvVv‡gv Ges we`y¨r I R¡vjvwb †ÿ‡Î wewb‡qvM, cvwb m¤ú` Ges eR¨© e¨e¯’vcbv-m¤¢ve¨ cÖavb wewb‡qv‡Mi †ÿÎ n‡Z cv‡i|
Rvcv‡bi mgvwRK †cÖÿvcU †iveU B‡fvjy¨k‡bi w`‡K AM«mi nIqvi cÖm½ D‡jøL K‡i cÖavbgš¿x e‡jb, evsjv‡`‡ki A_©bxwZi I Gim‡½ mgš^q n‡Z cv‡i we‡kl K‡i Bgv‡R‡bwUf mdUIq¨vi, †kqviW/K¬vDW-‡emW cÖ‡mwms Ges †R‡bwiK Kw¤úDwUs AvwK©‡UKPvi †W‡fjc‡g‡›Ui †ÿ‡Î|
wZwb e‡jb, Avgv‡`i dvg©vwmDwUK¨vj Ges RvnvR wbg©vY wkí Avcbv‡`i AvM«nx K‡i Zyj‡Z cv‡i, Avgv‡`i eøy B‡KvbwgI e¨vcK my‡hvM m…wó K‡i‡Q|
‡kL nvwmbv Rvcv‡bi cÖavbgš¿x wkb‡Rv Av‡eÕi m‡½ ˆeV‡K Zv‡`i g‡a¨ Rvcv‡bi wifvBUvjvB‡Rkb ÷«v‡UwR Ges gvb m¤úbœ †hŠ_ †fŠZ AeKvVv‡gv wbg©vY wel‡q K‡_vcK_‡bi cÖm½ DÌvcb K‡i e‡jb, evsjv‡`‡ki `ÿ AvaywbK hye Rbkw³ Ges †`kwUi ¸iæZ¡c~Y© †fŠMwjK Ae¯’vb, Dbœq‡bi AvKv•Lv Ges †mB mv‡_ wkívq‡bi cwiKíbv Rvcv‡bi wifvBUvjvB‡Rkb cwiKíbvi m‡½ mvgÄm¨c~Y© n‡Z cv‡i|
wZwb mviv‡`‡k wewb‡qv‡Mi Rb¨ GKkÕwU we‡kl A_©‰bwZK AÂj Ges †ek K‡qKwU AvBwU cvK© cÖwZôvq miKv‡ii D‡`¨v‡Mi Z_¨ Zy‡j a‡i e‡jb, B‡Zvg‡a¨B Gm‡ei 33wUi wbg©vY KvR GwM‡q P‡j‡Q| AvMvgx Pvi eQ‡ii g‡a¨ miKvi Av‡iv cÖvq GK †KvwU evsjv‡`kx‡K wkí KviLvbvq Kv‡R jvMv‡bvi cwiKíbv wb‡q G¸‡”Q e‡jI wZwb Rvbvb|
Rvcvb‡K evsjv‡`‡ki Ab¨Zg cixwÿZ eÜy D‡jøL K‡i cÖavbgš¿x AviI e‡jb, evsjv‡`‡ki RbMYI G‡ÿ‡Î Rvcvwb wewb‡qvM‡K D”P gh©v`v Ges KZ©e¨wbôv mn‡hv‡M M«nY Ki‡e|
evsjv‡`‡ki nvév BwÄwbqvwis mvgwM«‡K Rvcv‡bi fvix wkí KviLvbv‡Z Ges AwZwi³ cY¨ wn‡m‡e Kv‡R jvMv‡bv †h‡Z cv‡i e‡j AwfgZ e¨³ K‡i cÖavbgš¿x e‡jb, G‡Z K‡i GwU fviZmn we‡k¦i Ab¨vb¨ †`‡ki evRv‡i RvqMv K‡i wb‡Z cvi‡e|
eZ©gvb miKvi †`‡ki AviI wKQy A_©‰bwZK †ÿ·K mg…× Kivi c`‡ÿc wb‡q‡Q| Gig‡a¨ cvU, grm Ges e¯¿ LvZ i‡q‡Q e‡jI cÖavbgš¿x D‡jøL K‡ib|
†`‡ki ˆZwi †cvkvK wk‡íi m¤¢ebvi K_v Zy‡j a‡i cÖavbgš¿x e‡jb, m¤¢vebvgq GB †ÿÎwU‡Z †hŠ_ wewb‡qv‡Mi e¨vcK my‡hvM i‡q‡Q| ZvQvov miKviI ˆZwi †cvkvK KviLvbv¸‡jv‡K wM«b d¨v±ix wn‡m‡e M‡o †Zvjvq DrmvwnZ Ki‡Q|
cÖavbgš¿x e‡jb, G¸‡jv QvovI Rvcvb evsjv‡`‡k cwi‡ekevÜe wkí ¯’vcb, GWfvÝW BÛvwó«qvj jvBb Ges e¨vcK m¤¢vebvgq cvU Lv‡Z †hŠ_ wewb‡qv‡Mi D‡`¨vM M«nY Ki‡Z cv‡i|
wKQy wKQy wkí KviLvbv Ges AeKvVv‡gvi †i‡U«v-wdwUs cÖ‡qvRb D‡jøL K‡i cÖavbgš¿x e‡jb, Rvcvb G‡ÿ‡Î we‡k¦ †bZ…¯’vbxq Ae¯’v‡b i‡q‡Q| GQvovI evsjv‡`‡ki R¡vjvwb, Rjevqy, cvwb, KwVb eR¨© e¨e¯’vcbv Ges eR¨© R¡vjvwbi cÖ‡qvRb †gUv‡ZI Rvcvb GwM‡q Avm‡Z cv‡i|
evsjv‡`k eZ©gv‡b ¯^Zš¿ eÛ Qvovi wel‡q c`‡ÿc M«nY Ki‡Q D‡jøL K‡i cÖavbgš¿x evsjv‡`‡k bZyb e¨vsK ¯’vc‡bI Rvcv‡bi wewb‡qvMKvixiv GwM‡q Avm‡Z cv‡ib e‡j cÖavbgš¿x AwfgZ e¨³ K‡ib|
we‡`kx wewb‡qvMKvix‡`i myweav‡_© miKvi ÕIqvb ÷c mvwf©mÕ myweav cÖ`v‡bi Rb¨ KvR K‡i hv‡”Q e‡jI cÖavbgš¿x D‡jøL K‡ib|
wZwb Rvcvwb wewb‡qvMKvix‡`i m¤¢e me ai‡bi my‡hvM-myweav cÖ`v‡bi Avk¦vm cÖ`vb K‡i e‡jb, Avwg Avcbv‡`i †h †Kvb cÖKvi cÖ‡Yv`bv c¨v‡KR, we`y¨rmn wewfbœ ms‡hvM, mieivn I Ab¨vb¨ myweavw` cÖ`vb, wewfbœ cÖ‡`q U¨v• wkw_‡ji Av‡e`‡bi †cÖwÿ‡Z myweavejx cÖ`v‡b mvb‡›` ivRx AvwQ|
ˆeV‡K †dWv‡ikb Ae evsjv‡`k †P¤^vm© Ae Kgvm© A¨vÛ BÛvw÷«R (GdwewmwmAvB) I Rvcvb G•Uvb©vj †U«W AM©vbvB‡Rk‡bi (†RU‡iv) g‡a¨ GKwU mg‡SvZv ¯§viK ¯^vÿi nq| GB mg‡SvZv ¯§viK‡K evsjv‡`‡ki cÖvB‡fU †m±‡ii Rb¨ cÖ_g Rvcvwb ¯^xK…wZ wn‡m‡e we‡ePbv Ki‡Q GdwewmwmAvB| msMVbwU ej‡Q, mg‡SvZv ¯§viK ¯^vÿ‡ii ga¨ w`‡q `yB †`‡ki cÖvB‡fU †m±‡i bZyb bZyb wewb‡qv‡Mi c_ †LuvRv hv‡e| ˆeV‡K Ask †bb ciivó«gš¿x Aveyj nvmvb gvngy` Avjx, cÖavbgš¿xi gyL¨ mwPe Aveyj Kvjvg AvRv`, ciivó« mwPe knx`yj nK, GdwewmwmAvB mfvcwZ Ave`yj gvZjye Avngv` I †bZv †gvnv¤§` nvwee Djø¨vn Wbmn msMV‡bi kxl© †bZv Ges Ô†RU‡ivÕi kxl© †bZv I Rvcv‡bi kxl©¯’vbxq e¨emvqxiv|
†`‡k wd‡i‡Qb cÖavbgš¿x
Rvcv‡b e¨¯Í mdi KvwU‡q †`‡k wd‡i‡Qb cÖavbgš¿x †kL nvwmbv| MZivZ 11Uvq XvKvi nhiZ kvnRvjvj AvšÍR©vwZK wegvbe›`‡i AeZiY K‡i cÖavbgš¿x I Zvi mdim½x‡`i enbKvix wegvb evsjv‡`k GqvijvB‡Ýi wfwfAvBwc d¬vB‡U wewR-1079|
Gi Av‡M, ¯’vbxq mgq mܨv 7Uvq †UvwKIi nv‡b`v wegvbe›`i †_‡K XvKvi D‡Ï‡k hvÎv K‡ib cÖavbgš¿x| wegvbe›`‡i cÖavbgš¿x‡K we`vq Rvbvb Rvcv‡bi ivóªvPvi cÖavb KvIiæ wkgvRvwK, †UvwKI‡Z evsjv‡`‡ki ivóª`~Z iveve dvwZgvmn `~Zvev‡mi EaŸ©Zb Kg©KZ©viv|
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।