পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা সংশোধনে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আমি তো আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছি, সরকারের অবস্থান এটা। এই মামলাটা খারিজ করার সময় আপিল বিভাগ বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আমি শুনেছি, তারা কিছু মডিফিকেশন করবেন। সেই মডিফিকেশন না আসা পর্যন্ত আমরা কোনো পদক্ষেপ নেব না।
রোববার বাংলাদেশ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাব-রেজিস্ট্রারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত: ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা সংশোধন বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ে বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল সম্প্রতি খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এদিকে দুটি ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরার জবেদ আলী বিচারকের ভুলে ১৩ বছর কারাভোগ করেছেন। অপরদিকে ভুল আইনে বিচার করায় সাতক্ষীরার আবদুল জলিল ১৪ বছর ধরে কারাভোগ করেছেন। এসব ঘটনায় বিচারকদের কোনো দুর্বলতা বা অপরাধ হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দুটো ঘটনা আমি খবরের কাগজে দেখেছি। এগুলো নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। বিচার বিভাগের ভুলত্রুটি হবে না, এমন নিশ্চয়তা তো আমি দিতে পারি না। কারণ এটা তো মানুষচালিত। কিন্তু চেষ্টা করা হবে এ রকম ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং করেন। এমন ঘটনা যদি চোখে পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই আমার গোচরে আনবেন। তাহলে আমি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেব। এতটুকু আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি।
এক্ষেত্রে বিচারকদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা? জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই, এটাই স্বাভাবিক। কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিউর হবে এবং সেখানে যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে মামলা হবে। আর যদি দেওয়ানি অপরাধ হয় সেখানেও মামলা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।