পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় বেড়িবাঁধসমূহের মেরামত কাজের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অন্তত ১শ’ কোটি টাকা প্রয়োজন। আর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পুরো বেড়িবাঁধ, নদী তীর ও স্থাপনা মেরামতের জন্য দরকার ৩৫০ কোটি টাকা। মেরামতে এই অর্থ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বরাদ্দ না হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর পক্ষে জরুরিভাবে বাঁধ মেরামতের কাজ করাটা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে পানি প্রবেশ করে আরও ভাঙ্গন ধরাবে এবং উপকূলীয় এলাকার অনেক বাড়িঘর ও ক্ষেতের ফসল তলিয়ে যাবে।
ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীরা লিখিতভাবে পাউবো’র কাছে জরুরি বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে এমন আভাসও দেয়া হয়েছে যে, জরুরি বরাদ্দ না পেলে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; তার চেয়েও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এমন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে জোয়ার ও বর্ষার পানি মিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর ক্ষোভের বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাউবো’র তথ্যানুযায়ী, রোয়ানুর আঘাতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ৮১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ও ৪৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী তীর রক্ষা কাজের ৪ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ও ৭ কিলোমিটার আংশিক এবং ৬টি স্থাপনা সম্পূর্ণ এবং ৯২টি স্থাপনা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, উপকূলীয় জেলাগুলোতে পাউবো’র ১০ হাজার কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। ষাট এর দশকে এসব বাঁধ দেয়া হয়। অর্থের অভাবে এই বাঁধসমূহ মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে বছরজুড়েই জোয়ার-ভাটা ও বর্ষার কারণে বাঁধের কোথাও না কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর কবীর ইনকিলাবকে বলেন, রোয়ানুর আঘাতে উপকূলীয় এলাকার যেসব বেড়িবাঁধ, স্থাপনা ও নদী তীর রক্ষা কাজের ক্ষতি হয়েছে; তা মেরামতে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা প্রয়োজন। এরমধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে কিছু এলাকার কাজ করতে হবে। যার জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজন ১শ’ কোটি টাকা। এটা না পেলে জোয়ার ও বর্ষার পানি মিলে বাঁধে আরও ভাঙ্গনের সৃষ্টি করবে।
জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, পাউবো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা নদীভাঙ্গনের কবল থেকে স্থানীয়দের রক্ষা, মানুষের ঘরবাড়ি ও ক্ষেতের ফসল, স্থাপনাসমূহ রক্ষায় বড় ধরনের অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় পাউবো নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। এরপরও এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে নানা ধরণের বিভ্রান্তি রয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা অর্থের অভাবে অনেক এলাকায় কাজ করতে পারছি না। তিনি পাউবো’র জরুরি ফান্ডের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।