পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ নাগরিক সমাজের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হলেও কমিশনের কার্যাবলী সর্বস্তরের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের ধরণের আস্থাহীনতা ও হতাশা তৈরি হয়েছে। এ হতাশা কাটিয়ে কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা পুন:স্থাপন করতে একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট ও যোগ্য ব্যক্তিবর্গকে চেয়ারপারসন ও সদস্য পদে নিয়োগ দেয়া অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া কমিশনের চেয়ারপারসন ও সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত না হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রয়োজন বাছাই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা এবং নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত ‘কেমন মানবাধিকার কমিশন দেখতে চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব দাবি তুলে ধরেন।
নাগরিক সমাজ কেমন কমিশন দেখতে চায় এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদÐহসমূহ কি বলছে-তা নিয়ে মতবিনিময় করতেই মূলত আসক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। এ আলোচনায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, উন্নয়ন সংগঠন, উন্নয়ন সহযোগী, দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা। আলোচনায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড ও সার্ভিসেস ট্রাস্টের প্রধান আইন উপদেষ্টা ও সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, অ্যাডভোকেট সালমা আলি, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, ডেনমার্ক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সসহ আরো অনেকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন। তারা কমিশনের চেয়ারপারসন ও সদস্যদের বাছাই প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯, প্যারিস নীতিমালা এবং জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসমূহের বৈশ্বিক জোট কর্তৃক প্রদত্ত সুপারিশসমূহ অনুসরণ করার জোর দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন, গত তিনবার নিয়োগের ক্ষেত্রে কিভাবে বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়েছে সে সম্পর্কে নাগরিক সমাজের কাছে কোনো তথ্য ছিলো না। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলেও বাছাই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে তাদের কোনোভাবে সর্ম্পৃক্ত করা হয়নি।
আলোচনায় আরো উল্লেখ করা হয়, জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসমূহের বৈশ্বিক জোট কর্তৃক ‘এ’ মর্যাদা পেতে হলে বাছাই প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সরকারী দলের প্রতিনিধিদের প্রাধান্য হ্রাস করতে এবং নাগরিক সমাজের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কমিশন বর্তমানে‘বি’মর্যাদায় রয়েছে। যে কারণগুলোর কারণে বাংলাদেশকে ‘বি’ মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাছাই প্রক্রিয়ার দূর্বলতা। এছাড়া ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯’ দ্রততার সাথে সংশোধন করে এর সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করার দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।