Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাথি মেরে মায়ের পেটের সন্তান প্রসবেও প্রশাসনের টনক নড়েনি

পটিয়ায় ৩ লাশে নির্বাচন সম্পন্ন, উপজেলাজুড়ে ছিল সহিংসতা

প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এস.কে.এম নূর হোসেন : চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ৩ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। নির্বাচনের আগের দিন উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে দক্ষিণ শাহমিরপুর ছোবহান হাজীর বাড়িতে নৌকা প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান ও আবদুল মান্নানের সমর্থকেরা ফাতেমা বেগম নামের এক মহিলাকে লাথি মারলে তার ৭ মাসের গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে মারা যায়।
এ ঘটনার পর উক্ত ইউনিয়নে প্রশাসনিকভাবে জোরালো কোন ভূমিকা না রাখার কারণে নির্বাচনের দিন এ ইউনিয়নের শাহমিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মো: ইয়াসিন নামের একজন মেম্বার প্রার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত নুরুল ইসলাম প্রকাশ হোসেন চমেক হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭টায় মারা যায়। প্রশাসনের চরম গাফিলতির কারণে এ হত্যাকান্ডগুলো সংঘটিত হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এদিকে নির্বাচনের আগের দিন গত ২৭মে বিকেলে ফাতেমা বেগমের গর্ভের সন্তান মৃত্যু অবস্থায় ভূমিষ্ট হওয়ার ঘটনায় প্রশাসন দোষীদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফাতেমা বেগম বর্তমানে চমেক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ২৮ মে নির্বাচনের দিন পুরো উপজেলাজুড়ে ছিল সহিংসতা। এ সহিংসতায় আশিয়া ইউনিয়নে আছদ আলী ফকির মাজার কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে বাবুল শীল নামের এক নিরীহ যুবকের মৃত্যু ঘটে। গত ২৬ মে দৈনিক ইনকিলাবে পটিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদে বড়উঠান ইউনিয়নের তীব্র সহিংসতার আশংকার কথা উল্লেখ ছিল। যা নির্বাচনের দিন বাস্তবে পরিলক্ষিত হয়।
হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফৌজুল কবির কুমার ভোট ডাকাতি করার জন্য অস্ত্র নিয়ে মাইক্রোযোগে পাঁচুরিয়া কেন্দ্রে গেলে গাড়ি ও অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সে পালিয়ে গেলেও তার গাড়ি ও অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে জব্দ করে। উক্ত ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বিজয়ী হলেও নৌকার প্রার্থীর ভাই ও সমর্থকেরা তাকে এখন হত্যার জন্য খোঁজছে বলে শফিক এ প্রতিবেদককে গতকাল মোবাইল ফোনে অভিযোগ করেন। বর্তমানে শফিক প্রাণভয়ে পালিয়ে রয়েছে। আগামী ৪ জুন পটিয়ার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিয়নে লোকজন ব্যাপক হানাহানির সংঘর্ষ, সহিংসতাসহ লাশ পড়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাথি মেরে মায়ের পেটের সন্তান প্রসবেও প্রশাসনের টনক নড়েনি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ