পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের সুন্নি রাজনীতিকরা শনিবার ফালুজা থেকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জিহাদিদের বিতাড়িত করার জন্য ইরাকি সেনাবাহিনীর পাশাপাশি লড়াইরত শিয়া মিলিশিয়াদের সাথে ইরানি মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানির সাক্ষাতের নিন্দা জানিয়েছেন। খবর রয়টারস।
আনবার প্রদেশের ৩ জন সুন্নি ইরাকি পার্লামেন্ট সদস্য রয়টারসকে বলেন, ইরানের আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডারের এ সফর গোষ্ঠীগত উত্তেজনা বাড়াতে এবং এটা সুন্নিদের বিরুদ্ধে নয়, আইএসকে পরাজিত করার ইরাকি নেতৃত্বাধীন লড়াই বলে বাগদাদের বক্তব্যের ব্যাপারে সুন্নিদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে।
বাগদাদের ৩২ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ফালুজা মার্কিন দখলদার বাহিনী ও ইরাকের শিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সুন্নি বিদ্রোহীদের প্রতিরোধের কেন্দ্র ছিল।
সম্প্রতি ইরানি মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, সোলায়মানি ফালুজা সফর করেন ও পপুলার মোবিলাইজেশন বা হাশিদ সাহাবি নামে পরিচিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়া জোটের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন।
ফালুজার যুদ্ধ এলাকায় এটা ইরানি জেনারেলের দ্বিতীয় সফর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক বছর আগে পপুলার মোবিলাইজেশন যখন বাগদাদের উত্তর থেকে আইএস জিহাদিদের বিতাড়িত করে তখনো তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ইরাকের সরকারি মুখপাত্র সোলায়মানির সফরের কথা নিশ্চিত করেননি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্যের জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন আইএস-বিরোধী বাহিনীর উপদেষ্টাদের সমমর্যাদায় ইরানি উপদেষ্টারা ইরাকে রয়েছেন।
সুন্নি পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) হামিদ আল মুতলাক বলেন, আমরা ইরাকি, ইরানি নই। ইরাকে আইএস-বিরোধী যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য কি তুর্কি বা সউদী উপদেষ্টাকে স্বাগত জানানো হবে?
ফালুজার এমপি সেলিম মুত্তার আল ইসাবি বলেন, সোলায়মানির উপস্থিতি সন্দেহজনক ও উদ্বেগের কারণ। তিনি এ এলাকায় সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত।
লিক্কা ওয়ারদি নামের আরেক এমপি বলেন, ইরানি বিপ্লবী গার্ডের এ রকম একজন কর্মকর্তার উপস্থিতি গোষ্ঠীগত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে।
ইসলামিক স্টেট ২০১৪ সালে ফালুজা দখল করে।
সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রতিষ্ঠিত কট্টরপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মুসলিম স্কলারস অব ইরাক ফালুজার লড়াইয়ে শিয়া মিলিশিয়াদের অংশগ্রহণ প্রত্যাখ্যান করেছে। শুক্রবার তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শিয়া মিলিশিয়ারা এলাকাকে আইএসমুক্ত করার জন্য এসেছে বলে দাবি করলেও আসলে তারা সে জন্য আসেনি। তারা এসেছে ইরানের সরাসরি নির্দেশনায় গোষ্ঠীগত লক্ষ্য হাসিল করতে।
এদিকে সোলায়মানির ভূমিকা নিয়ে সউদী আরব ও ইরানের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টাঅভিযোগ চলছে। সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর রাশিয়ার আরটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, ইরাকে সোলাইমানির উপস্থিতি অত্যন্ত নেতিবাচক।
অন্যদিকে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নেতৃত্বে ইরাকে ইরানি সামরিক উপদেষ্টাদের উপস্থিতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সে দেশের সরকারের অনুরোধেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।