Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশও তামাকজাত পণ্যের সাদামাটা প্যাকেট করবে -স্বাস্থ্য সচিব

প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এজন্য সরকারি-বেসরকারি সংগঠন, সুশীল সমাজ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। গতকাল রোববার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আগামী ৩১ মে ২০১৬ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এ বছর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করেছে ‘সাদামাটা মোড়ক-তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন’। তামাকের ব্যবহার কমাতে প্লেইন প্যাকেজিং বা সাদামাটা মোড়ক অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। এতে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের মোড়কের রং একই রকম হয়। কোম্পানির লোগো, রং কিংবা ব্র্যান্ডের ছবি এবং কোনো প্রকার প্রচারণামূলক তথ্য থাকে না। ভবিষ্যতে পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও সাদামাটা মোড়কের প্রচলন করতে পারব। স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, সারা বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণের দু’টি প্রমাণিত কার্যকর উপায় হচ্ছে কর বৃদ্ধি ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তামাক পণ্যের কর বৃদ্ধির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ দিবসটি উদ্যাপন করবে। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদ্যাপনের লক্ষ্য হলো তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট রোগগুলো, আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি সম্পর্কে জনসচেনতার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা।
গেøাবাল এ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০০৯ অনুসারে, বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন। এ হিসেবে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ১৩ লাখ, যার মধ্যে ২৩ শতাংশ (২ কোটি ১৯ লাখ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭ দশমিক ২ শতাংশ (২ কোটি ৫৯ লাখ) ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের প্রবণতা নারীদের বেশি। বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৬৩ শতাংশ লোক অর্থাৎ ১ কোটি ১৫ লক্ষ কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। অপরদিকে, দ্য টোব্যাকো এটলাস অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৫ দশমিক ৭ শতাংশ নারী তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়, যা অন্যান্য নিম্ন আয়ের দেশের গড় থেকে বেশি।
জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি সংশোধন করে এবং ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রকাশ করে। আইন ও বিধি বাস্তবায়নে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি, তামাক চাষ নিরুৎসাহিতকরণ নীতি, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি ইত্যাদি প্রণয়নের কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশও তামাকজাত পণ্যের সাদামাটা প্যাকেট করবে -স্বাস্থ্য সচিব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ