পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক বলেন, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া এখন রোজাও রাখছেন। হাসপাতালে খালেদার সঙ্গে থাকা গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম প্রতিদিন তার পছন্দ মতো যা ইফতার তৈরি করছেন তাই তিনি খাচ্ছেন। রোজার ঈদের প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে খালেদার চিকিৎসা এবং সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে এসব কথা বলেন মাহবুবুল হক।।বুধবার (২৯ মে) সকালে হাসাপাতালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বেগম জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে। তিনি ইনসুলিন নিচ্ছেন এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ মুখেও গ্রহণ করছেন। আর্থারাইটিসের ব্যথা অনেক কমে গেছে। উনার দুর্বলতা অনেক ইম্প্রুভ করেছে, দুর্বলতা এখন নেই। নতুন কোনো সমস্যার কথা এখন বলেননি। উনি কমফরটেবল আছেন, ভালো আছেন।
কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার জিহ্বায় ঘা (ফাংগাল ইনফেকশন) হলেও তা ৯০ শতাংশ সেরে গেছে জানিয়ে মাহবুবুল হক বলেন, এখন উনি নরমাল খাবার খাচ্ছেন। রোজা রাখছেন। ছোলাসহ অন্যান্য ইফতারের আইটেমগুলো খাচ্ছেন। উনার চয়েজ মতো ইফতারের আইটেমগুলো উনার সাথে যে মেয়েটা আছে সে রান্না করে দেয়। কেবিনের পাশে ছোট একটা কিচেন আছে সেখানে চুলা আছে।
বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, উনি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। উনি গ্রাজুয়ালি ইম্প্রুভিং। উনি যে সমস্যাগুলো নিয়ে এসেছেন সেগুলো ক্রনিক ডিজিজেস, এগুলো একটু সময় লাগে, খুব স্লো ইম্প্রুভ হয়। উনার ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিসসহ অন্যান্য যে দুর্বলতা ছিল এগুলো অনেক ইম্প্রুভিং। উনি খুব ভালো আছেন। উনার যে বয়সে যে সমস্যা নিয়ে উনি খুবই ভালো আছেন আমি এটা অবশ্যই বলতে পারব।
বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির দাবি জানিয়ে আসছেন বিএনপি নেতারা। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আমি তো প্রতিদিন যাই না। আমার বোর্ড প্রতিদিন যায়। যত দিন আমি উনার কাছে গিয়েছি, উনি সহজ, সানন্দে, হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে আমাদের সাথে কথা বলেছেন। আমরা প্রায় দুই মাসে কখনও দেখি নাই যে, উনি একটু এনোয়েড হয়েছেন, আমাদের ওপর আনসেটিসফাইড। আমি মরে যাচ্ছি, আমার চিকিৎসা দিচ্ছে না- এরকম কোনো শব্দ..।
মাহবুবুল হক বলেন, মিডিয়া গরম করার মতো যে বক্তব্য মানুষকে জানানো হয়, তা না জিজ্ঞাসা করেই। একজন রোগী সম্পর্কে যদি বলতে হয় আমাদের জিজ্ঞাসা করবে না? আমাদের বোর্ডকে জিজ্ঞাসা করবে না? এটা সঠিক নয়। উনি চিকিৎসায় সেটিসফাইড। উনাকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে মিডিয়াতে বলা হয়েছিল যে, উনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আসলে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, আমাদের মেডিকেল বোর্ড ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ না করেই। ওই সংবাদ মনগড়া, ভুল তথ্য।
চিকিৎসার পর খালেদাকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নেওয়া হবে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কারাকর্তৃপক্ষ বেগম জিয়াকে সেখানে নেয়ার বিষয়ে কোন কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক মাহবুবুল হক বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমাদেরকে কিছু বলেনি। আসলে আমরা চাচ্ছি যে, উনার সেটিসফেকশন। উনি যদি নিজেই ফিল করেন যে- আমি সম্পূর্ণ ভালো আছি, এখন আমি যেতে চাই..সিদ্ধান্তটা উনিই দিক। আমরা সেটাই চাই। আমরা কোনো রকমের প্রেসার ক্রিয়েট করছি না যে, আপনি চলে যেতে পারেন বা যান। উনি যদি মনে করেন কফরটেবল আর উনার হসপিটালে থাকার দরকার নাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর জিলান মিয়া সরকার, হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক নাজমুল করীম, উপ-পরিচালন খুরশেদ আলম, সহকারী পরিচালক বেলাল সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।