পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের আদালত স্থানান্তরে জারি করা সরকারের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল রোববার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে উপস্থাপনা করা হলে আজ সোমবার আবেদনটির শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদবহির্ভূত পদক্ষেপ হওয়ায় এবং প্রচলিত ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৯ এর (১) ও (২) উপধারাবিরোধী হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নং ভবনে স্থানান্তরে গত ১২ মে জারি করা গেজেটকে কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে আবেদেনে। স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদি করা হয়েছে।
এই আইনজীবী আরো বলেন, খালেদা জিয়া একজন পাবলিক ফিগার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো ট্রায়াল পাবলিকলি হওয়া উচিৎ। কেরানীগঞ্জের কারাগারের একটি রুমে কখনও পাবলিক ট্রায়াল হতে পারে না। তাছাড়া আইনে আছে, মামলাটার বিচার মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হতে হবে। কিন্তু কেরানীগঞ্জের কারাগার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে।
আমরা মনে করি, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ন্যায় বিচার করবেন এবং আদালত স্থানান্তরের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটির কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি, আশা করি আদালত স্থগিতাদেশ দেবেন। তিনি আরো বলেন, রিট দায়েরের পরে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করেছেন। আমরা বলে আসছি, খালদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। হঠাৎ গত ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
২১ মে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় এ রিটটি করা হয়। নোটিশে দাবি করা হয়, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে কোনও বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিএসএমএমইউতেচিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুর্নীতির মামলায় এক বছর আগে দন্ডের পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে খালেদা জিয়াকে রেখে তার বিরুদ্ধে অন্য কয়েকটি মামলার বিচারও সেখানেই চলছিল। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।