পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডার কর্মকর্তাদের যথাসময়ে পদোন্নতির স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছে। যে সকল ক্যাডারের সাংগঠনিক কাঠামোর সংস্কার প্রস্তাব এখনো প্রেরণ করা হয়নি, সে সকল ক্যাডারের প্রস্তাব অতিসত্ত্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। ক্যাডার কর্মকর্তার বাইরে যে সকল দপ্তর ও সংস্থায় ননক্যাডার কর্মকর্তাদের পদায়ন হয় তাদের সাংগঠনিক কাঠামোও পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুবুর রহমানের বৈঠকে এসব আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপজেলা ব্যবস্থাপনার বিষয়েও আলোচনা হয়। সচিবগণ জানান, এ বিষয়ে ইতোপূর্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও স্থানীয় সরকার সচিবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ইতোপূর্বে জারি করা অফিস স্মারক সংশোধন করা হচ্ছে। সভায় শিক্ষা ক্যাডারের বিদ্যমান চতুর্থ গ্রেডের পদগুলো তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা সংক্রান্ত বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়াও ৮ম বেতনস্কেলের মাধ্যমে সৃষ্ট প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ক্যাডার-ননক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। এছাড়াও নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসবহির্ভূত সকল প্রেষণ বাতিল করার বিষয়ে সভায় একমত হয়। সিদ্ধান্ত হয়, যে সকল বিষয় নিয়ে বর্তমানে কাজ চলছে তার অগ্রগতি পর্যালোচনা ও অন্যান্য সমস্যার সমাধানে পর্যায়ক্রমে আরো বৈঠক করা হবে। বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হেলাল উদ্দিন, যুগ্মসচিব (কলেজ) জালাল উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার, প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সদস্যসচিব মো. ফিরোজ খান, সদস্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূইয়া, প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, মো. মোবারক আলী, স. ম. গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক নাসরীন বেগম, আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, খায়রুল আলম প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
যে দেশে দু’টি বিয়ে না করলে শাস্তি যাবজ্জীবন
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ প্রত্যেক সক্ষম পুরুষকে অন্তত দুটো বিয়ে করতেই হবে। নির্দেশ অমান্য করলেই মিলবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-। এমনকী কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দেন, শাস্তি হবে তারও। এমনই নির্দেশ জারি করেছে ইরিত্রিয়া সরকার। গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরকারের আদেশে লেখা আছে, ‘বহুগামিতা নিয়ে ঈশ্বরের আইন মেনে এবং দেশে পুরুষ কমে যাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ইরিত্রিয়া সরকারের ধর্ম সংক্রান্ত দপ্তর এই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে- প্রথমত, প্রত্যেক পুরুষ অন্তত দু’জন মহিলাকে বিয়ে করবেন এবং যে পুরুষ তা করতে অস্বীকার করবেন তাকে কঠোর পরিশ্রমসহ যাবজ্জীবন কারাবাস করতে হবে। যে মহিলা তার স্বামীকে আবার বিয়ে করতে বাধা দেবেন তাকেও যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হবে।’
আফ্রিকার ছোট্ট দেশ ইরিত্রিয়ার জনসংখ্যা চৌষট্টি লাখেরও কিছু কম। এর এক দিকে সুদান আর ইথিওপিয়া, এক দিকে জিবুতি, এক দিকে লোহিত সাগর। ইথিওপিয়া থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন ইরিত্রিয়ার জন্ম হয় ১৯৯৩ সালে। এর পর ১৯৯৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত দু’বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। যুদ্ধে মারা পড়েছিলেন বহু পুরুষ। সেই থেকেই দেশে নারীর অনুপাতে বেশ কমে যায় পুরুষের সংখ্যা। এই নারী-পুরুষ অনুপাতের যুক্তি দেখিয়েই নাকি সম্প্রতি জারি হয়েছে এই অদ্ভুত নির্দেশ। ইরিত্রিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক খ্রিস্টান আর বাকি অর্ধেক মুসলিম ধর্মাবলম্বী। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, জিম্বাবুয়ে ডেইলি, আফ্রিকা নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।