পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720359316](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সায়ীদ আবদুল মালিক : একপশলা বৃষ্টিতেই রাজধানীর সড়ক পানিতে থৈ থৈ। এতে নগরজীবনে নেমে এসছে চরম ভোগান্তি। গতকাল শনিবার দুপুরে একপশলা বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। শহরের প্রধান সড়কগুলোসহ পাড়ামহল্লার, অলিগলির রাস্তাঘাটেও পানি জমে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এ কারণে গতকাল সরকারি ছুটির দিন থাকলেও রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। গাড়িতে উঠলে যানজট, পায়ে হাঁটতে গেলে কাদা পানি ও খানাখন্দকে ভরা রাস্তায় জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ বেসরকারি অফিস আদালতগামী মানুষ কাদা-পানি ও যানজট উপেক্ষা করেই বিকেলে ঘরে ফিরতে হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীও ও এর আশপাশের এলাকায় একপশলা বৃষ্টি হয়। এ কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে রাস্তায় পানি জমে থাকায় গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অচল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে রাজধানীর গুলিস্তান, সিদ্দিক বাজার, বাবুবাজারসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পানি থৈ থৈ করছে। পুরাতন ও অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে না পেরে মূল সড়ক ও অলিগলিতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়ে। এছাড়াও মুগদাপাড়া, মানিকনগর, মতিঝিল, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, টাউন হল, আসাদগেট, ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, গুলশান, বনানী, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, নয়াপল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা শহরের প্রাণ কেন্দ্র মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ চলায় এ এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তার অবস্থা বেহাল। তাই এ এলাকার রাস্তাগুলোতে যানজট সকাল-দুপুর, রাত-দিন সবসময় লেগেই থাকে। এ থেকেই সারা শহরজুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই রাজধানীর যানজট এখন সাপ্তাহের সাতদিনই থাকে। বিশেষ করে কর্মদিবসের শুরুর দিন রোববার, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে অফিস করেন সোমবার আর কর্মদিবসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এ তিনদিন রাজধানীর রাস্তায় ভয়াবহ যানজটে সৃষ্টি হয়। এ সময় নগরবাসীকে রাস্তায় নেমেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
প্রায় দুই কোটি মানুষের নগরী এই ঢাকাতে যানজট প্রতিদিনের চিরচেনা ঘটনা। যানজট নিরসনে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে অতীতে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে মেয়র প্রার্থীদের কণ্ঠে যানজট নিরসনের প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছিল। কিন্তু দুই মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পর পরিস্থিতির একচুলও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়নি। বরং এখন যানজটের মাত্রা আরও বেড়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকছেন মানুষ। ভোগান্তির যেন শেষ নেই তাদের। হাঁফিয়ে উঠছে নগরবাসী। নারী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তিই সবচেয়ে বেশি। নির্ধারিত সময়ে অফিসে পৌঁছতে পারছেন না কর্মজীবীরা। শিক্ষার্থীরা হিমশিম খাচ্ছেন ক্লাসে পৌঁছতে। মানুষের এ দুর্ভোগ যেন সমাধানের নয়।
মগবাজারের একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মহসিন উদ্দিন ভূইয়া জানান, প্রায় ৪৫ মিনিট বাসের জন্য অপেক্ষা কারে উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে রওয়ানা দিলাম। মহসিন জানান, ভেবেছিলাম কিছুক্ষণ হাঁটার পর কোনো গাড়িতে উঠতে পারবো, কিন্তু মালিবাগ পর্যন্ত গিয়ে দেখি রেলগেটেই ব্যাপক যানজট। যানজট ছাড়াও বাড়তি ভোগান্তি সড়কের উপর জমে আছে পানি। পানি আর কাদায় পুরা রাস্তাই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, মালিবাগ থেকে মৌচাক এলাকায়ও পানিতে থৈ থৈ করছে, সেই সাথে ব্যাপক যানজট। মৌচাক থেকে মালিবাগ মোড়, এই এলাকাতেও পানি আর যানজটের চরম ভোগান্তি। সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা মালিবাগ হোসাফ টাওয়ার থেকে শান্তিনগর এলাকা! পানিতে ভেসে গেছে পুরো এলাকা। কোথাও কোথাও হাঁটু পানি। সড়কে গাড়ির জটলা।
বিকাল সাড়ে ৪টায় ওই সব এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, শান্তিনগর এলাকায় পানিতে পুরো সড়ক ডুবে আছে। একই সঙ্গে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলাতে এ এলাকায় গাড়ি যেন থেমে আছে। পানি শুধু সড়কেই নয়, বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাতেও পানি উঠেছে একাকার হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে যাওয়া মানুষ।
বৃষ্টির কারণে তেজগাঁওয়ের সাতরান্তা মোড় থেকে মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, রাজারবাগ, শান্তিনগরসহ আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।