Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগুন নিয়ে খেলবেন না গণতন্ত্রে ফিরে আসুন -সরকারের প্রতি ড. মোশাররফ

সরকার বিএনপিকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে

প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ২ জুন আদালতে হাজির না হলে বিচারকের আদেশ অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হলে তার পরিণাম ‘আগুন’-এর মতো ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা শুনতে পাই, বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমায় আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ারকে শাস্তি দিয়ে তারা (সরকার) আটক করতে চায়। তার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা এদিকে পা বাড়াবেন না। এই ভুল করবেন না। আপনারা আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। আপনারা হয়তো বিএনপিকে আইসিইউতে পাঠিয়ে রেখেছেন। এই বিএনপিকে হত্যা করা হবে যদি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বানÑআগুন নিয়ে খেলবেন না। এ দেশটি একটি মোডারেট দেশ। এ দেশের মানুষকে আহত করে আপনারা বেশিদূর এগুতে পারবে না। অতত্রব গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন, দেশকে আমরা সকলে মিলে অগ্রসর করি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় সম্মেলন কক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা দেখতে পারছি, বিএনপিকে নিয়ে এই সরকার কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানকে শাহাদাৎ বরণ করতে হয়েছে। সেই সময় থেকে ষড়যন্ত্র আজও চলছে এই দলকে ধ্বংস করার জন্য। বিএনপিকে বিভক্ত করার নানা চেষ্টা হয়েছে। এরশাদ এই বিএনপি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য হুদা-মতিন (শামসুল হুদা চৌধুরী-ডা. এম এ মতিন) বিএনপির সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু এই দলকে ধ্বংস করতে পারেনি। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এই বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন-তিনবার ক্ষমতায় গেছে।
তিনি বলেন, ১/১১-এর পরে বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ১১ বছরের মহাসচিবকে দিয়ে সংস্কারের নামে এই বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে ক্ষতি করতে পারেনি। এখনো পত্র-পত্রিকায় নানারকম ভিত্তিহীন সব প্রতিবেদন ও কথাবার্তা লিখে আমাদের নেতা-কর্মী ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। বিএনপি ভেঙে ফেলা হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছেÑএসব ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলা হচ্ছে।
২২ মাস কারাভোগের পর আমি মুক্তি পাওয়ার পর একটি পত্রিকা অপপ্রচার করল, আমি নাকি সমঝোতা করে বেরিয়েছি বিএনপিকে ভাঙার জন্য। সমঝোতা করতে হলে ২২ মাস কারাগারে থাকতে হবে কেন? গ্রেফতারই হতাম না। কিছুদিন আগে আরেকটি পত্রিকায় লিখেছে, কিছুদিন আগে নাকি আমরা স্থায়ী কমিটির কিছু সদস্য গোপনে মিটিং করেছি। তাদের কাছে নাকি ভিডিও ফুটেজ আছে। আমরা বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছি। আমরা ওইসব গণমাধ্যমের প্রতি বলতে চাই, এত কিছু লিখে, এত অপপ্রচার করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা যায়নি, যাবে না, এই দলকে দুর্বল করা যাবে না।
আওয়ামী লীগকে ‘মামলাবাজ’ সরকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এরা জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়, তারা গায়ের জোরে সরকার চালাচ্ছে। তারা মামলানির্ভর সরকার। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও কী হচ্ছে? জনগণ যদি ভোট দিতে পারত, তাদের (ক্ষমতাসীন) কোনো পাত্তা থাকত না। তারা বিএনপিকে ভয় পায়, বলে তারা জোর করে ভোট কেন্দ্র দখল করে নিজেদেরকে নিজেরা নির্বাচিত ঘোষণা করছে।
লায়লা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেত্রী রেহানা আখতার রানু, নেওয়াজ হালিমা আরলি, সামিয়া চৌধুরী, রাশেদা বেগম হীরা, ফরিদা ইয়াসমীন, লায়লা ইয়াসমীন, রোকসানা খানম মিতু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আগুন নিয়ে খেলবেন না গণতন্ত্রে ফিরে আসুন -সরকারের প্রতি ড. মোশাররফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ