পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মহাজোট সরকারের মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার লতিফ সাত্তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান কর্তৃক অন্যায়ভাবে অপমানের প্রতিবাদ জানিয়ে তার এমপিপদ বাতিলসহ তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার বিকালে গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য পাঠানো দলের পলিটব্যুরো সদস্য কামারুল আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে মেনন ও বাদশা বলেন, নিগ্রহ এবং ওই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
তারা বলেন, একইসঙ্গে সংবিধান ও প্রচলিত আইনের লঙ্ঘনের অপরাধে অপরাধী সেলিম ওসমানের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে সকল ধর্মবিশ্বাসের চর্চার অধিকার আছে এবং সেই অধিকারের উপর কারো অযাচিত হস্তক্ষেপ কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেবলমাত্র প্রধান শিক্ষকের পদ দখলের মতো নোংরা কাজের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টি দলীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে সম্মানিত শিক্ষক নিগ্রহের প্রেক্ষিতে সারাদেশে যখন প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঝড় উঠেছে, এমনকি সরকারের একাধিক মন্ত্রী যখন এ বিষয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন, তখন সেলিম ওসমান বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলামের মতো ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সাথে নিয়ে সাম্প্রদায়িক নোঙরা কার্ড খেলার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। সর্বশেষ মতবিনিময় সভার নামে টাকা দিয়ে হেফাজতে ইসলামের লোকজন ভাড়া করে এনে তিনি সেখানে আরো নোঙরা তামাশা করেছেন।
বিবৃতিতে কমরেড মেনন-বাদশা বলেন, নারায়ণগঞ্জেই শুধু নয়, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাস্তিকতা কিংবা ধর্ম অবমাননার অজুহাত তুলে কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারী সামাজিক অসস্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আগে এই জাতীয় উগ্রতা চলতো সাম্প্রদায়িকতার নামে, এখন সেটাকে নাস্তিকতার রূপ দেয়া হয়েছে। এই বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার হয়েছিল শান্তি, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ধর্ম হিসেবে। কিন্তু উগ্র ধর্মীয় সশস্ত্র জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকরা ইসলামের নামে আজ যেভাবে জঙ্গিবাদী অপতৎপরতা চালাচ্ছে তা পরিষ্কারভাবেই ধর্ম তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের বিরোধী। নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সেই অপকর্মটিই সুপরিকল্পিতভাবে করেছেন এবং করে চলেছেন। এ জাতীয় অপকর্মকে প্রশ্রয় দেয়ার অর্থ হলো সংবিধান ও আইন পরিপন্থী কর্মকে উস্কে দিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত সামাজিক ও ধর্মীয় সহনশীলতার ধারাকে বিনষ্ট করা।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে তাই সামাজিক শৃঙ্খলা, আন্তঃধর্মীয় সহনশীলতা, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ, আইনের শাসন এবং সংবিধান সমুন্নত রাখার প্রয়োজনে অবিলম্বে সেলিম ওসমানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও তাকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।