পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাউজান উপজেলা সংবাদদাতা : গত ২৬ রজব মেরাজুন্নবী (দ.)’র বরকতময় সময়ে কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম এর বেছাল শরীফ উপলক্ষে তাঁর স্মরণে আয়োজিত ঐতিহাসিক তরিক্বত কনফারেন্সে লাখো সুন্নি জনতার উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের হযরতুলহাজ আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম (রা.) ছিলেন যুগের অদ্বিতীয় যুব সংস্কারক। বর্তমান যুগে যিনি ছিলেন ইসলামের মহান পথ প্রদর্শক, সুন্নাতে মোস্তফার ধারক ও বাহক আধ্যাত্মিক মনীষী। নূরে মুহাম্মদীর জ্যোতিতে ব্যক্তিচরিত্রের সংশোধনে আলোকিত যুব সমাজ গঠনের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার রূপকার এমন মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্বকে দেশ, জাতি তথা মুসলিম উম্মাহ্ আর পাবে না।
গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ গাউছুল আজম সিটির কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্স ময়দানে অনুষ্ঠিত এ কনফারেন্সের আয়োজন করে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। কনফারেন্সে গাউছুল আজম (রা.) স্মরণে ‘আল হাবীবু মা‘আল হাবীবে ফিল ইস্রা’ নামে একটি স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মোঃ আবুল মনছুর, আরবি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এস. এম. রফিকুল আলম, ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প. মোহাম্মদ এনামুল হক মোজাদ্দেদী, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কম্পিউটার চীপ ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ ইংরেজি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ কামরুল হাসান, এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ মোঃ নেজাম উদ্দিন ও এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. রাইসুল উদ্দিন সৈকত।
কনফারেন্সে দেশবরেণ্য বহু ওলামায়ে কেরাম, শিক্ষাবিদ, শহরের গণ্যমান্য ব্যাক্তি, সাংবাদিক ছাড়াও সর্বস্তরের লাখো ধর্মপ্রাণ সুন্নি জনতা উপস্থিত ছিলেন। মাগরিবের আগেই কনফারেন্সস্থল গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের বিশাল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।