পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দুস্থ শিশুদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এজন্য গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনঃনির্মাণ’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুস্থ শিশুদের ওই প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে সমাজের মূলধারায় যুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৮১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় বেশকিছু সুপারিশ দিয়ে প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপারিশগুলো প্রতিপালন করা হয়। প্রক্রিয়াকরণ শেষ করায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।
অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সমাজ সেবা অধিদফতর। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, অবহেলিত ও অনগ্রসর জনগণের কল্যাণ, উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। দেশের গ্রাম ও শহরে বসবাসরত অবহেলিত ও অনগ্রসর জনগণ, বেকার, ভ‚মিহীন, ছিন্নমূল, ভবঘুরে, সামাজিক, মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী, অসহায় দুস্থ রোগী, কিশোর, অপরাধী, দুস্থ শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সমাজসেবা অধিদফতরের অধীনে গাজীপুরে ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৮২ সালে। প্রতিষ্ঠানটির আসন সংখ্যা ৪০০। সেই সময় কেন্দ্রটি ৪০০ জন নিবাসীদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য আধাপাকা টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে, যা বসবাসের অনুপোযোগী। কয়েকবার মেরামত করা হলেও এখনো ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই যেখানে সেখানে পানি পড়ে। ভবনগুলো ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই পরিত্যক্ত ঘোষণা করে গণপূর্ত অধিদফতর। এ অবস্থায় জরাজীর্ণ ভবনগুলোর জায়গায় সমাজের অবহেলিত, অনগ্রসর ও দুস্থ শিশুদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে আবাসিক ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনা, আসবাবপত্র কেনা, বিছানাপত্র কেনা এবং মোটরযান কেনা। প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুস্থ শিশুদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের সুষ্ঠু সুযোগ তৈরি, দুস্থ শিশুদের পরিচর্যা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি দুস্থ শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে সমাজের মূলধারায় যুক্ত করা সম্ভব হবে। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।