Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুতে চলবে ট্রেন

প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আজিবুল হক পার্থ : আরামদায়ক-নিরাপদ ভ্রমণের লক্ষ্যে যোগযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এক্ষেত্রে সড়কপথের যানজট কমিয়ে দ্রুত নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেলওয়েতে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারাই ধারাবাহিকতায় উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ইলেক্ট্রিক রেল নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলবে। ফলে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর পাশাপাশি জ্বালানি খরচও কম হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, রেলমন্ত্রণালয়, তাদের নিজেস্ব একটি ফিজিবিলিটি যাচাই রিপোর্টসহ প্রকল্পের সারাংশ জমা দিয়েছে। রোবাবার এর উপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। সব ঠিক থাকলে এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তোলা হবে। প্রাথমিকভাবে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু করতে প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫৮ কোটি টাকা।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে রেলওয়ে ইলেকট্রিফিকেশন করা হলে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার রাস্তা অনায়াসে পাড়ি দেয়া যাবে। যা রেলওয়ের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এর ফলে সেকশনে হাই স্প্রীড ইলেকট্রিক ট্রেনের পাশাপাশি ভ্রমণ সময় ও ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমে আসবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পের ফিজিবিলি স্ট্যাডির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কার্যক্রম লক্ষ্য করা গেছে। সব প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রথমে ন্যাশনাল পাওয়ার গার্ড লাইন, গার্ড স্টেশনের নিকটবর্তী স্থানে ইলেকট্রিক্যাল সাব-স্টেশনগুলো স্থাপনের উপযুক্ত এলাকা নির্বাচন করা হবে। তবে ট্র্যাকশন রিকোয়্যারমেন্টের জন্য ইলেকট্রিক পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ইতিবাচক মতামত পাওয়া গেছে। এছাড়া ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের জন্য আধুনিক পদ্ধতি অনুসন্ধান করা হবে। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে ৭ জন আন্তর্জাতিক ও ৯ জন দেশিয় পরামর্শক নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি সার্ভে অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন করা হবে। প্রয়োজনীয় অফিস ইক্যুইপমেন্ট কেনা হবে। সব কিছুই করা হবে প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।
কর্মকর্তাদের মতে, রেলপথে গতি আনতে ও যাত্রী সুবিধার কথা চিন্তা করে বাংলাদেশে এই প্রথম চালু হতে যাচ্ছে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগের ইলেকট্রিক ট্রেন। রেলপথ সংলগ্ন বিদ্যুতের লোকোমেটিভের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকবে। এছাড়া দুইশ’ কিলোমিটার গতিবেগের ইলেকট্রিক ট্রেন চলার লক্ষ্য নিয়ে রেলপথ ও লোকোমেটিভসহ অন্যান্য অবকাঠামো ঢেলে সাজানো হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন বলেন, দেশে এবার প্রথম চালু করতে যাচ্ছি ইলেক্ট্রিক ট্রেন। যা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি মাইল ফলক। জ্বালানি খরচ অনেকাংশে কমে আসবে। আমরা দেখেছি বিশ্বের অনেক দেশ ইলেকট্রিক ট্রেনে ঝুঁকছে। প্রাথমিক পর্যায়ে দেড়শ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে পারবো। পুরোপুরি ইলেকট্রিফিকেশন করা হলে গতি আরও বাড়বে। জনসংখ্যা ও গুরুত্বের কথা চিন্তা করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম রুটে এই ট্রেন চালু করা হবে। এই অঞ্চলে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু করা হলে পরিবহন সেক্টরে বড় পরিবর্তন আনবে। সেই সাথে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুতে চলবে ট্রেন

২৯ জানুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ