প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তরঃ ফরয রোযা রাখা অবস্থায় দৈহিক মিলন পানাহারের মতোই নিষিদ্ধ। যে স্বামী-স্ত্রী ফরয রোযা অবস্থায় দৈহিক মিলনে চলে যান। তাদের রোযা ভেঙ্গে যায়। এভাবে রোযা ভাঙ্গলে শুধু কাযা করলে হয় না। কাফফারা করতে হয়। কাযা অর্থ এক রোযার বদলে এক রোযা রাখা। কাফফারা অর্থ এক রোযার বদলে একাধারে ৬০টি রোযা রাখা। মাঝে কোনো কারণে একটি রোযা ছেড়ে দিলে নতুন করে আবার ৬০টি রোযা রাখতে হবে। এটি মূলত আল্লাহর হুকুম অমান্য করে রোযার সময় দিনের বেলায় স্বামী-স্ত্রীর অসাবধানতা কিংবা আবেগবশত সেক্স করার ক্ষতিপূরণ। যার আরবী নাম কাফফারা। তবে একান্ত স্বাস্থগত কারণে কাফফারার রোযা রাখতে না পারলে ৬০ জন মিস্কিনকে খানা খাওয়াতে হবে। একজনকেও ৬০ দিনের খানা দেওয়া যায়। প্রতিটি খানা কমপক্ষে একটি ফিতরার সমান হতে হবে। যেমন চলতি বছর একটি ফিতরা মূল্য কমপক্ষে ৭০ টাকার সমান।
সূত্রঃ জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিকাহ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিচ্ছেন, আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী।
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।