Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্নঃ অসাবধানতাবশত অথবা আবেগের বশে রোযার দিনে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দৈহিক মিলন হয়ে গিয়েছে। এখন এর কাফফারা বা করনীয় কী?

রোমানা আরজু,
মিরপুর, ঢাকা।

প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ১২:১৫ এএম

 উত্তরঃ ফরয রোযা রাখা অবস্থায় দৈহিক মিলন পানাহারের মতোই নিষিদ্ধ। যে স্বামী-স্ত্রী ফরয রোযা অবস্থায় দৈহিক মিলনে চলে যান। তাদের রোযা ভেঙ্গে যায়। এভাবে রোযা ভাঙ্গলে শুধু কাযা করলে হয় না। কাফফারা করতে হয়। কাযা অর্থ এক রোযার বদলে এক রোযা রাখা। কাফফারা অর্থ এক রোযার বদলে একাধারে ৬০টি রোযা রাখা। মাঝে কোনো কারণে একটি রোযা ছেড়ে দিলে নতুন করে আবার ৬০টি রোযা রাখতে হবে। এটি মূলত আল্লাহর হুকুম অমান্য করে রোযার সময় দিনের বেলায় স্বামী-স্ত্রীর অসাবধানতা কিংবা আবেগবশত সেক্স করার ক্ষতিপূরণ। যার আরবী নাম কাফফারা। তবে একান্ত স্বাস্থগত কারণে কাফফারার রোযা রাখতে না পারলে ৬০ জন মিস্কিনকে খানা খাওয়াতে হবে। একজনকেও ৬০ দিনের খানা দেওয়া যায়। প্রতিটি খানা কমপক্ষে একটি ফিতরার সমান হতে হবে। যেমন চলতি বছর একটি ফিতরা মূল্য কমপক্ষে ৭০ টাকার সমান।
সূত্রঃ জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিকাহ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিচ্ছেন, আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী।

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • MD Kamrul Islam ২২ মে, ২০১৯, ২:৪৭ এএম says : 1
    আল্লাহ আমাদের সবাইকে যথাযথভাবে রোজা পালন করার তৌফিক দান করুক।
    Total Reply(0) Reply
  • জামিল ২২ মে, ২০১৯, ২:৪৭ এএম says : 1
    নিয়মিত মাসয়ালার উত্তর দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করায় ইনকিলাবকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুজ্জামান ২২ মে, ২০১৯, ২:৪৮ এএম says : 1
    আসুন আমরা সবাই রোজার পবিত্রতা রক্ষা করে চলি
    Total Reply(0) Reply
  • Tawhidul Islam ২২ মে, ২০১৯, ২:৪৮ এএম says : 1
    রোজার সময় এই মাসয়ালাগুলো বলে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • নাঈম ২২ মে, ২০১৯, ২:৪৯ এএম says : 1
    রোজা আল্লাহর প্রিয় ইবাদাত
    Total Reply(0) Reply
  • সফিক আহমেদ ২২ মে, ২০১৯, ২:৫০ এএম says : 1
    রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের নিকট রমজান মাস সমুপস্থিত। তা অত্যন্ত বরকতময় মাস। আল্লাহ তায়ালা এই মাসের রোজা তোমাদের প্রতি ফরজ করেছেন। এই মাসে আকাশের দুয়ারসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়। এই মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এই মাসে বড় বড় ও সেরা শয়তানগুলো আটক করে রাখা হয়। আল্লাহরই জন্য এই মাসে একটি রাত আছে, যা হাজার মাস অপেক্ষাও অনেক উত্তম। যে লোক এই রাত্রির মহাকল্যাণ লাভ হতে বঞ্চিত থাকল সে প্রকৃতই বঞ্চিত ব্যক্তি।
    Total Reply(0) Reply
  • heron ২৬ মে, ২০১৯, ৯:৩৮ এএম says : 0
    মাস আলা সংশ্লিষ্ট হাদিসের রেফারেন্সিং থাকা ভালো,তাহলে আমলের জন্য সহজ হবে আর এখতেলাফি বিষয়ে একাধিক মত থাকলেও কোনটি হাদিসের দিক দিয়ে গ্রহনযোগ্য তার উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়,রেফারেন্স দেয়াটাই ইসলামের বিধান,আশা করি সম্মানিত আলোচক বিষয়টি গুরুত্ব দিবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md khorshed khan ২৬ মে, ২০১৯, ৯:৪৮ পিএম says : 0
    Thankyou
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশ্ন :

৩ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ