Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাড়া করা নেতৃত্বে চলছে বিএনপি

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ভাড়া করা নেতৃত্ব চলছে। কর্নেল অলি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের দায়িত্ব নিতে চান গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদের বিষয়ে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইতোপূর্বেও ধার করা নেতা দিয়ে চলেছে। ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জোটের নেতৃত্ব ড. কামাল হোসেন সাহেবদের হাতে তুলে দেয়া হয়ে ছিল। সেটি এখনও বহাল আছে। নেতৃত্বের দুর্বলতার কারনেই বিএনপির এমন দৈন্যদশা।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন নতুন করে আবার নেতৃত্ব ভাড়া করবে কিনা সেটি বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইতোপূর্বেও তারা নেতা ভাড়া করেছে। কারণ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যে ঐক্যফ্রন্ট সেই ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপি আছে। প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে এখন বিএনপির নেতৃত্ব নেই। তারেক রহমান যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। দেশের বাইরে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়া সহজ নয়। সেই কারণেই অতীতে বিএনপির বহু সিদ্ধান্ত বাস্তব সম্মত ছিল না।
বিএনপির নানাবিধ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আজকের এই দৈন্যদশা তাদের ক্রমাগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। তারা প্রথমত গত নির্বাচন অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করেও করেনি। নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর যেভাবে তৎপর থাকার কথা ছিল, তাদের কোন প্রার্থীর তেমন তৎপরতা ছিল না। এছাড়া মনোনয় বাণিজ্য তো আছেই। তবে মনোনয়ন বাণিজ্য এখানে নয় লন্ডনে হয়েছে। এখানে যেগুলো হয়েছে সেগুলোও লন্ডন পর্যন্ত গেছে।
বিএনপি রাজনৈতিক দৈন্যদশায় পৌঁছেছে বলেই অন্য দলের নেতারা তাদের জন্য ভাড়ায় যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করার সাহস পাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ কামড় লেগে জিহ্বায় ঘা হয়ে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না। আমি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের বিশ্ববিদ্যালয় হানপাতালের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন খালেদার জিহ্বায় ঘা হয়েছে। সে কারণে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছিলেন না, তবে এখন অনেকটা ভালো হয়ে গেছে। দু’একদিনের মধ্যে তিনি পরিপূর্ণভাবে ভালো হয়ে যাবে, তিনি স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু খালেদার অসতর্কতাবশত জিহ্বায় কামড় লেগেছে একটা অনেকেরই হয়। জিহ্বা কামড় লেগে ঘা হয়। কিন্তু এটি এমন কোন রোগ নয় যে একেবারে জীবন শঙ্কা, যেভাবে বিএনপি নেতারা বলছেন। কামড় লেগে ঘা হয়েছে, বেঁচে থাকার বন্য ঝাউ খাচ্ছে এভাবে উপস্থাপন করা অপরাজনীতি।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত। বছরের পর বছর ধরে তার আইজীবীরা আদালতকে বার বার তারিখ পরিবর্তন করে হ্যারেজ করেছে। মামলার ক্ষেত্রে এতো সময় নেয়ার ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি। স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ায় তার বিচার হয়েছে। বিচারের মাধ্যমে তার শাস্তি হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে এই শাস্তি হয়নি। সুতরাং আইনকে প্রভাবিত করার সুযোগ নেই। এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। রূপপুরের ঘটনায় অনিয়মের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ