পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশবরেণ্য রাজনীতিক বেগম খালেদা জিয়া। দেশ-বিদেশে রয়েছে তাঁর কোটি কোটি ভক্ত অনুরাগী। গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের রাজনীতির ঝান্ডা উড়িয়েছেন বাংলাদেশের আকাশে। ‘আপোষহীন’ এই নেত্রীর নামে এখনো গ্রামে-গঞ্জে মানুষ মানত করেন; মাজারে সিরনি দেন। ঘরে ঘরে গৃহবধুরা রোজা রাখেন, মসজিদে মসজিদে তাঁর রোগমুক্তির কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হচ্ছে। বাংলার মানুষের ‘হৃদয়ে যার স্থান’ সেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৭৪ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতিতে উদ্বিগ্ন দেশ-বিদেশের সবাই। তিনি ‘জাউ’ খেয়ে কোনরকমে জীবনধারণ করছেন। অথচ তাঁকে সেখান থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার তোড়জোড় চলছে। বেগম জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়া হচ্ছে মন্ত্রীদের বরাত দিয়ে মিডিয়ার এই খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।
আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ার আগেই মেডিকেল থেকে কারাগারে নেয়ার চেষ্টা তাঁর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি নিয়তি? তাদের বক্তব্য দেশের বরেণ্য নেতার প্রতি এমন আচরণ শুধু অমানবিকই নয়, বরং তাঁর প্রতি আইনের আবরণে কারো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ব্যক্তিগত আক্রোশ, বিদ্বেষ ও ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। তারা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যে আইনে জেলের বাইরে থাকেন; সেই একই আইনে বেগম জিয়া এখনো কারাগারে কেন? তাহলে কি আওয়ামী লীগ নেতা ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের কথাই সত্য? সম্প্রতি নাসিম বলেছেন, ‘পয়সা দিয়ে পুলিশ এমনকি আদালত পর্যন্ত কেনা যায়।’
বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। এতোটাই অবনতি যে, স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত করতে পারছেন না। ইনস্যুলিন ব্যবহারের পরেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ তো হচ্ছেই না, বরং তা বিপজ্জনক মাত্রায় অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে তার মুখে ক্ষতের জন্য প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন না। জাউ (আতপ চালের সিদ্ধ ভাত) খেয়ে জীবনধারণ করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার এই অবনতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিএনপি সারা দেশের নেতাকর্মীরা। এই অবস্থায় সরকারের মন্ত্রীরা খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যা দলটির নেতাকর্মীদের কাছে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার নামান্তর।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি এমন আচরণকে শুধু অমানবিকই নয়, বরং তাঁর প্রতি আইনের আবরণে কারো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রচন্ড ব্যক্তিগত আক্রোশ, বিদ্বেষ ও ক্রোধ মেটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী ও প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। তাদের দাবি আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া উচিত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। কারাগারের স্যাঁতস্যেতে মেঝেতে থাকার কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দলটির পক্ষ থেকে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাথে বিএনপির শীর্ষ নেতারা সাক্ষাৎ করে চিকিৎসার দাবি জানান। এরই প্রেক্ষিতে বিশেষায়িত (ইউনাইটেড) হাসপাতালের পরিবর্তে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে তাকে দুই দফা চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু দলটির পক্ষ থেকে বরাবরই অভিযোগ করা হচ্ছে, বেগম জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে দলবাজ চিকিৎসকদের কারণে তিনি সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেখানে প্রতিদিনই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সর্বশেষ গত ১৮ মে শনিবার বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো খালেদা জিয়ার জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
বিএনপির চিকিৎসক ও আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারাগারে অবস্থানকালীন তাঁর কক্ষের বাথরুমে তিনি পড়ে গিয়ে প্রচন্ড ব্যথা পান। নির্জন, নিঃসঙ্গ, নিরাপত্তাহীন পরিবেশে দীর্ঘদিন নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগ, বিষন্নতাসহ মানসিক রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ার সম্ভবনা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। বিরূপ, নিপীড়নমূলক পরিবেশ ও অস্বাভাবিক মানসিক চাপের ফলে তাঁর আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। মারাত্মক জীবন-বিনাশী জীবানুদ্বারা ফুসফুসের সংক্রমণ বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়াও ধারণা করা হয় যে, কারাগারে থাকার সময় সেখানকার পরিবেশের জন্য ভয়ংকর মাত্রার ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়ামের শুন্যতা দেখা দিয়েছে যা’ তাঁর হাড়ের জন্যে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তাছাড়া অনেক আগে থেকেই তিনি বাম কাঁধ ও হাতের ব্যথায় ভুগতেন। এখন সেই ব্যথা ডান কাঁধ ও হাতেও সম্প্রসারিত হয়েছে। তিনি এখন দুই হাতেই নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা.এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে জটিল নানা রোগে ভুগছেন। ইতোপূর্বে তাঁর দুই হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কিছুদিন আগে তিনি লন্ডনে চোখের অপারেশনও সম্পন্ন করেছেন। চিকিৎসকদের পরিভাষায় তিনি একজন বিশেষ পরিচর্যা সাপেক্ষ রোগী। সে হিসাবে সুচিকিৎসার স্বার্থে তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত পরিচর্যার সকল সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরী, যা সকল সভ্য, গণতান্ত্রিক ও মানবিকতাবোধসম্পন্ন দেশে নিশ্চিত হয়। প্রকৃত ও যথাযথ সেবার অভাবে, ক্রমান্বয়ে তিনি ঘাঁড়, মেরুদন্ড ও নানাবিধ স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
খালেদা জিয়াকে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেছেন, লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম জিয়া কোনদিনই কারাগার থেকে বের হবেন না। তিনি দেশে এসে সেটি পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করছেন। ইতোমধ্যে কেরাণীগঞ্জে আদালত স্থানান্তরের এসআরও জারী করা হয়েছে। এই নির্দেশ কিসের জন্য এবং কার জন্য করা হচ্ছে তা জনগণের বুঝতে বাকী নেই। দেশ কর্তৃত্ববাদী শাসনে এক মহা-শৃঙ্খলের মধ্যে আবদ্ধ হয়েছে বলেই ন্যায় বিচার নিরুদ্দেশ হয়েছে। সেই কারণে অন্যায়-অবিচারের এক চরম বহি:প্রকাশের ফলশ্রুতি হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেয়া। অশুভ উদ্দেশ্যেই কারাগারে আদালত বসানো হচ্ছে।
অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে সেটিকে কেবল অমানবিকই নয়, বরং রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত আক্রোশ, ক্রোধ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের অন্যতম বড় দলের নেতা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তাঁর সাথে যে ব্যবহার করা হয় সেটা সাদা চোখে দেখলে অমানবিক মনে হয়। আইনে কি আছে তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে আইনটা কিভাবে প্রয়োগ করা হয়? তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন হাসপাতালে থাকে, নাজমুল হুদার ১৫ বছরের সাজা হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে জামিন পেয়ে যায়। হত্যার আসামী, নার্সকে ধর্ষণের হুমকি দেয়া ছাত্রলীগ নেতা ৪৫ মিনিটের মধ্যে জামিন পেয়ে গেলো। আইনে অনেক কিছু থাকে, মূল কথা হচ্ছে আইনটা কিভাবে প্রয়োগ করা হয়?
খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও সবচেয়ে কঠোরতমভাবে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে মন্তব্য করে সংবিধান বিশেষজ্ঞ এই শিক্ষাবিদ বলেন, তাঁর (খালেদা জিয়া) সাথে যে আচরণ করা হচ্ছে তাঁর স্ট্যাটাস, এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, বয়স বিবেচনায় কোন কিছুর সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ না। খালেদা জিয়ার প্রতি এমন আচরণ দেখে মনে হচ্ছে যেন তাঁর প্রতি কারো একটা অন্ধ আক্রোশ কাজ করছে। সেই আক্রোশটা বিভিন্ন আইনের আবরণে তার প্রতি মেটানো হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং তাঁকে দেশে না বিদেশে নিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদান করা প্রয়োজন।
আসিফ নজরুল বলেন, বেগম জিয়ার জামিনের ক্ষেত্রে কোন রকম সরকারি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা উচিত। এটা যেকোন সাধারণ বিবেকবান সাধারণ মানুষ বলবে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক আক্রোশ তো আছেই, এর সাথে কারো ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হচ্ছেন বেগম জিয়া। এটা খুবই দুঃখজনক এবং বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কারো জন্যই কল্যাণকর হবে না। এটার রেশ বহুদিন থাকবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রত্যেকটা নাগরিকের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা আশা করি বেগম জিয়া ন্যায় বিচার পাবেন। যদিও এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছে। তাঁর জামিন পাওয়া এবং চিকিৎসা পাওয়ারও অধিকার রয়েছে। আদালত তার বয়স, সম্মান, সাজা বিবেচনা করে যদি জামিন পাওয়ার যোগ্য হয় তাহলে আদালত তাকে জামিন দেবেন। তিনি আরো বলেন, সরকারের দায়িত্ব তাঁর জামিন পাওয়ার যোগ্য হলে জামিন দেয়া এবং একইসাথে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এর থেকে ব্যত্যয় ঘটালে এটা কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে তার যদি স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় তাহলে সেটা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে সেটা অন্যরাও অনুসরণ করবে। আবার যদি এক্ষেত্রে কোন অনৈতিকতা, অন্যায়ের কোন প্রশ্ন উঠে সেটা অনাকাক্সিক্ষত। আমি আশা করবো সরকার খালেদা জিয়ার প্রতি ন্যায়ের সাথে, আইনসম্মত এবং তার যে অধিকার প্রাপ্য সে অনুযায়ি কাজ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যেভাবে কারাগারে নিয়ে শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে তা প্রকৃতপক্ষে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় অমানবিক। রাজনৈতিক মামলা যদি হয় আর প্রতিহিংসা পরায়ণ যদি কোন উদ্দেশ্য থাকে তাহলে সেখানে মানবিক আর অমানবিক বিষয় সরকার দেখবে না। এজন্য তারা বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ্য অবস্থাতেই কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিতে পারে। এ অবস্থায় তাকে সেখানে নিলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার সেটিকে কোন তোয়াক্কা করছে না। সরকার মনে করছে, তারা যেভাবে দেশ চালাচ্ছে সেখানে কোন কিছু তোয়াক্কা করার কিছু নেই। গণতান্ত্রিক সরকার যদি প্রতিষ্ঠিত হতো তাহলে তারা এভাবে বিরোধীদলের নেতার প্রতি আচরণ করতো না। বরং সম্মান প্রদর্শন করতো। তারা জবাবদিহিমূলক সরকার হলে চিন্তা করতো জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে, জনগণের কাছে ভোট চাইতে হবে, জবাব দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াটা এখানে নেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর। এখন আর জবাবদিহিতা নিয়ে আর কোন প্রশ্ন আসে না। যেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, রাষ্ট্র যেখানে গণতন্ত্রের প্রতি কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। সেখানে সরকার খালেদা জিয়া বা যেকোন লোককে এভাবে শাস্তি দিতেই পারে। তবে এটাই শেষ কথা নয়। প্রবিাদে রয়েছে এই দিন দিন নয়/ আরো দিন আছে/ একই দিনকে নিয়ে যাবে/ সেই দিকের কাছে। অতএব সাবধান! #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।