পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মধ্যস্বত্বভোগীরা যাতে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে না পারে সেজন্য সরকারকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস। গতকাল শুক্রবার সকালে শাহাবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সরকার কর্তৃক ন্যায্যমূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ দাবি করেন। ‘আমরা কৃষক সন্তান’ ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
গোলাম কুদ্দুস বলেন, এ বছর কৃষকরা ধানের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না। এক মণ ধান উৎপাদন করতে যে খরচ করে কৃষক সেই খরচ ধান বিক্রি করে তুলতে পারছে না। তাহলে কৃষক বাঁচবে কিভাবে?
মধ্যস্বত্বভোগীদের কথা উল্লেখ করে গোলাম কুদ্দুস বলেন, এরা কৃষকদের কাছ থেকে ৫-৬শ’ টাকায় এক মণ ধান কিনে সরকারের কাছে বিক্রি করে হাজার টাকায়। দালাল-ফড়িয়াদের থামাতে হবে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে কৃষক বাঁচবে না। আর কৃষক না বাঁচলে দেশ পড়বে খাদ্য সঙ্কটে।
ফড়িয়া, দালাল ও মজুতদারদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে অবিলম্বে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিন্টু কুমার মন্ডল, আমরা কৃষক সন্তান-এর সহ-সভাপতি নিকুঞ্জ হালদার, গৌরব ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন প্রমুখ।
এদিকে ধানের ন্যায্য দাম ও পাটকল শ্রমিকদের পাওনা মজুরি পরিশোধের দাবিতে রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি পালিন করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। ‘ধানের ন্যায্য দাম দাও, দিতে হবে’, ‘পাটকল শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করো, করতে হবে’ এ ধরনের স্লোগান আর প্ল্যাকার্ড হাতে সমাজের নানা শ্রেণির লোক এতে অংশ নেয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কবি হাসান ফকরী বলেন, কৃষক উৎপাদন করে মূল্য পাবে না, শ্রমিক শ্রম দিয়ে মজুরি পাবে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। দেশের ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যায়। দেশটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ উৎখাত না করা পর্যন্ত শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের মুক্তি হবে না। আমরা চাই, জনগণ সচেতনভাবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াক, তাদের অধিকার বুঝে নিক।
এসময উপস্থিত ছিলেন কবি সাঈদ বিলাস, লেখক-কবি লতিফুল খবীর কল্লোল, কবি মাহবুব হাসান, কবি অভিমান্য মহন্ত প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।