জৈষ্ঠ্যের খরতাপে অসহনীয় হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সর্বত্র বিশুদ্ধ পানির অভাব প্রকট। পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিভ্রাটের কারণে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। মাহে রমজানে রোজাদারদের ভোগান্তি চরমে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বর্ষণ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালসহ প্রায় সমগ্র দেশে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও তাপদাহের লু-হাওয়া যেন মেঘ শুষে নিয়ে যাচ্ছে। টানা এক-দেড় মাস ধরে তাপদাহের কারণে এবং সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানির অভাবে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে প্রায় সর্বত্র।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৫.৭ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৭ ডিগ্রি সে.। তবে দিনের বেলায় ঢাকার বাস্তব তাপের দহন ৪২ থেকে ৪৪ ডিগ্রি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দেশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয় রংপুর বিভাগে রাজারহাটে ৩৭, রংপুরে ৩৩, রাজশাহীতে ৭, বগুড়ায় ৬, সিলেটে ৩৫, নেত্রকোনায় ৬ মিলিমিটার। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।