পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজারের চকোরিয়ার বাসিন্দাদের ভ্রান্ত ধারণা ও সংস্কৃতির কারণে খাবারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত লবণ খাচ্ছেন। ওই সব এলাকার লোক মনে করেন, অতিরিক্ত লবণ খেলে মেদ কমে ও উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস পায়। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেও মনে করেন না তারা। সম্প্রতি আইসিডিডিআর’বির বিজ্ঞানী সাবরিনা রশীদের নেতৃত্বে একদল গবেষকের গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষণায় দেখা যায়, লবণ খাওয়ার বিষয়ে তাদের মধ্যে নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা বিরাজ করছে।
ওই সব এলাকার লোক মনে করেন, অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, জীবাণু ও কৃমি ধ্বংস হয়, তলপেটের ব্যথা ও তন্দ্রা দূর হয়, বৃদ্ধদের ক্ষুধা বাড়ে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে এ অঞ্চলের বাসিন্দারা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে ভুগছেন। তাদের এ ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে বিশেষ কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আইসিডিডিআর’বির গবেষকরা।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয় বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ ভুগছে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। চকোরিয়ায় পরিচালিত গবেষণায় গবেষকরা দেখেছেন, এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণজনিত শারীরিক সমস্যার ব্যাপারে সচেতনতা কম। তারা জানেন না পানির মধ্যে লবণ রয়েছে। তারা মনে করেন রান্না করলে সিদ্ধ হয়ে লবণজনিত সমস্যা দূর হয়।
এছাড়াও এ অঞ্চলের বাসিন্দারা খাবার সুস্বাদু করতে রান্নায় অতিরিক্ত লবণ দেন। খাওয়ার সময় তাদের পাতে আলাদা লবণ থাকে। শুধু খাবারেই নয়, তরমুজ, কাঁঠাল ও তালসহ বিভিন্ন ফলের সাথেও তারা লবণ খান। সাক্ষাৎকালে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সুস্বাদু খাবার রান্না করতে লবণ লাগে। লবণ ছাড়া খাবার তাদের কাছে পানি ছাড়া পুকুর, বৃষ্টি ছাড়া মেঘ বলে মনে হয়। কেউ কেউ খাবারের সঙ্গে লবণ খাওয়াকে হজরত মোহাম্মদ (স:) এর সুন্নত বলেও মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।