পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক। অথচ ঈদ ঘিরে রাজধানীর অভিজাত বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ছোট, বড় শপিংমলে নারীদের পোশাকের প্রায় পুরোটাই ভারত, চীন আর থাইল্যান্ডের দখলে। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতিই আকর্ষণ বেশি। নিত্য-নতুন ডিজাইন আর কাপড়ের মান উন্নত হওয়ায় চড়া দাম হলেও এসব পোশাকের প্রতি আগ্রহ ক্রেতাদের। যদিও দেশি উদ্যোক্তারা বলছেন, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবেই মূলত বিদেশি পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। আবার অনেকের রয়েছে দেশিয় পোশাকের প্রতিও সমান চাহিদা। এজন্য চাহিদা ও মান অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হচ্ছে এসব পোশাক। তবে ক্রেতারা জানান, গরমের কথা চিন্তা করেই এবারের উৎসবে পোশাক কিনছেন তারা। দশ রমজানের পর থেকে পুরোদমে কেনাকাটা শুরু হওয়ার প্রত্যাশা বিক্রেতাদের। ঈদের বাজারে বিদেশি পোশাকের আধিপত্য প্রসঙ্গে ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নেছার উদ্দিন মোল্লা গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, দেশিয় বস্ত্র ব্যবসায়ীদের রক্ষার জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি দাবি জানিয়েছি। এগুলো হলো, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কাপড় আমদানীর উপর মিনিমাম ভ্যালু (এসআরও ভ্যালু) পুন:নির্ধারণ এবং সাপ্লিমেন্টারি ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহার করে বৈধভাবে কাপড় আমদানীর সুযোগ প্রদান। তিনি বলেন, আমাদের এই দাবি মেনে নেয়া হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর সুবিধা করতে পারবে না। তাদের ব্যবসা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে।
বিক্রেতারা জানান, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় সাত থেকে আট হাজার কোটি টাকার বিদেশি পোশাক আমদানি হয়। এসব পোশাকের দামও হাঁকাচ্ছেন ১৫ শ’ থেকে শুরু করে মানভেদে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। যদিও অন্যান্য বছর পোশাকের নামে ভারতীয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের প্রভাব থাকলেও এবছর তেমনটি চোখে পড়েনি। ক্রেতারা বলেন, আকাশ সংস্কৃতির যুগ তো, সবকিছুই হাতের মুঠোয়। দেখা যায়, টিভিতে আরাবিয়ান পোশাক দেখছি আবার কখনও ইন্ডিয়ান দেখছি। হঠাৎ মনে হলো আমি তাদের পোশাক কিনবো। গতকাল রাজধানীর ইসলামপুর কাপড়ের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সারাদেশ থেকে আসা খুচরা ব্যাবসায়ীদের পদচারণায় কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে পুরান ঢাকার থান কাপড়ের ঐতিহ্যবাহী পাইকারি এই বাজার। দেশি-বিদেশি সব ধরনের কাপড়ের দেখা মিলছে ইসলামপুরে। তবে এবার দেশি কাপড়ের থেকে ভারত ও চীনা কাপড়ের প্রাধান্য তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হিসেবে দোকানিরা বলেন, দেশি কাপরের দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় ভারত ও চীনা কাপরের চাহিদা বেশি। চট্রগ্রাম থেকে কাপড় কিনতে আসা শরীফ মিয়া জানান, তিনি মূলত দেশি পোশাকই এখান থেকে কিনে থাকেন। তবে এবার চীনা ও ভারতীয় পোষাকও কিনেছেন এখান থেকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ইসলামপুরের কাপড়ের ব্যবসার বড় অংশই এখন দেশি কাপড়ের দখলে। একসময় বিদেশ থেকে আমদানি করা কাপড়ের পাইকারি বাজার ছিল ইসলামপুরে। এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভাল না থাকায় গেল কয়েক মাস ব্যবসা ভাল যায়নি ব্যবসায়ীদের। ঈদের আগে ভালো বেচা-কেনায় সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা তাদের। ইসলাপমপুরের পাশাপাশি উর্দু রোডেও চলছে জমজমাট বেচাকেনা। তবে রাস্তা খারাপ ও যানজটের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে বিদেশি পোশাকের বাজার দখল নিয়ে চিন্তিত এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
পাকিজা ফেব্রিক্স কালেকশনের সহকারী ম্যানেজার দীপক চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ইসলামপুর তাদের মোট ছয়টি শোরুম রয়েছে। মূলত শবেবরাতের পর থেকে শুরু হয় তাদের বেচা। তিনি বলেন এবার বিক্রি ভাল হয়েছে তবে আশানুরূপ হয়নি। তারা মূলত থ্রিপিস, লুঙ্গি, বিছানার চাদর, শাড়ি ইত্যাদি বিক্রি করে থাকেন।
এদিকে যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় ভারতীয় বিখ্যাত ডিজাইনারের ডিজাইন করা পোশাক আমদানি করেছেন এখনকার ব্যবসায়ীরা। রাজেশ মালহোত্রা, মনিশ মালহোত্রা, সঙ্গীতা শিবরানী ও সত্য পালের মতো ডিজাইনারদের ডিজাইন করা শাড়ি, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গায় এসেছে নতুনত্ব। শেরোয়ানি টাইপ পাঞ্জাবি ও কুর্তায় রয়েছে রাজকীয় ছোঁয়া। পাশাপাশি মনেরেখ, নীল আঁচল, মান্যবর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানে ভারতীয় তন্তুজ, ভাগলপুরের সিল্ক, পার্টি শাড়ি, দিল্লি কটন, বোম্বে ডিজাইনের শাড়ি, দিল্লির লেহেঙ্গা, সারারা লেহেঙ্গা ও ঢাকাইয়া জামদানি বিক্রি হচ্ছে।
নয়াপল্টনের পলওয়েল সুপার মার্কেট পুরুষ ও শিশুদের আমদানি করা পোশাকের জন্য বিখ্যাত। এখানকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বছরজুড়ে চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে জুতা, বেল্ট, চামড়ার স্যান্ডেল, শার্ট, টি-শার্ট, কুর্তা, পাঞ্জাবি আমদানি করেন। ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে রোজার তিন মাস আগে এসব পণ্যসামগ্রী আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এগুলো চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীসহ সারা দেশের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রিও করা হয়েছে।
পলওয়েল মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, রোজার প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমদানি করা পোশাক বিভিন্ন বন্দর দিয়ে দেশে আসবে। তবে পাইকারি বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা পছন্দসই পোশাক নিয়ে যাচ্ছেন।
পলওয়েলের পাশে গাজী ভবনের মার্কেটে শতাধিক পাইকারি দোকান রয়েছে। এখানে শিশুদের বিদেশি পোশাক, জুতা ও ভ্যানিটি ব্যাগ পাইকারি বিক্রি করা হয়। থ্রি-পিস ও টপস, বোরকা, ওয়ান পিস, টু-পিসের জন্য বিখ্যাত শান্তিনগরের ইস্টার্ন প্লাস মার্কেট। এ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তান, ভারত ও মালয়েশিয়া থেকে পোশাক আমদানি করেন। এ মার্কেট থেকে পোশাক কিনে নেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এছাড়া গাউছিয়া ও চাঁদনিচক মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও পোশাক আমদানি করেন। এর বাইরে ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে ভারত থেকে পোশাক আনেন।
ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা মাহি ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে টপস, ওয়ান পিস ও টু-পিস আনা হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানি ব্রান্ডের মধ্যে সানা সাফিনা, লাখানি, আসিমজোফা, মারিয়াবি, তাবাক্কুল, প্যাটেল, মতিস, রানাজ এবং ভারতীয় বিবেক, ভিনয়, একতা ও ইসতা থ্রি-পিসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মূলত এবার গরমের সময় ঈদ হওয়ায় এসব থ্রি-পিস আমদানি করতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই খুচরা বিক্রেতারা যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চরিত্রের নামে নিম্নমানের পোশাক আনা হচ্ছে। প্রতি বছর ভারতীয় সিরিয়ালের মূল চরিত্রের অনুকরণে তৈরি করা পোশাক দেশে ঢুকছে। সীমান্ত এলাকার বিভাগীয় শহরের বড় বড় বিপণিবিতানে এসব পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বাহুবলী টু, দিল নাশি, বাজিরাও মাস্তানি, হুররম, কারন-অর্জুন টু ও সেলফি নানা নামের পোশাক বিক্রি হয়েছে।
তবে, এসব পোশাক থেকে রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার। দেশীয় পোশাক উদ্যোক্তারা বলছেন, অবৈধ পথে পোশাক আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন। এতে দেশীয় উদ্যোক্তারা একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে অর্থপাচারের মতো অপরাধও বাড়ছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কত টাকার পোশাক আমদানি করা হয় তার সঠিক তথ্য সরকারি কোনো দফতরে নেই। কারণ বৈধ-অবৈধ উভয়ভাবে পোশাক আমদানি হয়। এলসি অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বৈধভাবে পোশাক আমদানি করা হয়। আবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবেও পোশাক আমদানি করা হয়। মাঝে মধ্যে বিজিবির অভিযানে এ ধরনের চালান ধরা পড়লেও সেটি একেবারেই নগণ্য। এর সঙ্গে আন্ডার ইনভয়েসিং তো আছেই। তবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মতে, শুধু এ ঈদ উপলক্ষে আট হাজার কোটি টাকার বিদেশি পোশাক বৈধ-অবৈধভাবে আমদানি হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, বছরের অন্য সময় আমদানি কম হলেও এ ঈদকে কেন্দ্র করে বিদেশি পোশাকের আমদানি বাড়ে। প্রতি বছর প্রায় ৭-৮ হাজার কোটি টাকার কাপড় আমদানি করা হয়। তিনি বলেন, পোশাকের ওপর শুল্ক কর বেশি আরোপ করায় ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও অনেকে বৈধ পথে পোশাক আমদানি করেন না। এতে সরকার-ব্যবসায়ী উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুল্ক কর কমানো হলে একদিকে বৈধ পথে পোশাক আমদানি বাড়বে, অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ও গতি পাবে।
এদিকে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেছেন, দেশের পোশাকের বাজারের ৪০ ভাগ দখল করে আছে বিদেশি কাপড়। এখনই বিদেশি কাপড় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে স্পিনিং মিলসহ শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ডেড ওয়ার হাউজ সুবিধায় আনা শুল্কমুক্ত কাপড়-সূতাসহ অন্যান্য পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে মারাত্মকভাবে দেশীয় উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের দ্বিতীয় পোশাক রফতানিকারক হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে স্থানীয় স্পিনিং মিলসহ প্রাইমারি খাতের কারখানাগুলো। বর্তমানে গ্যাস বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধিতে দামের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। আর সেই জায়গা দখল করে ভারত-চীনসহ বিদেশি কাপড়। বন্ডেড সুবিধায় আনা পণ্যের গায়ে ‘নট ফর সেল’ লিখে দেয়ার দাবি জানান বিটিএমএ সভাপতি।
জানা গেছে, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক উৎপাদনে ব্যবহার করা সুতা কিংবা কাপড় আমদানিতে কোনো ধরনের শুল্ক দিতে হয় না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে বন্ড লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোই শুল্কমুক্ত এই আমদানির সুবিধা পেয়ে থাকে। এর বাইরে দেশীয় বাজারের জন্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সুতা-কাপড় আমদানিতে গড়ে ৬২ শতাংশ শুল্কারোপ রয়েছে। বন্ড লাইসেন্স অপব্যবহারের মাধ্যমে এই পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাজার দখলে নিয়েছে অবৈধ সুতা এবং কাপড়। এতে একদিকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে বিপর্যয়ের কবলে পড়ছে দেশীয় বস্ত্রশিল্প।
বস্ত্র কল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাজারের জন্য উৎপাদিত সুতা-কাপড় অবিক্রীত পড়ে আছে গুদামে। অবিক্রীত এই দুই পণ্যের দাম অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলার কারণে বাধ্য হয়ে এখন উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে সুতা-কাপড় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। সাধারণত স্থানীয় বাজারের জন্য ঈদের আগের তিন মাসকে ভরা মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। আসছে ঈদ সামনে রেখে এ অবস্থা এখন চরম আকার নিয়েছে। ফলে বিদেশি অবৈধ সুতা-কাপড়ের দাপটে মার খাচ্ছে দেশীয় তাঁত ও বস্ত্রশিল্প।
বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধার অপব্যবহারের কারণে দেশে এক লাখের মতো তাঁতের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ এখন বন্ধ। রফতানিমুখী সুতা এবং কাপড় উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত মিলগুলোও চোরাই পথে আমদানি করা সুতার কারসাজিতে বিপদে পড়েছে। এসব কারণে উৎপাদন ক্ষমতার ৬০ শতাংশ কমিয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে সংশ্নিষ্ট মিলগুলো। তিনি জানান, ২০টির মতো প্রতিষ্ঠান এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। তবে কোনো মিলের নাম উল্লেখ করতে রাজি হননি তিনি। এছাড়া বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ। অথচ তাদের বন্ড লাইসেন্স ব্যবহার করেও আমদানি চলছে। সাধারণত রোজার ঈদ সামনে রেখে সুতা এবং কাপড় তৈরির মিলগুলো উৎপাদনমুখর থাকে। কিন্ত শুল্কমুক্ত আমদানির অপব্যবহারের কারণে এ বছর মিলগুলোর সব কার্যক্রম স্থবির। তিনি বলেন, দেশীয় বস্ত্রশিল্প রক্ষায় সরকার কঠোর না হলে বিদেশি বস্ত্রের বাজারে পরিণত হবে দেশ। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হবে। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।