পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজান মাসে তারাবীহ নামাজ নারী-পুরুষ সকলের জন্য ২০ রাকআত আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। এটাই সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তবে তাবেঈন, আয়েম্মায়ে মুজতাহেদীনের ইজমা বা সর্বসম্মত ঐক্য সত্য। তারাবীহ নামাজে সম্পূর্ণ কোরআন মাজীদ খতম করা অশেষ সওয়াবের কাজ। তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে ছোট ছোট সূরা নিয়ে তারাবীহ নামাজ আদায় করা যায়। তারাবীহ নামাজ দুই দুই রাকআত করে ধীর স্থিরভাবে আদায় করতে হয়। কারণ তারাবীহ শব্দটি রাহাত বা প্রশান্তি থেকে উদ্গত হয়েছে। তারাবীহ অর্থ ক্ষণিক বিশ্রাম। এ জন্য প্রতি চার রাকআত পর পর কিছু সময় বিশ্রাম নিতে হয় এবং দোয়া কালাম পাঠ করতে হয়। দোয়া কালাম পাঠের পর দোয়া করলে অশেষ নেকির অধিকারী হওয়া যায়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে পুণ্য অর্জনের আশায় মাহে রমজানে কিয়াম করে অর্থাৎ তারাবীহ নামাজ আদায় করে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী : খন্ড ১, পৃ: ২৬৯, হাদীস নং ২০০৯; মিশকাত শরীফ : খন্ড ১, পৃ: ১৭৩)।
অপর এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন: আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন এবং রমজানে কিয়াম অর্থাৎ তারাবীহ নামাজ সুন্নাত হিসেবে বিধান জারি করেছেন। সুতরাং সে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সওয়ারের উদ্দেশে রমজানের রোজা রাখবে এবং রাতে তারাবীহের নামাজ আদায় করবে সে যাবতীয় গুনাহ থেকে নবজাত শিশুর মত পবিত্র হয়ে যাবে। (সুনানে নাসাঈ : খন্ড ১, পৃ: ২৩৯; সুনানে ইবনে মাজাহ : পৃ: ৯৪)।
তারাবীহ নামাজ রমজান মাসে এশার ফরজ ও সুন্নাতের পর বিতর নামাজের পূর্বে আদায় করতে হয়। বস্তত: তারাবীহ নামাজ আদায় করার পদ্ধতি সাহাবীদের আমল দ্বারা জানা গেছে। অতএব, ঠিক যে সময়ে তারা তা পড়েছেন- তাই এর জন্য সঠিক ও উপযুক্ত সময়। তারা এই নামাজ আদায় করেছেন- এশার ফরজ নামাজের পর বিতরের নামাজের পূর্বে। রাসূলুল্লাহ (সা.) তারাবীহ নামাজ পাঠ করেছেন। কিন্তু তা রীতিমত প্রত্যেক রাতে পড়েননি। এর কারণ স্বরূপ তিনি নিজেই ইরশাদ করেছেন : রাতের এই তারাবীহ নামাজ তোমাদের প্রতি ফরজ হয়ে যাওয়ার আমি ভয় করছি। আর এই ভয়ের কারণ ছিল এই যে, যেসব ফরজ নয় এমন কাজ রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশে স্থায়ীভাবে আদায় করেন তা তার উম্মতের ওপর ফরজ হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।