পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রফিক মুহাম্মদ : বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হতে পারেÑবিএনপির নেতারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেও এখনই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের অন্যতম দুই মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ওবায়দুল কাদের গতকালও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমরা কেন বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করতে যাব। কাউকে গ্রেফতার করার ইচ্ছা আমাদের নেই। আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও অভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপির কয়েকজন নেতা বলছেন, সরকার তাকে গ্রেফতারের চক্রান্ত করছে। কিন্তু সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে যতদূর জানি, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারে সরকার কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে না। অবশ্য এ ব্যাপারে বিএনপির নেতারা সতর্ক রয়েছেন। তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে গ্রেপ্তার করে নতুন করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার ঝুঁকি নিতে চায় না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। দলটির হাইকমান্ডও এটা চায় না। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, বর্তমানে প্রায় সম্পূর্ণভাবে দেশের রাজনীতি আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। তাই সরকারের এহেন কোনো পদক্ষেপ যাতে বিএনপিকে নতুন করে রাজনৈতিক মাঠ গরমের সুযোগ না করে দেয়, সেদিকে তীব্র সতর্ক আছে ক্ষমতাসীনরা। দলের নেতারা মনে করেন, দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করলে দলটির নেতাকর্মীরা যেমন মরিয়া হয়ে আন্দোলনে নামার চেষ্টা করবে, তেমনি দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক চাপেরও সম্মুখীন হতে হবে সরকারকে। রাজনীতির মাঠে আপাত নিষ্ক্রিয় বিএনপি তাদের নেত্রীর গ্রেফতার ইস্যুতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে, যা পরোক্ষভাবে বিএনপির পক্ষে ও প্রত্যক্ষভাবে সরকারের বিপক্ষে যাবে। তাই জেনে-শুনে-বুঝে এমনিতেই পর্যুদস্ত বিএনপিকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ সরকার দেবে না। দলটির কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতার বক্তব্যে এ ব্যাপারে ধারণা পাওয়া গেছে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পরবর্তী ২ জুন আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশি বাজারে আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উদ্দেশে এ নির্দেশ দেন। এরপর থেকে দলীয় প্রধান যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন- এ বিষয়টি সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ, আর এর প্রতিবাদে দলীয়ভাবে প্রায় প্রতিদিনই বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। দলের সিনিয়র নেতারা এ ব্যাপারে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার বা অন্তরীণ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে নিঃশেষ করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, যাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১৫টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। কীভাবে তাকে অন্তরীণ করা যায় সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, নানা বিতর্ক ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তের পরও দেশের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আর বিএনপির যে সাংগঠনিক চিত্র তাতে সরকারের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমন কোনো সম্ভাবনাও এখনও দেখা যাচ্ছে না। তাই অহেতুক খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে স্থিতিশীল রাজনীতির মাঠ বিরোধীদের গরম করার কোনো সুযোগ সরকার দিতে চায় না। তাই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার বিষয় নিয়েও সরকার ভাবছে না। তাছাড়া, চলমান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় নিয়েও সরকারের মাথাব্যথা নেই। আদালত স্বাধীন। আদালত মামলার মেরিটের ওপর নির্ভর করেই রায় দেবেন। সেখানে সরকারের চাওয়া-পাওয়ারও কোনো বিষয় নেই।
অন্যদিকে জুলুম-নির্যাতন, ভীতি-আতঙ্কের মধ্যেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। সরকারের তল্পিবাহক মিডিয়ায় নানা অপপ্রচার এবং পর্দার আড়ালে দলকে খ--বিখ-িত করার অপচেষ্টাকে মোকাবিলা করেই ঐক্যবদ্ধ আছেন বিএনপির নেতারা। সবাই এখন বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলনের ডাকের অপেক্ষায়। কেন্দ্র থেকে শুরু করে শেকড় পর্যায়ে একই অবস্থা। জাতীয় কাউন্সিলের পর থেকে সবাই কর্মসূচির অপেক্ষায় মুখিয়ে আছেন নেত্রীর দিকে। ভোটের অধিকার আদায়ের দাবিতে আবার আন্দোলনে নামতে সবাই প্রস্তুত। এছাড়াও গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দেয়া, হত্যা, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, সোনালী-জনতাসহ বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থিক কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের টাকা, উন্নয়নের নামে লুটপাট, বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার মহাদুর্নীতি, তিস্তা চুক্তি না করে ভারতকে ট্রানজিট দেয়া, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নামে প্রহসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আন্দোলনে নামবে দলটি। দলের নেতাদের মনোবল ভাংতে অভ্যন্তণীর বিরোধের যে চেষ্টা পর্দার আড়াল থেকে হচ্ছে সেটা বুঝতে পেরেই দল এবং অঙ্গসংগঠনের নেতারা সতর্ক। আন্দোলনের পাশাপাশি বৃহৎ ঐক্যও গড়তে চায় দলটি। রমজানে সারাদেশে গণসংযোগ করা হবে। অতপর মাঠে নামবে। ২০দলীয় জোট আরো সম্প্রসারিত করা হবে। দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা মনে করেন বেগম খালেদা জিয়া এখন শুধুমাত্র দলের নন; সময়ের প্রয়োজনেই তিনি এখন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তার নেতৃত্বে এবার ঐক্যবদ্ধভাবে এ দুঃশাসন থেকে মুক্তির আন্দোলন শুরু হবে।
জাতীয় কাউন্সিলের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা না হলেও মূলত রমজান মাসেই নেতাকর্মীদের মাঠে সক্রিয় করতে নতুন পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছে বিএনপি। আসছে রোজার পর বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে দলটি মাঠে নামছে। ইউনিয়ন পরিষদের পাতানো নির্বাচন জেনেও অংশ নিয়েছে দলটি মূলত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে। এ কৌশল সফল হয়েছে। দলের নেতারা জানান, বর্তমান সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, হত্যা-গুম এসব বিভিন্ন বিষয় এবার জনগণের সামনে তুলে ধরার প্রস্তুতি চলছে বলে নীতিনির্ধারক কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, সোনালী জনতাসহ বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থিক কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের টাকা, উন্নয়নের নামে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে লুটপাট, কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার মহাদুর্নীতি, তিস্তা চুক্তি না হওয়ার পরও ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া, নির্বিচারে হত্যা-গুম, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও অনিয়মের চিত্র এবং ধানের মূল্য না পেয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরবে বিএনপি। এসব বিষয়ে পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে একটি ভিডিও চিত্রও তৈরি হচ্ছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম রোজার পর দেশের প্রতিটি জেলা পর্যায়ে সফর শুরু করবে। প্রতিটি জেলায় সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত ও উজ্জীবিত করার পাশাপাশি জনগণের সামনে সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও অপশাসনের চিত্র তুলে ধরা হবে। এই জনসংযোগ কর্মসূচির মধ্যেই চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবেন। দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারপার্সনের কর্মসূচির মধ্যে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ এবং তিস্তা অভিমুখে রোড মার্চ কর্মসূচির থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্থায়ী কমিচির বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে। এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, দলকে সাংগঠনিকভাবে সুসংহত করতেই সাংগঠনিক কর্মকা- আরও বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে রোজার পর আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সাংগঠনিক ব্যাপক তৎপরতা শুরু হবে। সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত আছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ করছি। ঈদের পর আমাদের এ প্রতিবাদ সারাদেশে জনসংযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
বিএনপিকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দলটির নীরবতা নিয়ে মিডিয়াতেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। বিশেষ করে গত ১৯ মার্চ দলের কাউন্সিল শেষ হওয়ার এতদিন পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত না হওয়ায় চলছে বিরূপ সমালোচনা। অনেকে বলছেন, ৪২ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর অন্তর্কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় দলের চেয়ারপার্সনসহ নীতিনির্ধারকরা নীরব হয়ে গেছেন। অন্তর্কোন্দল ভাঙনে রূপ নিতে পারে, এজন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছেÑএমন বক্তব্যও অনেকে উপস্থাপন করছেন। তবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব মন্তব্য একবারেই অবান্তর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপিতে কোনো প্রকার অন্তর্দ্বন্দ্ব বা কোন্দল নেই। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্য অত্যন্ত দৃঢ় রয়েছে। সরকারের চরম অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও নেতাকর্মীরা চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আছে। সরকার দল ভাঙার অনেক চেষ্টা করছে। তবে নেতাকর্মীদের দৃঢ়তায় সরকারের দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র সফল হচ্ছেনা। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এখন শুধুমাত্র দলের ঐক্যের প্রতীক নন। তিনি এখন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে ওঠেন। তার নেতৃত্বে এবার ঐক্যবদ্ধভাবে এ দুঃশাসন থেকে মুক্তির আন্দোলন শুরু হবে।
দলীয় সূত্রমতে, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যে কোনো সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটি ঘোষণার পর আসছে রোজার পর সাংগঠনিক কর্মকা- গতিশীল করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে দলটি মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে দেশের যে কোনো বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথমেই কৃষক সমাবেশের আয়োজন করার প্রক্রিয়া চলছে। ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে দেশের কৃষক এখন এখন চরম হতাশ। একমন ধান উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ছয়শ টাকা। সেই ধান তিনশ-সাড়ে তিনশ এলাকাভেদে চারশ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ সরকার ধানের মূল্য ৯২০ টাকা নির্ধারণ করেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেক দামে কৃষক ধান বিক্রি করছে। অন্যদিকে ধানের এ ভরা মৌসুমেও ভারত থেকে দেদার চলছে চাল আমদানি। এ অবস্থায় কৃষকের পাশে এবার বিএনপি দাঁড়াচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু এ বিষয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। সরকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান না কিনে বিভিন্ন চাতাল মালিক ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান কিনছে। এতে তাদের দলীয় লোক লাভবান হচ্ছে। আমরা সরকারের এ নীতির প্রতিবাদ করছি। কৃষক যাতে ধানের দাম পায় আমরা সে দাবি জানাচ্ছি। ঈদের পর এই কৃষকদের নিয়ে আমাদের মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি চলছে। চেয়ারপার্সনের সাথে আলোচনা করে এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।
রোজার পর বিএনপির জেলা সফরে সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরবে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে। তার দেশে-বিদেশে কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সেই ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছ। সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য ইতোমধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, লন্ডনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাছে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্যের মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাপারে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বিষয়টি প্রচার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত দাবি করেছে। বিএনপি চেষ্টা করছে জয়ের সম্পদের ব্যাপারে আরও ব্যাপকভাবে প্রচারণা করতে।
বিএনপি তাদের জনসংযোগে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি তুলে ধরবে। এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এটা জনগণের কাছে আজ পরিষ্কার। তাই এ বিষয়ে বিএনপি জনগণের কাছে বলবে, ভোটারবিহীন সরকার বেআইনি বন্দুকের শাসন জারি করার কারণেই চলমান নির্বাচনগুলোতে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। ইউপির পঞ্চম ধাপেও ৪২ জন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। সরকার অভিনব নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার কারণেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়-জয়কার। ভোটারবিহীন সরকারের শুভ ইচ্ছার ষোলকলা পূর্ণ করেছে তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনের সহিংসতায় ইতোমধ্যে শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। সুজন ইতোমধ্যে এ নির্বাচনকে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ নির্বাচন বলে উল্লেখ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।