পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মেডিকেল অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল বাতিল ও ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবারও উত্তপ্ত ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমএমইউ) ক্যাম্পাস। এদিন বেলা ১২টায় থেকে ভিসি’র কার্যালয়ের সামনে এবং নিচতলায় ডা. মিলন হলের সামনে বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসকরা জড়ো হয়ে পরীক্ষা বাতিল ও ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন ¯েøাগান দেয়। স্মারকলিপি নিয়ে বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুুয়া এসময় তার কার্যালয়ে ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় আগেরদিনে মতো গতকালও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসকরা জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। আন্দোলনকারী বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসকদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে নজিরবিহীন অনিয়ম হয়েছে। ভিসি ও পরীক্ষ নিয়ন্ত্রকসহ তাদের স্বজনদের নিয়োগ দিতে পরীক্ষর ফলাফলে টেম্পারিং করা হয়েছে। এমনকি যাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের বয়স নেই এমন চিকিৎসকরাও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসক ডা. রিয়াদ আরেফীন বলেন, সকালে আমরা স্মারকলিপি নিয়ে ভিসি’র সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মিটিংয়ে ছিলেন। স্মারকলিপিতে আমরা আমাদের সাত দফা দাবি তুলে ধরেছি। এই পরীক্ষায় যে ৩২ বছরের বেশি বয়সীরা সুযোগ পেয়েছে এবং স্বজনপ্রীতি হয়েছে আমাদের কাছে এসব তথ্য প্রমান রযেছে।
গতকাল দুপুরে বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসকদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকতার কাছে কিছু তথ্য চেয়ে একটি আবেদন পত্র জমা দেয়। সেখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটিতে কারা ছিলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, বয়স ৩২ উর্ধ্ব প্রার্থীর তথ্য এবং কর্তা ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয়বাহী প্রার্থীর তালিকা চাওয়া হয়েছে। নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, হতাশাগ্রস্থ হয়ে তারা এসব করছে। তাদের দাবি অযৌক্তিক। মেধার ভিত্তিতেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। অনিয়মের কোন প্রশ্নই আসে না। তারা যতই যা করুক এ বিষয়ে কোন আপোষ হবে না। প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার এবং ২০ জন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগে লিখিত পরীক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষয় ৮ হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। ২০ মার্চ লিখিত পরীক্ষর ফলাফল প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষয় এক পদের জন্য ৪ জনকে পাস করানো হয়। এ হিসাবে ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। চূড়ান্ত নিয়োগের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।