পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তারাবীহ নামাজের মর্যাদা ও সওয়াব অপরিসীম। এ প্রসঙ্গে হযরত আবদুর রহমান বিন আওফ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা রমজান মাসের রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য সুন্নাতরূপে চালু করেছি রমজান মাসব্যাপী আল্লাহর ইবাদতে দাঁড়ানোকে। সুতরাং যে ব্যক্তি এই মাসের রোজা পালন করবে এবং আল্লাহর সামনে ঈমান ও এহতেসাব সহকারে দাঁড়াবে, সে তার গোনাহ হতে নিষ্কৃতি লাভ করে সেই দিনের মতো বেগুনাহ হয়ে যাবে, যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করে ছিলেন। (নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ)
এই হাদীসে দুটি দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এক : রোজা আদায় করা ফরজ। ইহা কুরআনুল কারীম দ্বারা স্বীকৃত। দুই : রমজান মাসব্যাপী আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো। ইহা সুন্নাতে রাসূল (সা.) দ্বারা স্থিরকৃত। বস্তুুত : ‘কিয়ামে রামাজান’ হাদীস ও ফিকাহর একটি বিশেষ পরিভাষা। এর অর্থ হলো রমজান মাসের রাতব্যাপী আল্লাহর ইবাদতে দন্ডায়ামান হওয়া। আর মাহে রমজানের রাতগুলোতে আল্লাহর ইবাদতে দাঁড়ানোর অর্থ হল রাতের এশার নামাজের পর ‘তারাবীহ’ নামাজ আদায় করা। এই নামাজ ও শরীয়তের বিধি-ব্যবস্থার অন্তুর্ভুক্ত। ইহার ব্যবস্থা করেছেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.)। তিনি এই ব্যবস্থা চালু করেছেন আল্লাহ পাকের তরফ হতে গোপন ইঙ্গিত বা অহীয়ে খফী লাভ করার মাধ্যমে। রমজান মাসের রাত্রিগুলোতে তারাবীহ নামাজ আদায় করার অতুলনীয় মর্যাদা ও অশেষ সওয়াব লাভের বিষয়টি অবগত হওয়ার পরই তিনি নিজে তারাবীহ নামাজ আদায় করেছেন এবং মুমিন মুসলমানদেরকে ইহা আদায় করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন
এ প্রসঙ্গে হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সা.) এক রাত্রে মসজিদে নামাজ পড়লেন। তখন অনেক লোক তার সাথে নামাজে শরীক হয়ে গেল। দ্বিতীয় রাতেও তিনি নামাজ পড়লেন। এবারেও বহু লোক তার সাথে শরীক হল। তারপর তৃতীয় রাত্রে একই রকম হল। পরে চতুর্থ রাতে মসজিদে এত লোকের সমাবেশ হল যে, মসজিদে লোক সঙ্কুলান না হওয়ার উপক্রম হল। কিন্তু সেই রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘর হতে বের হলেন না। জনতা নামাজ নামাজ বলে অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি ঘর হতে বের হলেন না। রাত শেষ হলে ফজরের নামাজ আদায়ের পর রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন : গতরাতে তোমাদের অবস্থা আমার জানা আছে। কিন্তু আমি ভয় করছি যে, উহা যেন তোমাদের উপর ফরজ করে না দেয়া হয়। কারণ ফরজ করে দেয়া হলে তোমরা তা আদায় করতে অক্ষম হয়ে পড়বে। এজন্য উম্মতে মুহাম্মাদী তারাবীহ নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ হিসেবেই আদায় করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।