Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইফতার করানোর সওয়াব

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্্শী | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে সে সেই রোজাদারের সমান সওয়াব লাভ করবে। কিন্তু তাতে মূল রোজাদারের জন্য নির্দিষ্ট সওয়াবের পরিমাণ সামান্যতমও হ্রাস পাবে না। এ প্রসঙ্গে হযরত যায়েদ ইবনে খালিদ জুহানী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন : যে লোক একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার জন্য সেই রোজাদারের মতই সওয়াব লিখা হবে। কিন্তু তাতে মূল রোজাদারের সওয়াব হতে এক বিন্দুও কম করা হবে না। (নাসাঈ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ)। হযরত সালমান ফারেসী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূল‚ল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে কিছু হালাল জিনিস খাইয়ে ও পান করিয়ে ইফতার করায় ফেরেশতাগণ রমজান মাসের সমস্ত সময় ধরে তার প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং জিব্রাঈল (আ.) লাইলাতুল কদরে তার জন্য রহমতের দোয়া করেন। (তাবারানী, ইবনু হাব্বান) তাবরানীর বর্ণনার শেষাংশে একথার উল্লেখ আছে যে, জিব্রাঈল (আ.) কদরের রাতে তার সাথে মুসাফাহা করেন। ফলে তার দিল নরম হয় এবং তার অশ্রুধারা প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। এই কথার পর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, ইফতার করানোর মতো যার কাছে কিছুই নেই সে কী করবে? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন : সে এক মুঠ খাবার দিয়ে ইফতার করাবে। এক লোকমা রুটি বা খাদ্যবস্তু না থাকলে কী করা যাবে? জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন : এক চুমুক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে। আর তাও না থাকলে পান করার পানি দিয়েই ইফতার করাবে।
মোটকথা ইফতার করানে ওয়ালা ব্যক্তির যাই তাওফিকে জোটে তা দিয়েই রোজাদারকে ইফতার করানোর মাঝে অসংখ্য ও অগণিত সওয়াব নিহিত আছে। এ ব্যাপারে সকলেরই উচিত সচেতনতার সাথে এই সওয়াব লাভের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কেননা, এতে রোজার সওয়াব পরিপূর্ণ লাভ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুণ্য লাভের সৌভাগ্য ও নসীব হয়। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সেই সৌভাগ্য দান করুন। আমীন !



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রমজান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ