পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও রোববার (১২ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। শেয়ারবাজারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়, বংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ননলিস্টেড কোম্পানির যে শেয়ার ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর কাছে রয়েছে, তা শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগসীমা (এক্সপোজার) হিসেবে গণ্য হয়। আলোচনায় এসেছে এটি স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড হয় না। কারণ এটি ননলিস্টেড। এটি ব্যাংকগুলোর এক্সপোজার থেকে বাদ দেয়ার জন্য বলা হয়। গভর্নর ফজলে কবির বিষয়টি পজেটিভলি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
ননলিস্টেড কোম্পানির শেয়ার এক্সপোজার থেকে বাদ দিলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়বে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর কাছে ননলিস্টেড অনেক কোম্পানির শেয়ার আছে। এ কারণে নতুন করে বাজারে বিনিয়োগ করতে পারছে না। এটি বাদ দেয়া হলে বিনিয়োগসীমা বাড়বে। অর্থাৎ শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ বাড়াতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইসিবি মূলধন বাড়ানোর জন্য বন্ড ছেড়েছে। এটি ব্যাংকগুলোই কিনবে। এটি এক্সপোজার লিমিটের মধ্যে আসবে না। আর ব্যাংকগুলো বন্ড কিনলে ওই টাকা আইসিবি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে। ২০০ কোটি টাকা বন্ডের অফার রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আসা এমন ঘোষণার ফলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু রোববার তার কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। উল্টো দুই বাজারেই সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িযেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৪৬ পয়েন্টে নেমে গেছে।
মূল্যসূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫০টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।
অবশ্য সূচকের পতনের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। টাকার অঙ্কে দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৮ কোটি ১৬ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৯২ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার। লেনদেন অংশ নেওয়া ২২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।