পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি। তারা গণতন্ত্রকে সবসময় বাধাগ্রস্ত করেছে। দলটির জন্মই অগণতান্ত্রিকভাবে। তারপর দুর্বৃত্তদের, মুনাফালোভীদের উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনীতিতে এনে দল গঠন করেছে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মুহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে বিএনপির দুর্নীতি, তারেক রহমানের দুর্নীতি, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির সত্য কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন এই বক্তব্য নাকি গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু আসল কথা হলো গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশে বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আর এর ষোলকলা পূর্ণ করেছেন এরশাদ। রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন দেশের জন্য অশুভ। কারণ বণিকরা রাজনীতিতে আসলে তারা সবসময় লাভের আশা করবে, আর দুর্বৃত্তরা সবসময় দুর্বৃত্তায়ন ছড়ানোর চেষ্টা করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন যে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল তার অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে তারেক রহমান। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত দুর্বৃত্ত যার নেতৃত্বে হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন পরিচালিত হতো। তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বানিয়ে বিএনপি দুর্বৃত্ত দলে পরিণত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণের দল হতে হলে বিএনপির কর্মপন্থা পরিবর্তন করতে হবে। আর সেটা করতে হলে দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে তারা জনগণের দল হতে পারবে। বিএনপি জনগণের দল হয়ে উঠুক এটাই আমরা চাই। আর সেটা করতে হলে নেতৃত্ব পরিবর্তন করা ছাড়া সম্ভব না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ দলীয় জোটে ভাঙ্গনের শুরু দেখতে পেলাম। এখন ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে চলছে নানা ধরনের কথাবার্তা। ঐক্যফ্রন্টে এখন আর ঐক্য নাই ধীরে ধীরে অনেকেই ঐক্য ছেড়ে দেওয়া শুরু করেছে।
আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম, এসডি রুবেল, অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, অরুন সরকার রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।