পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কর্মহীন শ্রমজীবিদের দুর্ভাবনা কেটেছে যশোর-খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে। এখন আর কাজের সন্ধানে শ্রমিকদের নেই ছুটোছুটি। হাতের নাগালেই কাজ। মুজরিও বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কোনরূপ হা-হুতাশ স্পর্শ করছে না। বরং বর্তমানে মাঠ-ঘাট, রাস্তা ও বাড়িঘর নির্মাণে শ্রমিক পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহু সরকারি বেসরকারি প্রকল্পের কাজ শ্রমিক সংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এখন পুরোদমে বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। কৃষি শ্রমিক সঙ্কটে সময়মতো মাঠ থেকে ধান কাটা কঠিন হচ্ছে। শ্রমিকদের মুজরি কয়েকবছর আগেও ছিল ২/৩শ’ টাকা। এখন ৫/৬শ’ টাকার নীচে কোন শ্রমিক পাওয়া যায় না। এ অঞ্চলে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর, মংলা সমুদ্রবন্দর, ভোমরা, দর্শনা স্থলবন্দর, নওয়াপাড়া নদীবন্দর, মিল কলকারখানায়ও ইদানীং শ্রমিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, নড়াইল, মাগুরা এলাকার এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের সূত্র জানায়, প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজের পরিধি বেড়েছে কিন্তু যথাসময়ে যথাযথভাবে কাজ সম্পাদনের লোকবলের অভাব মারাত্মক হচ্ছে দিনে দিনে। অভাবের তাড়নায় অনেক খেটে খাওয়া মানুষের দা, কুড়াল, কাঁচি, নিড়ানী ও কোদাল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাট-বাজারে শ্রম বিক্রি করার জন্য বসে থাকার দৃশ্য হরহামেশা চোখে পড়তো। এখনও পড়ে তবে খুবই কম।
পারিশ্রমিক বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবিদের চেহারা বলে দিচ্ছে তাদের অবস্থা খুবই ভালো। পক্ষান্তরে সাধারণ কৃষক ৩/৪ মাস নিজের জমিতে শ্রম দিয়ে ফসল উৎপাদন করে উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় হাড় জিরজিরে দেহ হচ্ছে। কৃষিপণ্যের মূল্য নিশ্চিত করার কোন ব্যবস্থা নেই। সাতক্ষীরার কলারোয়ার ইউসুফ সরদার নামে এক কৃষক জানালেন, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে নিজের পারিশ্রমিক বাদে যে খরচ হয়, বিক্রি করে সেই খরচ আমরা তুলতে পারি না। নিজের পারিশ্রমিক ধরলে উৎপাদন খরচ আরো বেড়ে যায়। অর্থাৎ লোকসানের পাল্লা ভারি হওয়ায় আমরা ভালো নেই। শুধু ধান নয়, কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না।
শ্রমজীবী মানুষ বড়ই সস্তিতে কাটালেও শুধু কৃষক নয়, সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের অবস্থা চাল, ডাল, তেল, সবজি, মরিচ ও পিয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে অস্বস্তিদায়ক অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। তাদের জীবনধারনের ব্যয় নির্বাহ হচ্ছে কঠিন। কৃষি জমির মালিকের চেয়ে এখন কৃষি শ্রমিকরা সাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছেন। গত কয়েকদিন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রমিকরা বেশ ভালোই আছেন। বড় সমস্যায় আছেন কৃষক ও নি¤œ মধ্যবিত্তরা। তাদের স্বল্প ও সীমিত আয় দিয়ে সন্তানের লেখাপড়াসহ সংসার চালানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।