পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। এজন্য ‘ব্যাংক এবং নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এক্সপোজার গণনায় নন লিস্টেড ফান্ডে বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ এক্সপোজারের বাইরে রাখার দাবি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। বিষয়টি সমাধানে ইতিবাচক সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের শেয়ারবাজর সংক্রান্ত এক সভায় এ আশ্বাস দেন গভর্নর ফজলে কবির। সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, নন লিস্টেড কোম্পানির (অ-তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান) যে শেয়ার ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর কাছে রয়েছে; তা শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগসীমা (এক্সপোজার) হিসাবে গণ্য হয়। আলোচনায় এসেছে এটি স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড হয় না। কারণ এটি নন লিস্টেড। এটি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগসীমা (এক্সপোজার) থেকে বাদ দেয়ার জন্য বলা হয়। গভর্নর বিষয়টি পজেটিভ ভাবে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
নন লিস্টেড কোম্পানির শেয়ার এক্সপোজার থেকে বাদ দিলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়বে কি না জানতে চাইলে ডেপুটি গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলোর কাছে নন লিস্টেড অনেক কোম্পানির শেয়ার আছে, এ কারণে নতুন করে বাজারে বিনিয়োগ করতে পারছে না। এটি বাদ দেয়া হলে বিনিয়োগ সীমা বাড়বে। অর্থাৎ শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ বাড়াতে পারবে।
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান আইসিবি মূলধন বাড়ানোর জন্য বন্ড ছেড়েছে। এটি ব্যাংকগুলোই কিনবে। এটি এক্সপোজার লিমিটের মধ্যে আসবে না। আর এ বন্ড ব্যাংকগুলোই কিনবে। ব্যাংকগুলো বন্ড কিনলে ওই টাকা আইসিবি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে। ২০০ কোটি টাকা বন্ডের অফার রয়েছে।
নতুন বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ডেপুটি গভর্নর বলেন, শেয়ারবাজারে ৯০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরো সাড়ে ৮০০ টাকা আছে। ওই টাকাও দ্রুত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেবে।
এদিকে পুঁজিবাজার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সম্প্রতি সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ে খুব বেশি শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি বাজার নিয়ে ‘গেম’ খেলতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং হবে।
অপর দিকে নিজের ওপর আস্থা রাখা এবং পুঁজিবাজার নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই -এমন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করা হবে। এর পর থেকেই সংশ্লিষ্ট নড়েচড়ে বসেছে। চলছে বৈঠক। পুঁজিবাজার উন্নয়নে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।